আমার সুখ সহ্য করতে না পেরে কয়েকদিন আগে পর্বতসঙ্কুল সুদূর খাগড়াছড়িতে নির্বাসন দেয়া হয়েছিল। নির্বাসিত হয়ে প্রথম প্রথম দু'একদিন খারাপ লেগেছিল। এরপর আবার যখন পাহাড়ের সনে সখ্যতা গড়ে উঠতে ছিল। ঠিক এরকম মুহুর্তে আমার ঘাড় ধরে টেনে আনা হলো। টেনে এনেছে তাতে কি হয়েছে! আমার বন্ধুর সাথে সুখময় স্মৃতিগুলো ফ্রেমবন্দী করে এনেছি। সময়ে অসময়ে দেখি আর আপন মনে তার সাথে তার সঙ্গী সাথীর সাথে কথা বলি। আমার বন্ধু পাহাড়ের বুকে কাঁটানো কিছু মুহুর্তের ক্লিপস আমার একনিষ্ঠ ভক্ত ও ফ্যানদের জন্য উপস্থাপন করলাম
পাহাড়ের বুক চিরে উপত্যকা। তার মাঝে চিকচিক করে উঠে সূর্য রশ্মির সন্তরণ।
জলকেলীতে ব্যস্ত হংসদল।
এতো খেলে তবু মিটেনা আশ!
যদি হংস হইতাম
পরাণ ভরে
ডিগবাজী খাইতাম!
খুব চেনাচেনা, যেন উর্বষীর নাকফুল। (ফুল চিনিনা। নাকফুলটার নাম কেউ জানাবেন )।
শুভ্র আর নীল জমিনে লালপারের চাহনী। ( এইটা বোধয় কলাবতী?! )
সবুজ জমিনে লাজুক হাসি।
পাহাড়ের বুকে বসতবাটী।
কলারুয়ে না কেটো পাত
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত
রুই না থাকলেও কলাগাছ আছে সারি সারি
চাম্পা কলার তুলনা না দিতে পারি
অজানা গুপ্তধনের খোঁজে পাহাড়ের গাছগাছালীর বুক চিরে ছড়ার চোখে চোখ রাখার ঠিক আগের মুহুর্ত।
ছড়ার চোখে চোখ।
ছড়ার বুক চিরে সামনে অগ্রসর।
অন্ধকার গুহাসম ছড়ার হাতছানি।
এ যেন পাহাড়ের কাঁন্না।
মৃত্তিকা সন্তানরা ফ্রেমবন্দী। (বড় ছেলেটির জিজ্ঞাসা! ফুলপ্যান্ট পড়ে আসবো?)
সবুজ ধানক্ষেতে বাতাসের দোলা।
পাহাড়ের বুকে গবাদী পশুর খেলে বেড়ানো।
মুরগী পরিবার গৃহ।
খাদ্য যখন বাঁশ ভাজী (সেইরাম টেষ্টি )
এই পথ যদি না শেষ হয়। তবে কেমন হত।
সান্ধ্যাকাল
তাই
গরুপাল
ঘরে
ফিরাইতেছে
রাখাল
উৎসুক নবাগত।
সাদা,কালো ও সোনালী বুনন।
গাছের ফাঁকে অস্তাগামী রবিমামার উঁকি
বাঁশ বাগানের মাথার নিচে
সূর্য্যি মামা ঐ
আমি ডাকতাছি
তুমি কেন
ভাঁজতাছো খই
এই গাছগুলির নির্মম কাঁন্নার জল দিয়ে মুছে ফেলা হয় যত ক্ষত।
এই আজব প্রাণীটা ভয়ঙ্কর শব্দ করে। কক কক ককর কক শব্দে আত্মা শুকিয়ে যায়। দেখতে ঠিক গিরগিটির মত। সচরাচর চোখে পড়েনা। ক্যামেরা দেইখ্খা লোভ সামলাইতে পারে নাই। এক্কেবারে পুরা ফ্যামিলী হাজির হইছিল। সহযাত্রী কইল কক্কা সাপ!? আমিতো আর জানিনা, তাই মাইন্না নিছি।
অবশেষে অনেক অপেক্ষার পর মায়া হরিণের আগমন- সবাইকে স্বাগতম (বাছুর যদি হরিণ হয়, তাতে আমার কওয়ার কিচ্ছু নাই)