ডঃ আবুল কালাম আজাদ'র এই পোস্ট >>
শিরোনাম দেখে দয়া করে হাসবেন না বা বদনাম দেবে না। আগে
এ বিষয় নিয়ে একটা সত্যি ঘটনা শুনেন!
আপনারা জানেন, অমুসলিম দেশগুলোর টয়লেটের মধ্যে (বিশেষ করে অফিস ও পাবলিক টয়লেটে) পানির ব্যবস্থা থাকে না। টয়লেটে যারা পানি ব্যবহার করেন তারা ভিন্ন ব্যবস্থা করেন।
বিলাতের মুসলিম টয়লেটগুলোতে (হালাল টয়লেট!!) পানির ব্যবস্থা না থাকলেও বদনা দেওয়া হয়। লোকজন ওয়াশ এলাকার বেসিন থেকে বদনাভরে টয়লেটে নিয়ে যান।
আমাদের অফিসেও স্টাফ টয়লেটের একই অবস্থা। বদনা বের করে বেসিন থেকে ভরে তারপর আরাম করে বসতে হয়।
আমাদের অফিসের একাউন্টেন্ট একজন ভারতীয় বৃটিশ। খুব ভদ্র, নামাজী ও বয়স্ক মানুষ। তাঁর সাথে প্রায়ই যোহরের অজুর সময় বাথরুমে দেখা হয়।
একদিন দেখি, তিনি টয়লেট সেরে বের হওয়ার সময় বদনাটা নিয়ে বের হচ্ছেন। আমি একটু হেসে বললাম, পানির টান পড়েছে মনে হয় !!!
তিনিও আমার কৌতুকের মজা পেয়ে হাসলেন। বললেনঃ আমার টান পড়েনি। তবে, এই সময় অনেককে দেখেছি- খুব তাড়াহুড়ো করে আসেন। তার থাকে নামাজের সময়ের চাপ আর প্রাকৃতিক চাপ। এই দুই চাপ নিয়ে বদনা ভরতে অনেকের খুব কষ্ট হয়। তাই, আমি যদি বদনাটা আগেই ভরে রেখে দিই, তাহলে আমার পরে যে ভাই আসবেন তার চাপ একটু হাল্কা হবে।
সুযোগ পেয়ে কিছু সাওয়াবের কাজ করা আর কি!!
আমি তার এই বিশ্লেষন শুনে অবাক হয়ে গেলাম। অন্য ভাইয়ের কষ্ট কমানোর জন্য অনেকেই অনেক কিছু করেন। কিন্তু অজানা ভাইয়ের জন্য বদনাভরে ভালোবাসা প্রকাশের উদাহরণ আর দেখিনি।
আমি মনে মনে ভাবলাম, অন্য ভাইয়ের জন্য বদনাভরা ভালোবাসা তখনই আসে যখন তার জন্য মনভরা ভালোবাসা থাকে।