হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেছেন, আজ-কাল দেশের মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, গুম হচ্ছে। একটা রাষ্ট্রের ১০ জন লোকও যদি গুম হয় তাহলে সেখানে সরকার আছে, এটা কি বলা যাবে? যার সন্তান সে হয়তোবা খোঁজ না জানতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্রের সরকারের তার খোঁজ রাখতে হবে। ইংল্যান্ড-আমেরিকার মতো দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পার্লামেন্ট ভেঙে যেত।
গতকাল অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে ল রিপোর্টার্স ফোরামের আয়োজনে আইনবিষয়ক সাংবাদিকদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম কর্মশালা উদ্বোধন করেন।
বিচারপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে বলে আমি মনে করি না। এর পেছনে অশুভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আমলাতান্ত্রিক দেশ। মন্ত্রীদের চেয়ে আমলারা ক্ষমতাশীল। এটা বাস্তবিক সত্য। মন্ত্রীদের মধ্যে সততা, দেশপ্রেম ও দক্ষতার অভাবই এর মূল কারণ। তারা দেশ ও জাতির উন্নতির চেয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। আমলাদের এই ক্ষমতাশালী হওয়ার পেছনে রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিপ্রবণতাই দায়ী। অবস্থা এমন যে, রাজনীতি এবং এর ফল যারা ভোগ করেন তারা সবাই দুর্নীতিবাজ। যত ওপরে যাবেন তত বেশি দুর্নীতি।
বাঁকে বাঁকে মৃত্যু মিছিল থামায় জীবন যেই দেশে
চোখের পানি ঝরে ঝরে বয় রে নদী যেই দেশে
অমূল্য ধন মানব জীবন বড়ই তুচ্ছ যেই দেশে
হেসে হেসে ভাইয়ের গলায় চালায় ছুরি যেই দেশে
ভাইয়ের লাশে ভাইয়ে চড়ে নাচে কুঁদে যেই দেশে
দুঃখ আমার জন্ম হলো সেই দেশে।
ঘটার যা নয় রটার যা নয় তাই ঘটে রোজ যেই দেশে
ভাবার যা নয় হওয়ার যা নয় তাই প্রথা হয় যেই দেশে
দুঃখ আমার জন্ম হলো সেই দেশে।
অযুত নিযুত মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায় যেই দেশে
মিথ্যাবাদীর আওয়াজ সদা উঁচুই থাকে যেই দেশে
সুফি-সাধক মহান পুরুষ কয়েদ খাটে যেই দেশে
দুঃখ আমার জন্ম হলো সেই দেশে।
দেশপ্রেমিকের সন্তানেরা দেশ ছাড়া হয় যেই দেশে
দস্যু খুনি বুক উঁচিয়ে হাঁকায় গাড়ি যেই দেশে
লুটেরাদের বুটের তলায় পিষ্ট স্বদেশ যেই দেশে
বিনা শ্রমেই কোটিপতি হয় যে দেদার যেই দেশে
দু’মুঠো ভাত করতে জোগাড় বুকটা ফাটে যেই দেশে
দুঃখ আমার জন্ম হলো সেই দেশে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১২ ভোর ৫:২১