১৭ তারিখে বিশ্বকাপের উদ্ভোধন উপলক্ষ্যে ছুটির ঘোষণা টিভি ও পত্রিকায় দেখে বউকে জানিয়ে দেই বাড়ি আসছি। বউতো মহাখুশি! খুশি হবে নাই বা কেন, গত তিন মাস বাড়ি যাই নি। হঠাৎ করে গত কালকের প্রধানমন্ত্রীর ছুটির নতুন ঘোষণা দেখে এখনতো পড়লাম মহাবিপদে। এদিকে অফিস জানিয়ে দিয়েছে, ১৭ তারিখে আফিসে যারা আসবে না তাদের কে শোকজ করা হবে। আর ওদিকে বউ জানিয়েছে, এই তারিখে বাড়ি না গেলে সে বাপের বাড়ি চলে যাবে। আমি এখন কোনটা রাখব বউ, না চাকরী!!
শুধু আমি নই, আমার মত এমন বহুলোক আছে যারা বাস/ট্রেনের টিকিট কেটে, পরেছে দারুণ ঝামেলায়। এখন প্রশ্ন হলো; ১৭ তারিখ যে উদ্দেশ্যে রাজধানীতে ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ছুটি দেয়া হলো, সেই জ্যাম কি কম থাকবে, না কি বাড়বে? স্বাভাবিক ভাবেই ২ টার সময় অফিস ছুটি হলে সবাই এক সাথে রাস্তায় নেমে পড়বে, যে যার উদ্দেশ্যে যাত্রার জন্য। আর ঐ দিন ভি আই পি সড়ক সহ যে যে সড়ক দিয়ে খেলোয়াড় এবং অথিতিরা আসা যাওয়া করবেন সেই সমস্ত সড়ক গুলো নিরাপত্তার অযুহাতে জনসাধারণের চলাচলের উপর নিশেদাজ্ঞা থাকবে (সড়ক বন্ধের ঘোষনা আগেই দিয়ে রেখেছে)। ফলে ঐ দিন ঢাকায় তীব্র জানজট পরিলক্ষিত হবে তা ফলে ঐ দিন ঢাকায় যে তীব্র জানজট থাকবে তা সহজেই অনুমেয়। যেখানে ঢাকাকে সুন্দর করে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার প্রয়াশ চলছে, সেখানে ১৭ তারিখের এই বন্ধের ভুল ঘোষণায় সৃষ্ট জানজট রাজধানী ঢাকাকে কি রূপে দেখাবে তা চোখের সামনে স্পষ্ট প্রতিয়মান।পক্ষান্তরে পুরো দিন ছুটির পূবের যে ঘোষণা ছিল সেটা বলবত থাকলে জানজটের এই ঝামেলা সহজেই দূর করা যেত।
সরকার এক বার সিদ্ধান্ত দিল পুরো দিনের ছুটির আবার সিদ্ধান্ত দিল ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ছুটির। আসলে মূল সমস্যা কি, কেন বার বার সিদ্ধান্ত নিয়ে তা পরিবর্তন করতে হয়। আমরা দেশের ম্যাঙ্গ জনতা কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ জানতে পারিনা। আমার মত যারা ট্রেনের/বাসের টিকিট করেও বাড়ি যেতে পারছে না, তাদের এই ক্ষতিপূরণ কে করবে?? আমার মত ম্যাঙ্গ জনতার উপার্জিত অর্থ পুরোটাই সাদা, কাজেই খুব কষ্ট হয় এই টাকা কোন কারণে নষ্ট হলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৯