রেহানা আক্তার রানু বলেন, দিনবদলের কথা বলে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সরকারের হানিমুন পিরিয়ড অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। মানুষ বলছে, নৌকার নাকি তলায় ফুটা হয়ে গেছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি দেশের মানুষকে পথে বসিয়েছে। ফেনী নদীর পানি নিয়ে যাচ্ছে ভারত। সরকার প্রশাসন সবাই তখন নিশ্চুপ।
রানু বলেন, ’৯১ সালে গোলাম আযমের পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন শেখ হাসিনা। আবার ’৯৬ সালে কেয়ারটেকার আন্দোলনের সময় জামায়াতের সাথে একত্রে আন্দোলন করেছেন। জামায়াত যখন তাদের সাথে থাকে তখন সঙ্গী, যখন আমাদের সাথে থাকে তখন তারা জঙ্গি। দেশ কালনাগিণীর কবলে পড়েছে। দেশে জংলি শাসন চলছে। আমরা দলনের শাসন নয়, মননের শাসন চাই। এ সরকার আদালতকে দিয়ে তাদের সব অপকর্ম জায়েজ করে নিতে চায়।
তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ও বর্তমান একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ আনেন ও কিছু মন্তব্য করে বলেন, ঝাঁটা দিয়ে পিটিয়ে ভূত তাড়ানো উচিত। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান রক্ষীবাহিনী দিয়ে বিরোধী দলকে মেরেছিলেন। আর তার কন্যা এখন ছাত্রলীগকে নিয়ে বিরোধী দল বিএনপিকে শেষ করতে চাচ্ছেন। তিনি সাগর-রুনি হত্যাকা ও সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খুনের ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, সেই ৪৮ ঘণ্টা আর শেষ হয় না।
আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভেটকি হাসি দেখলে শিশুরা ভয় পায়। আজকের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের লালনকারী। তিনি সন্ত্রাসীদের গডমাদার।
তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আইন প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, এমন সময় আসবে জনগণ আপনাদের পেছনের কাপড় তুলে পেটাবে। তখন কাপড় রেখে পালিয়ে পার পাবেন না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের সূর্যসন্তান। তার নাম শুনলে তাদের গায়ে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। মৃগী রোগীর মতো তাদের চটপটানি দেখা দেয়। তারেককে এত ভয় কেন। যদি প্রশ্ন করা হয় শহীদ জিয়া, বেগম জিয়ার পর কে? সবাই একবাক্যে বলবেন তারেক জিয়া।
আবার যদি বলা হয়, শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার পর কে? এ প্রশ্নের উত্তর কেউ বলতে পারবেন না। এজন্যই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজানো চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান চলে যেতে বলেন। কিন' মানুষ বলে, ‘চশমা ওয়ালা বুবুজান নৌকা নিয়ে ভারত যান।’ তিনি বলেন, গানে বলে তু তু তু তরা, মর্জিনার মা মার্কা মারা। আর মানুষ বলে, তু তু তু তরা, শেখ হাসিনার মুখ মার্কা মারা। তিনি বলেন, দলের অধীন নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন' সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। দলীয় সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। তা করতেও দেবে না।