প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনের জন্যে পাকিস্তান সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা পেয়েছিলেন বলে তাকে ।এটি শেখ হাসিনা হয়তো হাজারতম বার বিএনপি নেত্রী এবং তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মিথ্যা অভিযোগ।প্রধানমন্ত্রী এ অভিোযগ তুলে তাকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেছিলেন। সে মিথ্যা এখন ধরা পড়ে গেছে। সুতরাং স্বভাবজাতভাবে শেখ হাসিনার মিথ্যাচার ও কিছু গালাগাল করে জনসাধারণের মনোযোগ ভিন্নমুখী করার ব্যর্থ প্রয়াস পেয়েছেন।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন'র এপি,এস'র গাড়িতে ৭০লাখ টাকা পাওয়া গেছে। যা নিয়ে দেশের মানুষ কালো বিড়াল বেরিয়েছে বলে মন্তব্য করছে। রাজনৈতিক মাঠ প্রায় সরগরম বাবুর লঙ্কাকান্ডে। এ'পি'এস'র কাছে ৭০ লাখ হলে নতুন মন্ত্রনালয়ের তিনমাস বয়সী মন্ত্রী সুরঞ্জিত দা'র গাড়িতে কথা কুটি থাকতে পারে এবং অন্যান্য পরিপক্ক মন্ত্রীদের এবং মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের গাড়ি কত শত কোটি থাকতে পারে এই ভেবে দেশের সুশীল সমাজ উদ্বিগ্ন। শুধু মনে হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীপরিবার উদ্বিগ্ন নয়। কারন তারা কেল্লাফতেহ বাজিমাত করতে পছন্দ করেন। তিনি কি দাদাকে কোন দেশে পাঠিয়ে দেবেন না জামাই আদর করে মন্ত্রনালয়ে বসিয়ে রাখবেন এটা সাধারণ জনগন জানতে চায়!
প্র্রধানমন্ত্রী সাথে কন্ঠ মিলিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, সরকার পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের কাছে সংশ্লিষ্ট শুনানির অনুলিপি চেয়েছে। দীপু মনি অবশ্যই জানেন কোনো সার্বভৌম দেশের সুপ্রিমকোর্টের কাছে অন্য কোনো দেশ নথিপত্র দাবি করতে পারে না। পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট শুনানির অনুলিপি দেবে না, এ কথা দীপু মনি অবশ্যই জানতেন। কিছুটা সময় নষ্ট করা সরকারের উদ্দেশ্য ছিল।
বিতর্কের ঝড় উঠেছে দুবাইয়ের খালিজ টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত দীপাঞ্জন রায়ের একটি খবরের কারণে। সে খবরে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক প্রধান লে. জে. মোহাম্মদ আসাদ দুররানি সুপ্রিমকোর্টের এক শুনানিতে বলেছেন, বাংলাদেশের ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ কোটি রুপি অর্থ সাহায্য দিয়েছিলেন। ডেইলি মেইল পত্রিকা অনলাইনের ভারতীয় সংস্করণ ঘুরে বাংলাদেশের প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এবং সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রচারিত খবরে বলা হয়েছিল, জেনারেল দুররানি খালেদা জিয়াকে দিয়েছিলেন ৫০ কোটি রুপি। মিথ্যা গুজবের বেলায় যেমনটা ঘটে, এক্ষেত্রেও টাকার অঙ্ক পাঁচ কোটি থেকে ফুলেফেঁপে ৫০ কোটি হয়ে গেছে।
জেনারেল দুররানি নয়া দিগন্ত পত্রিকাকে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শুনানিতে তিনি খালেদা জিয়াকে টাকা দেয়া দূরের কথা, বিএনপি কিংবা বাংলাদেশের নামও উচ্চারণ করেননি। তার সে অস্বীকৃতি পরে আরও কোনো কোনো মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্পূর্ণ মিথ্যা খবরকে পুনঃপুন উচ্চারণ করে রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার আশায় বিএনপি নেত্রীকে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা এবং স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন।
তার পর থেকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, সুপ্রিমকোর্টের সে শুনানিতে জেনারেল দুররানি খালেদা জিয়াকে টাকা দেয়ার কথা বলেননি। আরও পরে পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট দীপু মনির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে, যেটা আমরা আগেই মনে করেছিলাম। যে কোনো সুস্থ বুদ্ধির মানুষই মনে করবেন, এর পর শেখ হাসিনার উচিত ছিল প্রকাশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি সেটা করেননি, বরং উল্টো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও মিথ্যা অভিযোগ করেছেন এবং বিষোদ্গার করছেন।