অবজ্ঞার অংগুটি
বড় অসময়ে ফোন দিয়েছিলে
বন্ধুমহলের খুঁনসুটির ভয়ে বললাম,
আপাতত রাখি, পরে ফোন দিবো,
তুমি ভুল বুঝলে।
যাত্রাপথে কয়েকবার ট্রাই করেও
তোমাকে পাইনি,
ভুল ভাঙ্গানোর জন্য মেইল করলাম,
তোমার সম্বোধনবিহীন নিরামিশ জবাবে,
বুক পাজরে রোলার বয়ে গেল।
শেষ গন্তব্যে এসে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম,
প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে করতে
অনেক রাত হয়ে গেল,
আবারও বিজি পাই কিনা সন্দেহে
ফোন দেয়া থেকে নিবৃত হলাম।
মেইলে জানালাম, "বারবার
যে অবজ্ঞার বেড়াজালে বন্দী করেছো আমায়,
তা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে
সূর্যগ্রহণের বলয় ধারণ করেছে।"
বিচ্ছুরিত শেষ আলো
আমাকে ছুঁতে পারবে কিনা?-জিজ্ঞেস করলে,
সময় নাই, অনেক দূরে
মেঘের দেশে চলে যাচ্ছি বললে।
আমি শুধু তোমার চলে যাওয়া পথের
উড়ানো ধূলোয়, মাথা লুটিয়ে পড়েছি।
আবার কখনও হারানো অংগুটি
খোঁজার ছলে ফিরে এলেও
কিছু মনে করবো না,
জানোনা? তোমার অবজ্ঞার অংগুটি
শুধুমাত্র আমার আঙ্গুলেই মানানসই।
তাই ভুল ঠিকানায় না খুঁজে,
এই যে এইখানে,
হৃদসমাধিতে খুঁজিও।
জানি একদিন
জানি একদিন মনে পড়বেই
চলতি পথে সাঝ অবেলায়
মাঘের শীতের কাঁপুনিতে
অমানিশার ঘোর অন্ধকারে
যাত্রা পথে লোকের ভীড়ে
দিক হাতড়ে একদিন
খুঁজবেই আমাকে।
আধপাকা কেশ খুঁজতে গিয়ে
হাতের চিরুনী ফসকে
মনে পড়বেই।
মনে পড়বেই একদিন
ঘাটের মোড়ে হিমেল হাওয়া,
তোমার চিবুকে
হাত বুলানো শিমুল তলা।
ভাতের ফেনে চুলা নিভে
উদোম পিঠে কাঁদবে একদিন।
ছবিঃ নিজস্ব এলবাম।