আ.লীগ বিএনপির রাজনীতির হাত থেকে রেহায় পায় না এ দেশের শ্রেষ্ট সন্তানেরা! যাক যে বিষয়ে কিছু বলার ইচ্ছা.. সাধারনত বাংলাদেশের অন্যান রাজনীতিক দল গুলোর(জামাত বাদে) তুলনায় স্বাভাবিক ভাবে আ.লীগের প্রতি দেশের মানুষের আশা ভরসা বেশী থাকা স্বাভাবিক তাদের চেতনার দাবী অনুসারে।
গত নির্বাচনে আ.লীগের শ্লোগান ছিলো দিন বদল বা ডিজিটাল বাংলাদেশের। দেশের মানুষ তথা নতুন প্রজন্মের মনে ধরে শ্লোগান টা। ভোট ও পায়। কিন্তু নতুন প্রজন্মের নতুনেরা মনে হয় ঠিক বুঝতে পারে নি! দিন বদল যে শুধু বিএনপি বদল!
প্রত্যেক নব নির্বাচিত সরকারের কিছু চাটুকার নেতা এবং আমলা কে দেখা যায় নাম পরিবর্তনের মিশনে নেমে যেতে লুঙ্গি খুলে!! এই রাজনীতিবিদ এবং আমলাদের তো কোন মান সম্মান নাই লেংটা হইলে কি না হইলেই বা কি। কিন্তু যাদের নাম নিয়ে তোমরা অপমানের খেলে যাচ্ছো তাদের অনুরক্ত বাকী ১৪ কোটি মানুষের কথা ভেবেছো? বিএনপি ভুল করেছে তাই আ.লীগ কে ও করিতে হইবে!! বঙ্গবন্ধু, মাওলানা ভাসানী, জাতীয় চার নেতা সহ অন্যান মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নিয়ে চিনিমিনি খেলা তোমরা কবে শেষ করবা? আ.লীগ সব কিছুর সাথে বঙ্গবন্ধু তথা শেখ পরিবারের নাম জড়িয়ে দেয়ার পন্দি দৃষ্টিকটূক। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু বা ভাসানীর নামে কোন কিছুর নামকরনের মাধ্যমে তাদের কে মহিম্নানিত করার কিছুই নাই। তারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জড়িয়ে আছেন, থাকবেন। জনগণের টাকায় নির্মিত যে কোন স্হাপনার নামকরন নিয়ে মনে হয় পৃথিবীর আর কোন দেশে এত নিচু স্তরের ঘৃণ্য রাজনীতি চলে না। স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু, টাকার উপরে ছবি বঙ্গবন্ধু, নভোথিয়েটার বঙ্গবন্ধু, পিজি হসপিটাল বঙ্গবন্ধু, সেতু বঙ্গবন্ধু। একই ভাবে জিয়া বিমান বন্দর, জাদুঘর, কলেজ, স্কুল! জানি বিএনপি পরিবর্তন করেছে নভোথিয়েটারের নাম কিন্তু আ.লীগের কি উচিত ছিলো না অন্তত মাওলানা ভাসানীর নামটার প্রতি সম্মান করে নাম পরিবর্তন না করা? যে ভাসানী বঙ্গবন্ধু সহ অনেক রাজনীতিবিদের গুরু তথা আ.লীগের প্রতিষ্টতা।কুকুরে কামড় দিয়েছে তাই বলে আমাকে ও কামড় দিয়ে প্রমান করিতে হইবে আমি দিন বদলে বিশ্বাসী? মাওলানা ভাসানীর হয়তো বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হাসিনার মতো মেয়ে নাই তাই খালেদার মতো একই রাজনীতি খেলার কেউ নেই। সব কিছুর সাথে ভাসানীর নাম জড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নাই।
আওয়ামীলীগের নামকরনের আওয়ামীলীগ করন দৃষ্টিকটূক! নামকরনের পূর্ব শর্ত সে ব্যাক্তিটি হয়তো শেখ পরিবারের নয়তো স্হানীয় আওয়ামীলীগের মরহুম নেতা হতে হবে!! ফতুল্লা স্টেডিয়ামের নাম স্মরন করা যায়।
যাই হোক..........
দুই বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমীন এবং মতিউর রহমান নিয়ে ও একই রাজনীতির খেলা চলছে চট্টগ্রামে এবং খুলনায় বিভাগীয় স্টেডিয়ামে!! অথচ দর্শক হয়ে নিরব দুইটি শ্রেষ্ট মানুষ হাত তালি দিয়ে যাচ্ছ..., জয় হোক তোমাদের।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়াম বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিনের পরিবর্তে নতুন করে নামকরন করা হচ্ছে রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর সহচর সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরীর নামে! ঠিক একই ভাবে খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের পরিবর্তে শেখ আবু নাছেরের নামে!! ১৯৯৬ পরিকল্পনা ২০০১ পরিবর্তন! ২০০৯ এসে.... দিন বদল!?
আওয়ামীলীগ সমর্থকদের দাবী নাম পূন্য-স্হাপন করা হচ্ছে অথচ ঘটা করে আকিকা করা হচ্ছে মন্ত্রীর উপস্হিতি রক্ষা করে!!
জনগনের টাকায় জনগনের শ্রেষ্ঠ মানুষ গুলো নিয়ে তোমাদের চেতনার রাজনীতি খেলায়; ক্ষত বিক্ষত করে যাচ্ছে আমার মতো মানুষদের.......
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৩