গত ৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে আমাদের একটা সংগঠনের পক্ষ থেকে পিকনিক উপলক্ষ্যে গাজীপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান গিয়েছিলাম। সেখান থেকে সময় বের করে নুহাশপল্লীতে কিছুটা সময় কাটিয়েছি। যে মানুষটির নিবির পরিচর্যায় নুহাশপল্লীর সৃষ্টি ও ক্রমবিকাশ তিনি আজ নেই। তিনি কতটা প্রকৃতিপ্রেমিক ও শিল্পমনা ছিলেন সেটা তার সৃষ্টি নুহাশপল্লীতে এক নজর চোখ বুলালেই বুঝতে পারা যায়। গাজীপুরের এক নিভৃত পল্লী পিরুজালীতে এই নুহাশপল্লীর সৃষ্টি। তার অনুপস্থিতে যেন এখানকার প্রকৃতি ফুল বৃক্ষরাজি নিভৃতে কাঁদছে। তার এই সৃষ্টির প্রতি সম্মান দেখাতে উপস্থিত দর্শনার্থীদের কিছুটা সংযত হওয়া উচিত। কেউ কেউ অবাধে স্থাপত্যকর্মগুলোর উপর উঠে পড়ছে। ছবি তুলছে দিশেহারা হয়ে। এতে করে স্থাপত্যকর্মগুলো ঝুকির মুখে রয়েছে। বেশী কথা না বাড়িয়ে আসুন দেখে নেয়া যাক কথা সাহিত্যিক হূমায়ুন আহমেদের অনন্য সৃষ্টি নুহাশপল্লী।
নুহাশপল্লীর দিকে
নুহাশপল্লীর গেট
দূর থেকে গেট
নোটিশ
স্থাপত্যকলাঃ
মৎস্যকন্যা
কিম্ভূতকিমাকার দৈত্য। মৎস্যকন্যার দিকে ক্রদ্ধ দৃষ্টিতে।
মৎস্যকন্যা, কিম্ভূতকিমাকার দৈত্য ও দর্শনার্থী।
ভৌতিক মনুষ্য খুলি
বর্ষাতি ও বাহক কোলাব্যাঙ
প্রকৃতির কোলে মানব শিশু
মাংসাসী ডাইনোসর ও ডিম।
তৃণভোজী ডাইনোসর
ফরাসী রমনী (মনে হয়)
আলোকবর্তিকা
ওগো বিদেশীনি
ঘরদোরঃ
বৃষ্টিবিলাস
ত্রিচালা টিনঘর
বৃক্ষঘর
পুকুরঃ
দিঘি লীলাবতী
কাঠের পুল
ফুল ও বৃক্ষরাজিঃ
প্রজাপতি ফুল
দাদমর্দন
নীলকন্ঠী
টগর
নাগমনি
অচেনা ফুল। নাম জানলে শেয়ার করুন।
পেস্তাবাদাম
অচেনা হলুদ ফুল। নাম জানলে শেয়ার করুন।
লবঙ্গ
পাহাড়ী বেল
বাবলা
বড় চাঁদ
কফিগাছ।
মাঠের মাঝে জলপাই গাছ। পাশে ত্রিচালা টিনঘর।
ফিরতি পথে। বামপাশে খেজুর বাগান।
এখানে চিরনিদ্রায় শায়িত প্রিয় হূমায়ুন আহমেদ।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২১