১। স্বপ্নপাতা
তুমি কিছু ঘটি বাটি খর কুটো দিয়ো
আমি বানিয়ে নিবো বন্ধনের মায়াজাল
স্বপ্নের রোদেলা ঘর মিঠেল বাতাস
দাওয়ায় বসে একদিন দোল খেতে দিবো।
তুমি কিছু বীজ দিয়ো মাটি দিয়ো আজলা ভরে
আমি বানিয়ে নিবো মহীরুহ বসত জমিন
চাষাবাদের কারুকার্য শিখে নিবো নিপুণ হস্তে
তুলে আনবো তৃণলতা শস্যকণা খাদ্যদানা।
তুমি কিছু মেঘ দিয়ো বৃষ্টি দিয়ো গগণ ছেঁকে
আমি পৃথিবী ভরিয়ে নিবো জলপ্রপাতে
নদীর বাঁকে কদম শাখে ফোটাবো ফুল
ব্যস্ত হবে মৌমাছিরা ব্যস্ত রবে নদীর কূল।
তুমি কিছু মায়া দিয়ো ছায়া দিয়ো বুকের 'পরে
আমি সাজিয়ে নিবো সোহাগ সজনী
সৈকতে বাঁধিয়ে নিবো স্বপ্নচূড়া পূর্ণিমা রজনী
ঝিনুক পথে হেঁটে যাবে স্বপ্নপাতার স্নিগ্ধ গরবিনী।
২। ছাতা হয়ে
চৈত্রের রোদ থেকে বাঁচিয়ে রাখো মাথা
আমি যেন এক ছাতা ঘুরছি তোমার ছায়া হয়ে
মায়া হয়ে ঝড় বৃষ্টিকে তিরস্কার করে ।
তুমি মহারাণী এলিজাবেথ
কমনওয়েলথের রাজসিংহাসনে
থাকো সরল ভঙ্গীতে পা দু'খানি তুলে
গালে হাত দিয়ে নিবিড় চিত্তে ভাবো
কোথায় কোন রাষ্ট্রে আজ নববর্ষ এলো
পুরাতন দূর করো পদরেখা টেনে
আমি আছি তোমার সনে
ছাতা হয়ে মাথার উপর।
৩। ভয় নেই
যা কিছু পাই কুড়িয়ে নেই
তাই ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় নেই
পথে যেতে যেতে পাথর কুড়াই
কষ্ট কুড়াই নষ্ট হয়ে যাওয়া মাদুর কুড়াই
ভরা ভাদ্রে চাঁদের কিরণ কুড়াই
জলে স্থলে অন্তরীক্ষে শূন্যতা কুড়াই
কুড়াতে কুড়াতে জোড়াতালি দিয়ে
চলছে জীবন কোন রকম
তাই হারানোর ভয় নেই কিছুই।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম।