দেশের সব জায়গা এখন গরম! এই গরমের মইধ্যে ও অনেক কিছু ঠান্ডা! কি কি
গরম? কি কি প্রশ্নে জাতি ঠান্ডা(নিরব)? বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই জঙ্গিবাদে দেশ গরম, বিডিআর বিদ্রোহে দেশের খুটি নাড়া ছাড়া দিয়া উঠে ছিলো নিজেদের দেয়া ঝাকুনিতে। তোরাব আলী জঙ্গি বাংলা ভাইয়ের দুলাভাই তার ভাগনে লেদার লিটন। বিডিআর বিদ্রোহে জঙ্গি জড়িত ছিলো- অবঃ কর্ণেল ফারুক। সূত্র ভারতীয় মিড়ায়া ভায়া সমকাল সম্পাদক আবেদ খান সহ আরো অনেকে। সেক্টর কমান্ডারা ও অবশ্য একেই সুর তুলে ছিলো!! খালেদার বাড়ি নিয়া বিএনপি গরম। আওয়ামীলীগ সফল বিএনপি কে অন্য ইস্যুতে ব্যস্ত রাখতে। তাদের কাছে দেশের স্বার্থের চেয়ে খালেদার বাড়ি, তারেক,কোকোর মামলার স্বার্থ অনেক কিছু। দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়া প্রথম আলো গরম। যুমনা গ্রুপের জমি দখল প্রথম আলো সুশীল, বসুন্ধরা আকবর মইন পিরিত জাত গেলো জাত গেলো লতিপুরের জমি দখল, দুর্নীতি, সুশীলীয় প্রেম মতি আনাম আরামে দূরে ঘুমায়! টিপাইমুখ বাধ নিয়ে তেমন কোন রিপোর্ট নাই দশ ট্রাকের মতো ডেইলি! সৎ সাংবাদিকতার নমুনা দেখিতে দেখিতে পত্রিকা মরিয়া গেলো। জনতার পশ্চাৎদেশে চেতনা ডুকিয়া যাইবে। দেশপ্রেমের তত্ত্ব নিয়া জাতি চেতনায় চেতনায় বিভক্ত! দেশের স্বার্থ নয় ক্ষমতায় আসার প্রতিদানেই কর্ম ব্যস্ত আমাদের নেতাদের জীবন।
রাজাকারী(যুক্তির(প্রযুক্তির) ইতিহাস শুন্যের উপরে দাঁড়ানো নিঃস্বার্থের বাণী
এখন একটু ইতিহাস গাটা গাটি করা দরকার। দশ ট্রাক অস্ত্র কি বাংলাদেশী জঙ্গিদের জন্য আনা হয়েছে? নাকি উলফার ছিলো। উলফা যদি স্বাধীনতাকামী হয় তাহলে আমরাও ৭১এ স্বাধীনতাকামী ছিলাম। উলফা যদি সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী হয় তাহলে আমরাও ৭১এ বিছিন্নতাবাদী ছিলাম। এখন যদি ভারতের অভিযোগ সঠিক হয় তখন তাহলে পাকিস্তানের অভিযোগ সঠিক ছিলো। আসাম যদি দিল্লীর বৈষম্যমূলক অপশাসন এবং শোষনের শিকার হয়ে থাকে। আমরা কি হই নি? অনুপ যদি ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলার শিকার হয় তাহলে আগরতলা ষড়যন্ত্রের কি হবে? উলফা যদি সাহায্য না পায় তাহলে বাংলাদেশ কিভাবে পেয়ে ছিলো? বা তামিলেরা কিভাবে পাইলো? অথবা দালাইমারা কিভাবে পায়? যে কোন স্বাধীনতাকামী জাতি গোষ্টি কে তাদের সমর্থন দিতে বাধ্য নৈতিক এবং সাংবিধানিক নীতি অনুসারে। যদি এসব ভুল হয় তাহলে কোনটা এ দেশের নীতি হওয়া উচিত?
কিভাবে এই দেশের সাবেক বর্তমান গোয়ান্দারা গ্রেফতার হয়? কার স্বার্থের রক্ষার জন্য? yes, we can change এর বারাক ওবামা যদি দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বন্ধি নির্যাতনের রিপোর্ট প্রকাশ করতে অস্বীকার করে। তাহলে আমাদের দিন বদলের সরকার কিভাবে এই দেশের গোয়ান্দাদের গ্রেফতার(দেশের স্বার্থ পরিপন্হি কাজ ব্যতিত) করে। মজাদার ফটোসেশন করে? দিন বদলের শপথ বাক্য কি প্রনব বাবু পাঠ করিয়েছে? দেখো দেশ বিরুদ্ধীতা করা যাবে মাগার ভারত বিরুদ্ধীতা করা যাবে না! যারা করবে তাদের হাল এমন হবে। ভারত যা খুশি মন চায় করতে পারবে তারা হাজার শন্তু লারমাদের জন্ম দিবে তাদের গোয়ান্দারা অস্ত্র দিবে প্রশিক্ষণ দিবে কিন্তু এই বিষয়ে টু শব্দ ও করা যাবে না! তাতে চেতনা নেইতা যায়!এখন হাসিনা সরকারের উচিত যে সব ভারতীয় গোয়ান্দা অফিসার সন্তু লারমাদের প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্র দিয়েছে তাদের বিচারের দাবী করা। অত হাটুর জোর হাসিনার নাই। নাই ঐ দেশের প্রথম আলু নামের সুশীলের বেকধারী নব্য রাজাকারদের। হাসিনা সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে চুপ! তালপট্টি নিয়ে চুপ, সীমান্তে পশু পাখি হত্যা নিয়ে চুপ!! কেন? দশ ট্রাকের চেতনায় দেশ ভেসে যাচ্ছে। পুর্ব-বাংলা লাল পাটির ছুপা রুস্তম সেক্যুলারে চশমা পইরা ঘুরে! কলকাতায় বাংলাদেশ বিরুদ্ধী সম্মেলন হয়।
দিন বদলের নীতি অনুসারে দেশপ্রেম যেমন হইতে হবে
রোবট পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির প্রতি ছুড়ে দেয়া ভারতীয় সাংবাদিকের অন্যায় অভিযোগে নিরব থাকা। কারন আওয়ামী লীগের প্রযুক্তি উপদেষ্টা ভাগিনার নির্দেশের বাহিরে কিছু বলা মানা। ভারতীয় অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাও যাবে না। কারন তা চেতনা পরিপন্হি।
অবঃ বানিজ্যমন্ত্রী কর্নেল ফারুকের বিডিআর বিদ্রোহে নিশ্চিত জঙ্গি কানেকশন পাওয়া। একই রকম কানেকশন "র" সমর্থিত ভারতীয় মিড়িয়ার। গোয়ান্দা রিপোর্ট জঙ্গি কানেকশন নাই। ভারত কে ট্রানজিট দিলে এত এত লাভ হবে। ক্ষতি হবে না! এখানে ক্ষতির হিসাব করা ঠিক না কারন বানিজ্য বৈষম্য হবে সব কিছু চুপ করে সহ্য করার অমূল্য চবক নিয়ে দেশ প্রেমের সেবা করিতে হবে।
পানি সম্পদমন্ত্রীর দেশপ্রেম নিয়ে আমি আত্মহারা ভারত টিপাইমুখ বাঁধ দেক তারপরে ব্যবস্হা নেয়া হবে! ভারত কে ক্ষেপানো ঠিক হবে না! তবে অন্যায় চোখ
বুঝে সহ্য করিতে হবে।
পশু পাখির মতো সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষ কে শিকার করা যাবে। ক্ষমতায় কি বিরুদ্ধী দলে তার প্রতিবাদ করা যাবে না! যত সম্ভব ধন্যবাদ দিয়ে আসা উচিত! কারন এ দেশের জনসংখ্যা কমনোর দায়িত্ব তাদের কে দেয়া হয়েছে। সুশীল কি বিবেক কোন শব্দ করা যাবে না। এসব প্রতিবাদ রাজাকারেরা করবে। কারন তারা পাকিস্তান পন্হি তাদের কাজই ভারত বিরুদ্ধীতা করা। আর দেশপ্রেমিকদের কাজ ভারতের সকল অন্যায়ে নিরব থাকা অথবা সম্মতি দেয়া।
অথচ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে বর্তমান সরকারের মাথা ব্যাথা নাই! বিডিআর বিদ্রোহের তদন্তের সীমা রেখা টেনে দেয়া হলো! কিন্তু কেন? কার স্বার্থে? তোরাব আলী ২৫/২৬ তারিখে কোন দেশে ফোন করে ছিলো? দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার তদন্তের সীমা রেখা নাই! কারন তাতে ভারতের স্বার্থ জড়িত। টিপাইমুখ বাধে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত তাই হাসিনা সরকার নিরব। সুশীলেরা যে কোন মাটি দিয়ে তৈরি তা ভগবানে জানে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ভাব সাব দেখে মনে হয় প্রসাশনে শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ পন্হিদের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৭:২৮