- ময়নার বাপ শুনছ?
- হ্যাঁ বলো ময়নার মা।
- আমি না দুই দিন থেকে ভাত খেতে পারছি না।
- ভাত খেতে না পারা কোনো সমস্যা না। সোমালিয়ার ৩০% মানুষ ভাত খেতে পারে না। তারা ভাতই পায় না। তোমার একজনের না খেতে পারা কোনো সমস্যাই না।
- কেন ভাত খেতে পারছি না জিজ্ঞেস করবে তো!
- কেন গো?
- কারণ আমার খুব মাথা ঘোরাচ্ছে। বমি বমি লাগছে।
- মাথা ঘোরানো এবং বমি বমি ভাব খুব বড় কোনো সমস্যা না। আমেরিকার নিউইয়র্কের মাউন্ডএভার হসপিটালে প্রতি ঘন্টায় ১৬ জন রোগী মাথা ঘোরানো এবং বমি ভাব নিয়ে ভর্তি হয়। তোমার একজনের মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব কোনো ব্যাপার না।
- মাথা ঘোরানো এবং বমি বমি ভাব কেন হচ্ছে জিজ্ঞেস করবে না?
- কেন হচ্ছে?
- কারণ আমি কনসিভ করেছি। আমার পেটে বাচ্চা আসছে।
- আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। বাচ্চা হবে, বাচ্চা হবে। হাহাহাহাহাহা।
- তোমার আনন্দ হচ্ছে?
- তো হবে না কেন? বাচ্চা হওয়া আনন্দের ব্যাপার।
- তুমি জানো তুমি অক্ষম পুরুষ। ডাক্তার বলে দিয়েছে তুমি কখনো বাবা হতে পারবে না। তোমার বউয়ের পেটে বাচ্চা এসেছে এটা জেনেও তোমার হাসি আসে কীভাবে? আনন্দ করো কীভাবে?
- হাসব না কেন? এটা কোনো সমস্যাই না। ইউরোপের একটা দেশ আছে নরওয়ে। নরওয়ের ২৫% মানুষ জানেই না তাদের বউয়ের পেটের বাচ্চাটা কই থেকে আসল। আমার একজনের বউয়ের পেটে উড়ো পার্সেল কোনো ব্যাপারই না।
- বাচ্চাটা কীভাবে আসল জানতে চাইবে না?
- কীভাবে আসল?
- আমাকে রেইপ করা হয়েছিল। রাস্তায় বের হয়েছিলাম। কয়েকজন ধরে নিয়ে রেইপ করে ছেড়ে দিয়েছে।
- হাহাহা। এটা কোনো সমস্যাই না। আমেরিকায় প্রতি ১৭ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হয়। ইংল্যান্ডে হয় প্রতি ১৭ মিনিটে একজন। তোমার একজনের ধর্ষিত হওয়া কোনো সমস্যাই না।
- তোমার বউ ধর্ষিত হয়েছে জেনেও তুমি হাসছ? ওরা আমাকে কেন ধর্ষণ করেছে জানতে চাইলে না যে?
- কেন করেছে?
- কারণ তারা জানে ধর্ষণ করলেও কোনো বিচার হবে না। ধর্ষণ ফ্রিতে করা যায়। যাকে তাকে করা যায়।
- হাহাহা। এটা কোনো সমস্যাই না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান চীনে যে গণধর্ষণ করেছিল তার বিচার কোনোদিনও হয়নি। তোমার একজনের ধর্ষণের বিচার হওয়া খুব জরুরি না।
- তাও হাসি আসতেছে? ধর্ষণ শেষ করে ওরা কী বলেছে জানো?
- কী বলেছে?
- ওরা বলেছে তোমার বাবাও নাকি তোমার মতোই অক্ষম ছিল। তোমার জন্ম হয়েছে তাদের বাপের মাধ্যমে। তোমার মাকেও এক সময় ধর্ষণ করা হয়েছিল। তুমি জারজ, বাস্টার্ড।
- হাহাহা। এটাকে তো সমস্যাই বলা যায় না। ফিনল্যান্ডের ১৮%, অষ্ট্রিয়ার ২১%, সুইডেনের ১২%, রুমানিয়ার ১১%, নেদারল্যান্ডের ১৯% মানুষ জানেই না তাদের বাবা কে। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ নরওয়ের ২৭% মানুষ জারজ। হাহাহাহাহা। আমার একজনের বাস্টার্ড হওয়া কোনো ব্যাপারই না। হাহাহাহা।
- হিহিহিহিহি।
- হাহাহা, হোহোহো, হিহিহিহি।
- হিহিহিহিহিহি। হাসতে হাসতে মরে গেলাম ময়নার বাপ।
- মরে যাওয়া কোনো সমস্যাই না। পৃথিবীর সেরা ১০ টা সুখী দেশের ১০০% মানুষই এক সময় মরে যাবে। দুনিয়ার কেউ অমর না। সবাই মরে। হাহাহাহাহাহা
- হিহিহিহিহিহি।
- হোহোহোহোহো........
(এই লেখার মানে যারা বুঝতে পারেননি আপনাদেরকে অভিনন্দন। আজকের দিনে আপনারাই প্রকৃত সুখী মানুষ)
লিখাঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহীত, লেখকের পরিচয় জানা যায় নাই, জানা গেলে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দিব।
যারা ছাত্রছাত্রীদের প্লাকার্ডের ভাষা নিয়ে খুবি চিন্তিত তারা নিজ দায়িত্বে ভিডিওটা দেখে নিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১০