‘এটা জনগণেরও ব্যর্থতা। বাংলাদেশের মানুষ তো এমন ছিল না। রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আমরাও মর্মাহত।’ - বাংলাদেশ হাইকোর্ট ।
হাইকোর্টের বিবৃতিতে মনে হইতেছে দেশের মানুষ হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেইকা উইঠা পরিবর্তন হইয়া গেছে । হাইকোর্ট এই ঘটনার আগে দেশের মানুষ সম্পর্কে কিছুই ঠাওর করতে পারে নাই !
হাইকোর্টসহ যারা এই একই ধরনের প্রশ্ন করতেছেন, তাদের কাছে অনুরোধ ..আপনারা দয়া কইরা পরিবর্তন (Change) আর রুপান্তর(Transformation) এই শব্দ দুইটার অর্থ আর পার্থক্যটা ভালমত জানার চেষ্টা করেন। তাইলেই বুঝতে পারবেন, কেন কেউ এখন আর আগায়ে আসে না বা আসতে চায় না!
অন্য কারো বিপদে আগায়ে আসার দায়িত্ববোধ মানুষের ভিতর থিকা একদিনে গায়েব হয় নাই । এটা একটা লম্বা সময় ধইরা একটা প্রসেসের মধ্য দিয়া গায়েব করা হইছে । এইটা কোন আচানক পরিবর্তন না বরং এক ধরনের রুপান্তর !
দেশের জ্ঞানী হাইকোর্টই যদি এইডা বুইঝাও না বুঝার ভান করে , জনগণের কাছে তা বুঝার আশা করাও বড় ধরনের বোকামী! আমার মনে হয় ..যারা আজকে এই প্রশ্ন করতেছেন ..তারা এই প্রসেসের মধ্য দিয়া গিয়া থাকলে এই ধরনের পরিস্হিতিতে কোন রকম এ্যাকশন নেওয়ার পরিবর্তে দর্শক হওয়ার সম্ভাবনাই খুব বেশি।
যাইহোক, গড়পড়তা মানুষের মত হাইকোর্ট এই ধরনের বিবৃতি না দিয়া তার নিজেকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত - ‘বাংলাদেশের হাইকোর্ট কি এমন ছিল কি না ?’
চোখের সামনে কারো মহা বিপদ দেখার পরও সামনে থেকে কেউ আগায়ে আসতেছে না - এতে জনগণের ব্যর্থতার চেয়েও অনেক আগের আর অনেক বড় ব্যর্থতা হইলো দেশের প্রশাসন আর বিচার ব্যবস্হার । জনগণের আগায়া আসা হইল অপশনাল বা এডিশনাল দায়িত্ব। কিন্তু দেশের আইন কানুন, বিচার ব্যবস্হা আর প্রশাসন থাকতে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে না দেওয়াটা হইল বিচার ব্যবস্হা আর প্রশাসনের জন্য বাধ্যতামূলক দায়িত্ব ।
আয়নায় আগে নিজের চেহারাটা দেখেন, মাননীয় হাইকোর্ট মশাই! আপনাদের মর্মাহত হওয়ার সাথে সাথে কিছুটা লজ্জিত আর বিব্রত বোধ করাটাও এখন জনগণের জন্য অনেক বেশি জরুরী !
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০১