বহুদিন আগে স্বপ্ন চাষ করেছিলো জমির আলী; অন্দর এক প্রান্তর চিরে বপন করেছিলো লালিত স্বপ্নবীজদের।
পরিচর্যায় কোন ঘাটতি ছিলো না জমির আলীর, ছিলো আপন সন্তানদেের মায়া মমতা।প্রকৃতিও তার পক্ষে ছিলো। সে ভরসা পেলো।একবুক আশা নিয়ে সুখের পরম মুহূর্তটি দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো।
.
আ-র শেষ হয় না অপেক্ষার রশি!
.
বহুদিন পর, আজ তার সামনে পরম মুহূর্তটি হাজির হয়েছে। স্বপ্নরা তার মাটি ফুটে মাথা উঁচিয়েছে।কচি দু'পাতা জাগিয়ে যেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছে।থইথই আনন্দে জমির আলীর চক্ষুদয় অশ্রুসিক্ত হয়।সে ভাবতে চেষ্টা করে এরা তার নবজাত সন্তান।
.
অল্পদিনে স্বপ্নেরা কচি বয়স পার করে এখন কৈশরে।কী অপূর্ব না দেখতে! শিশির ধোয়া সবুজ, সজীব এবং সতেজ।যেন কচি খোকা - খুকিদের মিলনমেলা।কচি কণ্ঠে কোমল শরীর দুলিয়ে দুলিয়ে তাকে আশাব্যঞ্জক গান শোনাচ্ছে।জমির আলী গাঢ় নেশায় বিভোর ; অসীম - অকৃত্রিম ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে দেয় ওদের কোমল শরীরে।ছেলেমানসির ন্যায় সশব্দে বলে ওঠে-তোমরা আমার সন্তান, তোমাদের নিয়ে আমি বড় আনন্দ-সুখে আছি।
.
আজকাল তা আর হলো কই? আমার স্বপ্নচারাগুলো ঢের নিঃশ প্রায়।চাষবাসে চাষির সেই শক্ত হিম্মত আর নেই।প্রকৃতিও এখন বিপক্ষে।
এ কেমন অনাচার! আমার স্বপ্নরা-সন্তানেরা কি তাহলে অনাহারে মারা পড়বে!?ওরা কি আজ মৃত্যুপুরীর অভিযাত্রী!?এর দায় আমি কাকে দিই?! প্রকৃতিকে, না চাষিকে?
.
উত্তরা, ঢাকা
০৮/১০/১৫
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২