লেখকঃ পিনাকী ভট্টাচার্য
প্রকাশনায়ঃ গার্ডিয়ান পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা
প্রথম কথা.
আমার পাঠ তালিকায় পিনাকীর লেখা এটাই প্রথম বই। ’১৭ তে প্রকাশ হওয়ার পরপরই কেনার ইচ্ছা ছিলো। অলসতায়-অবহেলায় শেষ পর্যন্ত ’১৯ এর শেষে এসে পড়ার সুযোগ হলো। বইয়ের প্রতিটি পরতে পরতে চেপে রাখা সত্যের বহিঃপ্রকাশর।রেফারেন্সের ভিত্তিতে লেখক প্রতিটি তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। অজানা সত্য জানার কৌতুহল আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ অবধি। মোটাদাগে বলতে গেলে কয়েকটা কথা বলতে হবে ‘আওয়ামী লীগ ও ইসলাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামপন্থী’, ‘দেশ গড়ার মূলনীতি ও সেক্যুলার’। আমি মোটামুটি নিজের ভাষায় বইয়ের (আমার কাছে মনে হওয়া) গুরুত্বপূর্ণ অংশের সামারাইজ করেছি। নিম্নে ৫ টি পয়েন্টে তা পেশ করা হলো।
১.
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দল বলতে প্রধানত তিনটি দল ছিলো। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জামাতে ইসলাম এবং নেজামে ইসলাম। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অবস্থান ছিলো সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে। দলটির তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আমির ছিলেন মাওলানা আজিজুল হক রহঃ (শাইখুল হাদিস সাহেব হুজুর)। অন্যদিকে বাকি দুটি দল স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
যুদ্ধ প্রস্তুতিপর্বে শাইখুল সাহেব হুজুর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘ বৈঠক করেন।বৈঠকের পর শেখ সাহেব হুজুরের প্রশংসা করে পত্রিকায় বিবৃতিও প্রদান করেন। সে সময়কার দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাগণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে অবস্থান নেন। ২৫ মার্চ এর গণহত্যার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তখনো বন্ধ হয়নি কিন্তু প্রধান সারির মাদরাসাগুলো বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অংগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যাত্রাবাড়ি মাদরাসা, লালবাগ মাদরাসার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রখ্যাত আলেম হাফেজ্জি হুজুর রহঃ পাকিস্তানিদের ‘জালেম’ এবং এ যুদ্ধকে ‘জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লাড়াই’ বলে আখ্যায়িত করেন। হাফেজ্জি হুজুরের প্রাণ-শক্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে মাওলানা এমদাদুল হক আড়াইহাজারি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন।
শুধু দেশের আলেমগণই নন স্বয়ং পশ্চিম পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের তৎকালীন আমির মুফতি মাহমূদ জনৈক রাজনৈতিক নেতা বঙ্গবন্ধুকে ‘গাদ্দার’ বললে তার ঘোরতর বিরোধিতা করেন এবং রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসের মতো যেসব বাহিনী পাক হানাদারদের সহযোগিতা করছিলো তাদের কড়া সমালোচনা করে তাদের বিলুপ্ত করার দাবি করেন।পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় মুফতি সাহেবের পেশওয়ারস্থ অফিস আক্রমণের পর্যন্ত শিকার হয়। তবুও তিনি তার মত থেকে সরে আসেননি।উপরন্তু, ২৬ মার্চ ’৭১ সালে ঢাকা এসে পূর্ব পাকিস্তান অংশের নেতাদের বলে যান “আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলুন, দেশের মানুশকে মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহিত করুন”।
ভারতের ওলামায়ে কেরামও বাঙ্গালিদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানান।বিশেষভাবে পাক বাহিনীর জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তৎকালীন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারি জেনারেল ও ভারতীয় পার্লামেন্টের লোকসভার সদস্য হযরত আসআদ মাদানী (রহঃ)। হযরত ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সেমিনার, কনভেনশন আয়োজন করে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে জনমত সংগঠিত করেন। এবং পাশাপাশি স্বৈরাচারী ইয়াহইয়া খানের বর্বর নির্যাতন, নিপীড়ন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানুশকে সোচ্চার করে তোলেন। এছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবের গ্রেফতার ও বিচারের প্রতিবাদে এবং মুক্তিকামী জনতার এ ন্যায়ের সংগ্রামকে সমর্থন করে দিল্লিতে তাদের কেন্দ্রীয় ওয়াকিং কমিটিতে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।যার বিস্তারিত এ বইটিতে উল্লেখ রয়েছে।
২.
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ – এটা নিয়ে কারো কোন প্রাকার সন্দেহ নাই।তাদের গঠনতন্ত্রের ১ নং ও ১০ নং ধারায় যথাক্রমে উল্লেখ আছে “দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি করা” এবং “To disseminate true knowledge of Islam and its high morals and religious principles among the people” ।
’৫৪ এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচিত হয়।সেখানে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচির মুলনীতি হিসাবে ঘোষনা করা হয় “কুরআন-সুন্নাহর মৌলিক নীতির খেলাফ কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না এবং ইসলামি সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে নাগরিকদের জীবনধারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”। প্রসঙ্গত বলতে হবে যুক্তফ্রন্টের প্রধান শরীক দল ছিলো আওয়ামী লীগ। ’৬৬ সালে সংগঠনটির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি পেশ করেন।সেই দাবিসমূহের কোথাও সেক্যুলারিজমের কথা উল্লেখ ছিলো না। ’৬৯ এর গণআন্দোলনের ১১ দফার কোথাও সেক্যুলারিজমের কথা উল্লেখ ছিলো না। এমনকি ’৭০ এর নির্বাচনী প্রচারণায় স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছিলো “কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ করা হবে না”।নির্বাচনে বিজয় লাভের পরও আওয়ামী লীগ এ মতের উপর অবশিষ্ট ছিলো।এক কথায় বলতে গেলে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি পর্যন্ত কোথাও কোনো সভা, সেমিনার, প্রচারপত্র, ইশতেহার, মেনুফেস্টো ইত্যাদিতে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র গড়ার প্রস্তাবনা বা প্রচারণার প্রমাণ পাওয়া যায় না।কারন মুক্তিকামী জনগণের কাছে এটা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট ছিলো যে, এট ধর্মে-ধর্মে লড়াই নয়। এটা বরং অধিকার আদায়ের লড়াই।দেশের প্রায় ৮৫ % মানুশ ছিলো মুসলমান। সন্ত্রসী ইয়াহইয়া ইসলামের ধর্মের দোহাই দিয়ে অপ্প্রচার চালিয়ে মুসলিম-অমুসলিম, নারী-পুরুশ নির্বিশেষে হত্যাযজ্ঞ শুরু করল তখন আর সংগ্রামী জনতার বুঝার বাকি রইলো না। ইসলাম কখনো রাতের আঁধারে নিরস্ত্র মানুশের উপর এ ধরণের বর্বরচিত হামলার তথা নির্বিচারে খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ অনুমোদনতো দেয়ই না বরঞ্চ এটাকে জঘন্যতর অপরাধ বলে গণ্য করে। অতএব অধিকাংশ মানুশের এ ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে কখনো উপেক্ষা করেনি কিংবা এর এগেইনস্টে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার আওয়াজ তোলেনি।
৩.
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সভা, সেমিনার, বক্তৃতায়, চিঠিপত্রে অসংখ্য ইসলামিক চিহ্ন ও পরিভাষার ব্যবহার ব্যাপাকভাবে লক্ষ্য করা যায়। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, আল্লাহু আকবার, ইনশাআল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, মরলে শহিদ-বাঁচলে গাজী। বেতার মাধ্যমে বেসামরিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণায় “নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লীয়ালা রাসুলিহীল কারিম”, “নাছরুম মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারিব। আল্লাহর সাহায্য ও জয় নিকটবর্তী”। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ শেষেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। তাঁর বক্তৃতায় দৃপ্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিলো “…. এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ”। মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিভিন্ন অধিবেশনেও এসব শব্দমালা ও পরিভাষা ব্যবহারের পরিষ্কার আলামত পাওয়া যায়। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠিপত্রে এর নযির মেলে স্পষ্টভাবে। বাবা-মা কিংবা পরিবারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরিত চিঠিতে চোখ বুলালে সালাম, ইনশাআল্লাহ, নামাজ পড়ে তাদের জন্য দোয়া কামনাসহ আরো নানান ইসলামি সিগ্নাচার ব্যবহার করা হয়েছিলো বলে এই বই থেকে জানা যায়।
৪.
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পার্শবর্তী ও পৃথিবীর বৃহত্তম একটি গণতান্ত্রিক (তৎকালীন) রাষ্ট্র ভারতের কাছে এ নতুন দেশটির স্বীকৃতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়।চিঠির কোন উত্তর আসে না। অভিন্ন আবেদন করে দ্বিতীয় চিঠি পাঠানো হয়। সেটারও কোন প্রতিউত্তর আসে না। তখন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, কেন ভারত স্বীকৃতি দিচ্ছে না। প্রথম দুই চিঠিতে দেশ পরিচালনার কোন মূলমন্ত্র উল্লেখ করা হয়নি। এবার তৃতীয়বারের মতো চিঠি পাঠানো হয়।এখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ কারা হয় – …We should like to reiterate here what we have already proclaimed as the basic principles of our State policy , i.e. democracy, secularism, socialism and the establishment of an egalitarian society.
যার পূর্ব কোন ভিত্তিতো দূরের কথা, আওয়ামী লীগের তাদের প্রচার-প্রচারণা এবং ইশতেহারসহ সকল জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলো এর ঠিক ব্যতিক্রম তিন মূলনীতির – সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের। এখানে বে-নজিরভাবে চার নীতি তথা ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও সমান অধিকারের সমাজ আম-জনতার অলক্ষেই অনুপ্রবেশ করে এ দেশে। শেষের নীতিটি অভিন্ন হলেও বাকি তিন নীতি সম্পূর্ণরূপে ভিন্নধর্মী। এসব নীতিতে দেশ পরিচালিত হবে এমনটা স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে ধর্মপ্রিয় মানুশের জানা থাকলে যুদ্ধেই অংশ নিতো কিনা সেটা একটা রীতিমত প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। যাদেরকে প্রতিনিয়ত ইসলাম ধর্ম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করার এবং কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন না করার ব্যপারে সর্বদা ওয়াদা করা হয়েছে তাঁরা ঘূর্ণাক্ষরেও এমন নীতি স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে মেনে নিতে পারে না। স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে এভাবেই উক্ত চার নীতির অনুপ্রবেশ ঘটে এ দেশের রাজনীতিতে।
৫.
ভারতের আমদানিকৃত চার নীতি বাংলাদেশি সেক্যুলারদের জন্য একটি বিরাট নেয়ামত হিসাবে কাজ করে। কেমন যেন মেঘ না চাইতেই জল।কাকতালীয়ভাবে তাদের ফেভারে চলে যায়। তারা এই সুযোগের ব্যাপক সদ্ব্যবহার করে।তারা স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এহেন কোন অপপ্রচার চালাতে পিছ পা হয় না। নাটক, সিনামা, কার্টুন, বইপত্র, পত্র-পত্রিকা প্রায় সবখানে ঢালাওভাবে ইসলাম, মুসলিমদের স্বাধীনতা বিরোধী বলে বিষোদ্গার চালায়। এমনকি মুসলিমদের ধর্মীয় নানান প্রতীক-চিহ্ন ও পোশাক-পরিচ্ছদকে তারা বিকৃতরূপে অর্থাৎ রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরূপে ব্যাপাক প্রপাগান্ডা চালায়।অথচ প্রকৃত রাজকার বাহিনীর বেশ-ভূষা, পোশাক-পরিচ্ছদে বিন্দু মাত্র ইসলামের ছাপ ছিলো না।
তাদের বিষোদ্গারে অনেক কাজ হয়।মিথ্যার সয়লাভে সত্যের উপর খানিকটা আবরণ পড়ে যায়। মানুশের বিশ্বাসের ভীত নড়বড়ে হতে শুরু করে। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। কিন্তু সত্য যেহেতু কখনো হারাবার নয় কাজেই সেইসব চেপে রাখা সত্যই এই বইটিতে উঠে এসেছে। সাথে সাথে ভন্ড সেক্যুলারদের আসল চেহারাও প্রকাশিত হয়েছে।
শেষ কথা.
আমি মনে করি বইটি নিঃসন্দেহে চেপে রাখা ইতিহাসের একটি জ্বলন্ত দলিল। যে কাজটি করার দায়িত্ব ছিলো ইসলামপন্থীদের। স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছরেও তাঁরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে প্রমান করতে পারলো না; করতে হলো পিনাকীর। এই অবহেলার কন্সিকোয়েন্সই তাঁরা আজ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সেক্যুলারগোষ্ঠী স্বাধীনতা উত্তর সময়ে মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম বা মুসলিমদের বিরোদ্ধে দাঁড় করিয়েছে সেটার পেছনে ইসলামপন্থীরাই বড় দায়ী বলে আমি মনে করি। তাঁরা যদি সেক্যুলারদের প্রপাগান্ডার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সোচ্চার হতো, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতো তাহলে একদিকে যেমন লক্ষ কোটি নতুন প্রজন্ম আজ এধরনের মিসকন্সেফশনের শিকার হতো না অন্যদিকে স্বয়ং সেক্যুলারগোষ্ঠই অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়তো। অস্তিত্বের ঝুকি নিয়ে তারা অন্তত এ ধরনের মিথ্যাচারের দুঃসাহস দেখাতো না। জল এতো ঘোলা হতো না। নতুন করে ইসলামপন্থীদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান প্রমান করতে হতো না।
অতএব, এই টাস্ক থেকে স্পষ্ট হলো যে, কোন জাতি যদি নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার সম্পর্কে বেখবর বা উদাসীন থাকে তাহলে বরং লড়াইয়ের এ পৃথিবীতে তাঁদের টিকে থাকাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। লাস্টলি, ইসলামপন্থীরা এখনো যদি সর্ব বিষয়ে সজাগ নাহয় থাহলে তাঁদের ইতিহাস আরো নির্মম কিছু হলেও আমি অবাক হবো না।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৫