অদ্ভুত সেই কিশোরটি
চক্ষে ,বক্ষে ,গ্রন্থিতে শব্দগুলো ধারণ করে বেড়ে উঠেছিল ধাবমান সময়ের হাতটা ধরে ।
ভেবেছিল শব্দগুলো দিয়ে গান লিখবে,গল্প -কবিতা লিখবে কিংবা সময়ের প্রয়োজনে তেজস্বী মুক্তির ভাষণ হয়ে পড়বে ঝরে ।
অত:পর কিশোর পেরিয়ে তারুণ্য আসে তার,
সেই সাথে বেড়ে উঠে অপ্রকাশিত শব্দসম্ভার ।
ভাবনার কোমল ছোয়ায়
এলোমেলো প্রতিটি শব্দ ঝংকার
নিরিখ করে রাখে,
পাছে হারিয়ে না যায় ।
তারপর একদিন রুঢ় এক বাস্তবতায়
আচমকা সব এলোমেলো ।
দিকবিদিক ব্যস্ততায় হারায় সে নিজেকে,
অবহেলিত সেই শব্দগুলো ।
সময়ের কাটায় শত শত দিন যায় ,
তবুও ব্যস্ততা দেয়না অবসর;
শব্দ ভাঙ্গে ,শব্দ হারায় ।
তারও বহুকাল পর ,
ভাবনার চোখ খুজে ফেরে সেই শব্দ সম্ভার ।
সময়ের পলিতে শব্দগুলো চাপা পড়ে গেছে হৃদয়ের তলানীতে ;
কান পেতে শুধুই চাপা আর্তনাদ শুনতে পায় সে ,
তাতে নেই কোন ঝংকার ॥