ঢাকার দূষিত বায়ু ও ঝাপসা আকাশ দেখতে দেখতে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায় তাই মাঝে মাঝে সাইকেল নিয়ে চলে যাই একটু বাতাস খেতে সাথে নদীর বুকে সূর্যাস্ত দেখতে পাওয়াটা বোনাস। গত শুক্রুবার গিয়েছিলাম বসিলা ব্রিজ পার হয়ে কেরাণীগঞ্জ, মোহাম্মাদপুর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। যাওয়ার সময় মেঘ ছিল আকাশে, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে সাইকেল চালাব এটাই চাচ্ছিলাম মনে মনে, সেই আশাও পূরণ হয়ে গেল। সবচেয়ে সবচেয়ে ভালো লাগলো বৃষ্টি শেষে পরিষ্কার আকাশে ডুবন্ত সূর্যের সোনালী আভা। হয়ত খুবী সাধারণ দৃশ্য তবুও ভালো লেগে গেলো অনেক। আরো ভালো লাগলো নদীর বুকে সূর্যের আলোকচ্ছটা, নদীর পানিটাও পরিষ্কার, টলটলে, বুড়িগঙ্গার মত কালো না তাই আরো ভালো লাগলো। ছবিটা হ্য়ত তুলতে পারি নাই তবে দৃশ্যটা আসলেই অসম্ভব সুন্দর ছিল যা বলে বুঝাতে পারব না। দিয়াবাড়ি, ৩০০ ফিট, আশুলিয়া অনেক যায়গায় গিয়েছি কিন্তু বসিলায় নদীর উপর সোনালী আকাশের প্রতিচ্ছবি এরকম আগে কখনও দেখি নাই, এমনকি পদ্ম নদীর বুকেও না, কারণ হয়ত পদ্মার পানিও অনেক ঘোলা। এর আগেও বসিলায় গিয়েছি তবে সঠিক সময়ে বৃষ্টি ও গোধুলী না থাকায় এরকম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ হয় নাই। ক্যামেরা নিয়ে গেলে হয়ত আরও ভালো ছবি তোলা যেত। ব্লগের ফটোগ্রাফারদেরও আমণ্ত্রণ জানাচ্ছি যায়গাটা একবার ভ্রমণ করে কিছু ভালো ছবি তুলে আনার।
পরের ছবি দুইটা বৃষ্টির হওয়ার আগে যখন ব্রিজ পার হয়ে কেরাণীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলাম। ব্রিজ পার হওয়ার দশ পনেরো মিনিটের মধ্যেই বৃষ্টে শুরু হয়ে গিয়েছিল। আগের ছবি দুইটা ফেরার পথে যখন ব্রিজ পার হচ্ছিলাম, ততক্ষনে বৃষ্টি শেশ হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য বলা যেতে পারে বৃষ্টি শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মাঝে মাঝে প্রকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করলে চোখ ও মনের প্রশান্তি আসবে ও একঘেয়ামি কেটে যাবে। তাই সবাইকে আহবান করব প্রতি সপ্তাহে না হোক অন্তত মাসে একবার হলেও একটু গ্রামের দিকে যেয়ে ঘুরে আসবেন, বা সময় কাটাবেন। তাতে করে অনেক মানসিক অশান্তি বা দুশ্চিন্তা দুর হয়ে যাবে। একটু নিরিবিলি যায়গায় যাবেন, যেখানে সচরাচর মানুষের ভীড় কম হয়, মানুষের ভীড়ে গেলে আমার স্ট্রেসতো কমেই না, আরো বেড়ে যায়। তাই কক্সেস বাজার যেয়ে আমি তেমন কোন আনন্দ পাই না বা কোন পিকনিকে যেয়েও না। বড় জোড় বউ আর মেয়েকে নিয়ে নিরিবিলি কোথাউ যাই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭