বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের কাছ থেকে মাসিক ভাতা নিতেন। তার মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা মানায় না।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা দিবসে খালেদা জিয়াকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যেতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে যুব জাগপা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব ছিলেন পাকিস্তানে আর প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতারা ছিলেন ভারতে। আপনারা কি করে দেখবেন শহীদ জিয়া কোথায় যুদ্ধ করেছেন। বাঙালী জাতি যখন কোনো দিকনির্দেশনা পাচ্ছিল না তখন শহীদ জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছিলেন। তিনি ভারতেও যাননি, পাকিস্তানেও যাননি। এসব জায়গায় কারা আশ্রয় নিয়েছিল জাতি তা জানে।
তিনি বলেন, কোনো বিদেশী শক্তি আপনাদের ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। আপনারা যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন সে প্রক্রিয়ায় জনগণ থাকতে দেবে না। মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য বিদেশী বন্ধুরা সম্মাননা নিতে এসে দেখে গেছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোথায়। যেই গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছিল সেই দেশের সরকার বিরোধী দলের নেত্রীর বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আসতে বাধা দেয়। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার মুখের বক্তব্য শুনলে মানুষ চিন্তায় পড়ে যায় কার বক্তব্য শুনছি। প্রধানমন্ত্রী না অন্য কারো। জনগণ ধরে নিয়েছে কুৎসিত মনের মানুষরাই কুৎসিত কথা বলতে পারে। এ ধরনের বক্তব্যে আপনারই ক্ষতি হবে। আপনার এই ধরনের কুৎসিত বক্তব্যের কারণে আমাদের সুপ্রিম কোর্ট আপনাকে ‘রং হেডেড' বলেছিলেন।
আপনার উচিত ছিল এখন ভালো কথা বলে সেই দুর্নাম ঘুচিয়ে দেয়া। কিন্তু আপনি পুরনো কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার তিন বছরে জাতিকে হত্যা, সন্ত্রাস, গুম, দুর্নীতি ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। কি করে আশা করেন জনগণ আপনাদের আবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। মনে রাখতে হবে জনগণই ক্ষমতার উৎস।