আজকের পত্রিকায় একটা খবর ছিলো সীমান্তে ভারত গুলি বন্ধ করবে না। এর এইরকম একটা খবর আমাদের সুশীল সমাজ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ভীষন ভাবে নাড়া দিয়েছে। অধিকাংশ শ্রেনীর মানুষই এই বিষয়টিকে মানতে রাজী না। যদিও দেশের ভিতর আমজনতা প্রতিদিন নানা রকম অপরাধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে কিংবা খুন হচ্ছে প্রতিনিয়ত তবুও এই সব বিষয়গুলো আমাদের সুশীলসমাজকে কিংবা সাময়িক এবং মুখকবচা দেশপ্রেমিক জনতাকে টনক নাড়াতে পারে না। আমাদের সব চোখ এবং চিন্তা ভাবনা গুলো যেন ভারতের সীমান্তে যেয়ে থমকে আছে। দেশের ভিতরের অনিয়ম এবং অপরাধগুলো যেখানে স্বাভাবিক মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে সেখানে আমাদের চোখগুলোকে সীমান্তে ফেলে রেখে নিজেদের ভুল ত্রুটি গুলোকে এড়িয়ে যেয়ে দেশকে আরো বেশী অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভারতের সাথে এ রকম সমস্যা আমাদের বহু বছর ধরেই আছে এবং থাকবেই। সীমান্ত পাশাপাশি দেশ হলে সবসময় কিছু সমস্যা হয়েই থাকে। আর এর কারনে কিছু চক্র এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে নানা ভুল তথ্য পরিবেশন করে দেশকে আরো বেশী অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। আর এর মাঝে দিয়ে নিজেদের ঘ্ন্য উদ্দেশ্য সফল করাটাই এদের উদ্দেশ্য। সমস্যার ফলাফল যাই হোক না কেন ঘটনার প্রাথমিক কারন অনুসন্ধান করে তারপর বিষয়গুলোকে নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌছানো উচিৎ। কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা বেশী আবেগে নিজেদের গা’ভাসিয়ে দিই। আর এর ফলে নিজেদের ভুলত্রুটি গুলো ঢাকা পড়ে যায় আবেগের স্রোতে। যার ফলে ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেয়ার কিংবা ভুলগুলোকে সুধরে নেয়ার মতো সুযোগ পাওয়া যায় না। আত্নসমালোচনা করাটা খুব গুরুত্তপুর্ন। কারন এই আত্নসমালোচনা করাটা নিজেদের ভুল গুলোকে কেটে চিড়ে বাইরে বের করে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে। আমাদের দেশে স্রোতের বিপরীতে খুব কম সংখ্যক মানুষ কথা বলার সাহস রাখে। কিন্তু এ রকম সাহসী পদক্ষেপ গুলোই দেশের অবকাঠামো এবং উন্নয়ের পিছনে মহান ভুমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে নিজেদের দোষগুলোকে ঢেকে রেখে অন্যের উপর চাপিয়ে দিলে দেশের সমস্যাগুলো কখনো কমবে না বরং তা বাড়তে বাড়তে একসময় জটিল পরিস্থিতির তৈরী করবে। আর এইভাবে নিজেদের ভুলগুলোকে আড়ালে রেখে দেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দেয়া কিংবা অন্যের সমালোচনায় সারাক্ষন ব্যাস্ত থেকে নিজের দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলোকে বাধাগ্রস্থ করে নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে কি দাবী করা যায় ?
আমরা বাংলাদেশীরা বেশীর ভাগ সময়ই কবরের অন্তরালের বিস্তারিত ঘটনা পড়ে দেখিনা। শুধুমাত্র খবরের হেড লাইন লাইন দেখে উত্তেজত হয়ে পড়ি। আজকের এই খবরটাও সেই রকমের। “ ভারত সীমান্তে গুলি বন্ধ করবে না” । পিলে চমকে যাবার মতো খবর। অনেকে কমেন্ট করেছে এই খবরটা শুনার পর। কেউ বলছে আমরা কি মানুষ না, যে এভাবে আমাদের গুলি করে মারবে কেন ? আবার অনেকে বলছে, আমরা কি পশু পাখী?, যে ইচ্ছে করলেই গুলি করে মারবে। কিন্তু আফসোস পশু পাখি মারাটাও কি ন্যায় সঙ্গত কিনা এটা আমরা ভেবে না দেখেই কমেন্ট করা শুরু করে দেই। এটা আমাদের দেশীদের একটা মজ্জাগত স্বভাব। বাংলদেশ এবং ভারত দুই দেশের প্রায় সবমিলিয়ে ২৪২৯ মাইল সীমন্ত এলাকা রয়েছে। আর এই সীমান্ত গুলো বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ , সিলেট , এবং চিটাগাং এর সাথে ভারতের ওয়েষ্ট বেঙ্গল, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের সাথে সংযুক্ত। আর এই সব সীমান্ত এলাকাগুলোতে সবসময় চোরাকারবারী কর্মকান্ড সংগঠিত হচ্ছে। তার সাথে ভিসা ছাড়া অনুপ্রবেশ এর ঘটনা ঘটছে অহরহ। উইকিপিডিয়ার তথ্যে থেকে জানা যায় প্রতি বছর প্রায় ১০০ বাংলাদেশী ভিসা ছাড়া বিনা অনুমতিতে ভারতে প্রবেশ করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
A large amount of smuggling occurs in the border area. Livestock, food items and drugs are smuggled from India into Bangladesh. Illegal immigrants from Bangladesh cross into India to find jobs. India's BSF maintains a shoot-at-sight policy for any Bangladeshi. Each year hundreds of Bangladeshis lose their lives at the hand of BSF while trying to cross the border. The border has also witnessed occasional skirmishes between BSF and BDR such as in 2001. n July 2009 Channel 4 News reported that hundreds of Bangladeshis and Indians are indiscriminately killed by the BSF along the Indo-Bangladeshi Barrier. The BSF claims that the barrier's main purpose is to check illegal immigration, and prevent cross-border terrorism.
সুত্র: Click This Link
ভারতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগনকে আরো বেশী সচেতন হতে হবে। ভারত আমাদের নিজেদের দেশের জেলা শহর নয় যে ইচ্ছা হলো আর তাদের সীমান্তে প্রবেশ করে ঘুরে এলাম। অন্য একটা দেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে মুল অনুমতি পত্র হলো ভিসা। আর ভিসা না নিয়ে আমরা কিভাবে অন্য একটি দেশে প্রবেশ করি ? এটা অন্যায় এবং অনেক বড় অপরাধ। আর ভারতের নিজেদের দেশের ভিতরে এবং তাদের সাথে চারপাশের রাষ্টগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড গুলোর কারনে সবসময় হুমকির মুখে পতিত থাকে। আর এর ফলে এদের দেশের সীমানার নিরাপত্তায় সবসময় কড়াকড়ি পালন করতে হয়। আর তাই অনেক সময় তাদের নিজেদের দেশের সার্থে গুলি করতে হয়। এখন বলুন, কেন আমরা ভিসা ছাড়া অন্য একটি দেশে প্রবেশ করবো। আর এতে যদি ভারত তাদের নিজের দেশের নিরাপত্তা রক্ষার কারনে গুলি ছোড়ে তাহলে এইখানে অপরাধ কার ? আমাদের দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অনেক সময় অপরাধ ঘটিয়ে বহাল তবিয়তে বিনা ভিসায় রাতের আধারে ভারতে অনুপ্রবেশ করে থাকে। আর এতে তারা অনেক ভারতের সীমান্ত প্রহরীর গুলিতে মারা পড়ে। এইসব অপরাধমুলক কর্ম গুলো থেকে আগে আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। নইলে এভাবেই মারা পড়তে হবে প্রতিনিয়ত।
‘বাংলাদেশি সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর দুর্বলতার কারনেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে সীমান্তে। কারন যদি বাংলাদেশের সীমান্তে তারা পাহাড়া আরো বেশী কড়া করে,বিশেষ করে রাতের বেলা সীমান্তে চলাচলের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা চালু করতে পারে,তাহলে দেখা যাবে অপরাধীরা আর ভারতের সীমান্তের দিকে দিকে যেতেই পারবে না। কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করে তবে তাহলে তাকে প্রথমে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে তার পরে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করতে হবে। আর যখনই বাংলাদেশের নাগরিকরা বাংদাশের সীমান্ত পার হয় তখন আমাদের আমাদের বাংলাদেশের সীমান্ত প্রহরীরা কি করে ? বাংলাদেশীরা বিনা ভিসায় কিংবা চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অহরহ ভারতে অনুপ্রবেশ করছে আর বাংলাদেশী সীমান্ত প্রহরীরা কি করে তাদের দায়িত্তকে এড়িয়ে যাচ্ছে। যদি তারা নিজেদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতো তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ অবৈধ উপায়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে যেয়ে গুলি খেয়ে মারা যেতো না। আর এই দায়ভার বাংলাদেশের সীমান্ত প্রহরীরা কখনো এড়িয়ে যেতে পারবে না। যদি তারা তাদের নিজেদের সীমান্তে দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতো তবে আর বিএসএফকেও গুলি চালাতে হতো না। আমাদের নিজেদের জনগনের অসচেতনমূলক এবং অনভিপ্রেত আচরন আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না ! আর সেখানে অন্য একটি দেশ সেটা সহ্য করবে কেন? পাসপোর্ট/ভিসা বিহীন অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার সময় বাংলাদেশের সীমান্তেই যদি বিডিআর আটকে দেয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাহলে কিন্তু এরকম ঘটনা কমে যায়। কিন্তু বাস্তবটা হচ্ছে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় টাকা খেয়ে বা নিজেদের গাফিলতিতে আমাদের বিডিআর ছার দিয়ে দেয় এপার থেকে আর তখন ভারত সীমান্তে গিয়ে ঘটে এসব অনভিপ্রেত ঘটনা। বিএসএফের প্রধান সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি বাহিনী যদি তাদের নিজেদের দিকে পাহারা কড়া করে, বিশেষত রাতে সীমান্তে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার বলবৎ করতে পারে, তাহলে অপরাধীরা আর ভারতের দিকে আসতেই পারবে না, আর বিএসএফকেও গুলি চালাতে হবে না।’ সূত্র: Click This Link
মঙ্গলবার এরকম এক ঘটনায় পাচারকারীদের হামলায় আহত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন।বিএসএফ বলছে চার তারিখ রাতে পশ্চিমবঙ্গের স্বরূপনগর এলাকায় সীমান্ত পাহারা দেওয়ার সময়ে প্রায় ১০০ জন গরু পাচারকারীর দল বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। নিহত বিএসএফ কনস্টেবল সরতাজ সিংয়ের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিএসএফের দক্ষিন বঙ্গ সীমান্তের ইন্সপেক্টর জেনারেল রভি পোনোঠ বিবিসিকে বলেন, “আক্রমনের পরে বেশীরভাগ পাচারকারীই বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন। তবে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিককে আমরা আটক করতে পেরেছি, যারা এখন পুলিশী হেফাজতে আছে।বিএসএফ দাবী করছে যে গত একবছরে গরু পাচারকারী সহ বিভিন্ন অবৈধ কারবারীরা দক্ষিন বঙ্গ সীমান্ত এলাকাতেই বিএসএফের ওপরে ৫২ বার আক্রমণ চালিয়েছে। বাংলাদেশের বিজিবির মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন,‘আমরা তাঁদের ( বিএসএফকে) বলেছি, কেউ সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে প্রবেশ করলে তাকে আটকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে। তাকে যেন হত্যা করা না হয়। আর যদি গুলি ছোড়ার প্রয়োজনই হয়,তা হলে এমন অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে, যাতে কোনো ধরনের প্রাণহানি না হয়। সূত্র: Click This Link আর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মি. রভি পোনোঠ বলেছেন যে তাঁদের বাহিনী কিছুদিন ধরেই এমন বন্দুক ব্যবহার করছে – যার গুলি দূর থেকে লাগলে মৃত্যু হবে না। আরও একজন সীমান্তরক্ষীরও কাঁধে চোট লাগে। “আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন পাচারকারী বা সীমান্তের দুষ্কৃতিরা।তাঁরা ভাবছেন বিএসএফ এখন আর গুলি চালাতে পারবে না – তাই তাদের আক্রমণ করা সহজ,” জানান রভি পোনোঠ। সূত্র: Click This Link এতে কি প্রমান হয়। আমাদের দেশের নাগরিকের হীনমন্যতা আর খারাপ অভিপ্রায় ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমাদের আসল সত্য জানতে হলে আমাদের বাংলাদেশ এবং ভারত দু পক্ষের তথ্যগুলোই জানতে হবে এবং তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়াটা অধিক গ্রহনযোগ্য হবে। দলীয় মতের উর্ধে থেকে তথ্যের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং আলোচনা করাটা একজন মুক্তমনা এবং প্রগতিশীল সুনাগরিকের দায়িত্ত। কিন্তু আমরা বাংলাদেশীরা অধিকাংশ সময় তা করিনা। কারন আমরা খুব ইমোশনে উত্তেজিত হয়ে পড়ি। কিন্তু কার্য করনের প্রাথমিক ঘটনা আমরা জানতে চাই না। আমাদের এই কপটতা থেকে যে পর্যন্ত বেরুতে না পারবো সে পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তন আসবে না। নিজেদের সমালোচনা করার সাহস থাকতে হবে এবং তা অকপটে স্বীকার করতে হবে নইলে হীন মনবৈকাল্য সঠিক পদক্ষেপের অভাবে ভুগতে ভুগতে দেশ আরো রসাতলে যাবে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের বর্ডারে সবসময় কিছু অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতেই থাকবে।কারন দুই দেশের বর্ডার এরিয়া অনেক বড় এবং বর্ডার এলাকায় কিছু বিচ্ছিন ঘটনা ঘটা অবাস্তব কিছু না। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাকে এক তরফা ভাবে ফুলিয়ে ফাপিয়ে কিনবা মিথ্যা অপ প্রচারের মাধ্যমে দু দেশের মাঝে বিদ্যমান সু সম্পর্কে কে নস্ট করে না দেয়। সরকারি ভালো পদক্ষেপ গুলো অনেক কারনে প্রচার পায় না তাই বলে এটা চিন্তা করার কোন কারন নেই যে সরকার এই বিষয়ে কার্যত কোন উদ্যেক নেই। দেখুন, বাংলাদেশ সরকার কিন্তু সেই প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েই আসছে যদিও দোষ আমাদের অজ্ঞ লোকজনের যারা ভিসা ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশ করে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আরেকজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। সুত্র: Click This Link এরকম অনেক খবর অনেক পত্রিকায় এসেছে। সরকার তার কুটনৈতিক আলোচনা চালিয়া যাচ্ছে। আর ভারতের সাথে এই সমস্যাগুলো কুটনৈতিক আলোচনার মাদ্যমেই সমাধান করতে হবে। মাথা মোটার মত আবল তাবল কথা বলে বা যুদ্ধ করে কি এটা ভারতের সাথে সম্ভব ?
পানির মতো পরিস্কার সহজ বিষয়গুলো কেন আমরা বুজতে পারছি না ? ভারত আলাদা একটা রাষ্ট্র, এটা আমাদের কোন জেলা শহর না। তাদের বর্ডার এবং দেশ রক্ষার আলাদা নিয়ম কানুন আছে। এমনিতেই সবসময় তারা নানা সন্ত্রাসবাদের স্বীকার, এবং হুমকির মুখে থাকে আর সেকারিনেই তারা সীমান্তে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে থাকে। একদিকে পাকিস্থান সীমান্ত, অন্য দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত জজ্ঞিরা ওতপেতে আছে ভারতের ঢুকার জন্য। এবং ঢুকছেও প্রতিনিয়ত। সেক্ষেত্রে তারা নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য দেশের অবৈধ নাগরিককে যদি না ঢুকতে দেয় তাহলে, আমরা কি করতে পারি? বাংলাদেশ সরকারেই বা এর প্রতিবাদ করার কি আছে? আর জোর করে ঢুকতে গিয়ে যদি দু চার টা মারা যায় সেখানে দোষটা কার? যে অবৈধ অনুপ্রবেশ করলো তার, নাকি যে বৈধভাবে ঠেকালো তার? আমাদের নিজেরদের আগে পরিবর্তন হতে হবে। বুঝতে হবে ভারত আমাদের জেলা শহর না। ভারত আলাদা একটা দেশ আর কোন দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করাটা দন্ডনীয় অপরাধ। প্রাথমিক অপরাধ করি আমরা । তাই সর্বপ্রথম আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।