প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন ধরেই জোরেশরে প্রচারণা চলছে. সুন্দরবন আমাদের গর্বের বিষয় তাই একে নির্বাচন করার জন্য নানা ধরনের প্রয়াস শুরু হয়েছে । সরাসরি বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে প্রচারনার উদ্যোগ নেয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সরকার কে সহায়তা করছে ।কেউ এ ইস্যু নিয়ে দেশ বিদেশ ঘুরছে প্রচার অভিযান কে বেগবান করার জন্য । প্রচারণা চলছে পত্র পত্রিকায় ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুলোতেও। দেশ বিদেশ যেখানেই আমার থাকি, সবার চেতনায় রয়েছে স্বদেশ। তাই এরকম একটা ব্যাপারে কারো মধ্যেই কোনো কার্পন্য নেই. ভোট চলছে ইন্টারনেট, মোবাইল (এস এম এস) এর মাধ্যমে । কিন্তু খুবই অবাক করার মত ব্যপার যে ইউনেস্কোতে যোগাযোগ করে জানা গেছে তাদের এ প্রতিযোগিতার সাথে কোনো রকম সম্পৃক্ততা নেই ।ইউনেস্কোই একমাত্র আন্তর্জার্তিক প্রতিষ্ঠান যারা এধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পায় । অথচ নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেসন নামে যে প্রতিষ্ঠানটি এধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে তাদের নিজেরই কোনো আন্তর্জার্তিক স্বীকৃতি নেই ।নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রইভেট অর্গানাইজেসন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাদের এই প্রতিযোগিতায় আমার বিপুল অর্থ খরচ করে যদি সুন্দরবনকে প্রথমস্থানেও নিয়ে যাই তাতে আমাদের প্রাপ্তি কি হবে? উল্লেখ্য ওয়েবার বার্নার এর এ প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ সালে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স নামে যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেল এবং তা আন্তর্জাতিক কোনরকম স্বীকৃতি পাইনি। সপ্তাশ্চর্য বলতে আগে যা বোঝাত এখনো তাই রয়ে গেছে।
ইউনেস্কো প্রথমদিকে এই প্রতিযোগীতা নিয়ে আগ্রহ দেখালে ও ভোট পদ্ধতির কারণে তারা এই প্রতিযোগীতা থেকে সরে গিয়েছে অনেক আগেই । ভোট পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন হচ্ছে এক মোবাইল থেকে যত খুশি ভোট প্রদান ।এটা কোন প্রতিযোগীতায় কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা ।এর মাধ্যমে
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক লাভের ব্যপারটি স্পষ্টতর হয় | শুধু মোবাইল বা টেলি ভোটই নয় ইন্টারনেট ভোটের মাধ্যমে তারা কোটি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে| বর্তমানে ইন্টারনেটে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য (ইমেল ,জন্ম তারিখ ) বিক্রি করাও লাভজনক ব্যবসা |
সুন্দরবন ইতিমধ্যে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ প্রজেক্টের আওতায় রয়েছে |তবে আমরা কেন একটা ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের কাছে এত অর্থ ব্যয় করে স্বীকৃতি পাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেছি |নাকি আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতারণার শিকার হচ্ছি | আমাদের পর্যটন বিভাগের কাছেও এই প্রশ্ন রইলো !!
পুনশ্চঃ
নিউ সেভেন ওয়ান্ডার অফ নেচারের ব্যপারে জানতে নিচের লিঙ্কে ভিজিট করতে পারেন
Click This Link