১। কিচ্ছুটি নেই
নেই তো নেই দিক হাতরে কিছু নেই
রোদ নেই প্রয়োজনে আলো নেই
বেঁচে থাকার বাতাস নেই
চারিদিকে প্রাচীর সব গুটিয়ে আসছে
কানে বাজে অসত্যের রূঢ় হাসি।
আমি কার কে আমার ভুলে গেছি
মাঝে মাঝে ঝড় বয়ে যায় হৃদয়ে
মনে হয় কেউ নেই কিচ্ছুটি নেই
অপ্রয়োজনের ঘরে বন্দী হয়ে
শুধু উদ্ধারের পথ খুঁজছি।
২। অবান্তর মশকরা
একটা অপস্রিয়মান অন্ধকার
কুন্ডলী পাঁকিয়ে আছে
বেলকুনি থেকে কয়েক কদম দূরে
ডালিম তলে এই মধ্যদুপুরে।
একটা জ্যামুক্ত তীর মুহূর্তে ছুটে গেল
চৌদিক চৌচির হয়ে একটা অবয়ব
ক্রমশ: অপসৃত হতে হতে
বাস্তুভিটার বর্হিদেশে মূহ্যমান।
আমার প্রতিটি দুপুর
প্রতিটি প্রশ্বাসের উৎগীরিত ধোঁয়ার মাঝে
এরকম একটি করে অবয়ব
নির্নিমিখ তাকিয়ে থাকে।
তুমি কেহে স্থিরচিত্র
অদূর ভবিষ্যতে দাঁড়িয়ে
দিকেদিকে আমার দৈন্যদশার সাথে
অবান্তর মশকরা করছো!
৩। বিপদাপন্ন কবিতা
আমার কবিতা বিপদাপন্ন হয়ে পড়ছে
হারিয়ে যাচ্ছে রাজশ্রী
পালকের উর্বরা শ্যামল ছায়া
দিস্তার পর দিস্তা অনুর্বর জমিন
চিটায় লুপ্ত হচ্ছে শস্যকণা
হারিয়ে যাচ্ছে নবান্নের গান।
জন্মদাতা পিতা হয়েছে গত
জননী উঠোনে বসে বিলাপ করছে
খোদার হাওলা করা শিশুটি
অস্থিচর্মসার হয়ে অপুষ্টিতে ভুগছে
মাঝেমাঝে কাজল রেখা মুছে
দুগ্ধ পোষ্যের মত কাঁদছে।
হে সর্বগ্রাসী নাগিনী
ওকে এখন বুকে টেনে নাও
ওর তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে
জল পদ্ম ফোঁটাও।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম।