খাবারের নামে বিষ খাচ্ছি
অধিক মুনাফার আশায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী খাবারে বিষাক্ত পদার্থ মেশাচ্ছে। বর্তমানে এমন কোনো পণ্য নেই যা ভেজালহীন। কারবাইড দিয়ে পাকানো হচ্ছে কলা, পেঁপে, আপেল, আনার, কমলালেবু, মাল্টা, আনারস, আম, আঙ্গুর। তরল দুধ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে মেশানো হচ্ছে ফরমালিন। একই কারণে মাছেও দেয়া হচ্ছে ফরমালিন। এই বিষক্রিয়ার ফলে সন্তান জন্ম নিচ্ছে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক অসমর্থ নিয়ে। এর প্রতিরোধে প্রয়োজন বাস্তবমুখি কিছু পদক্ষেপ এবং ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি। আর এজন্য।।
১. প্রতি শুক্রবার দেশব্যাপী ইমাম সাহেবরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত মুসল্লিদের বলতে পারেন।
২. কিভাবে খাদ্যে ভেজাল রোধ করা যায় সে ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দেয়া।
৩. জনপ্রতিনিধি যেমন সংসদ সদস্য, পৌর মেয়র, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা।
৪. নাগরিক সমাজ স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সভা-সেমিনার করে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করা।
৫. সরকার কর্তৃক ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানাসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ।
আসুন সকলে মিলে ভেজাল প্রতিরোধ করি। আগামী শিশুদের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৭