somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিড়ালের কাছে সুটকি পাহারা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সাহারা....

১৬ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যে সরকার একটি মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশে অঘোষিত হরতাল শুরু করে দেয়। থানায় থানায় পুলিশ দিয়ে জনতার স্রোতে বাঁধ দেয় তাদের মুখে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নিরপেক্ষতা কতটুকু। হ্যাঁ যতটুকু বিড়ালের কাছে সুটকি পাহারা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সাহারা....। এই মন্ত্রীগুলি তত্ত্বাবধয়কে কবর দিয়ে কুলখানি খেয়েছে। একটি মন্ত্রীরও মেরুদন্ড নেই, শেখ হাসিনার সামনে সত্য কথা বলা। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা বহাল রাখার জন্য বলার সাহস নেই তাদের। কিন্তু বিরোধীদলের বিরুদ্ধে যত নোংরামি অসত্য কথা বলা তাদের মত পরিপক্ক কেউ নেই।
১২ তারিখের মহাসমাবেশের ২-৩ দিন পূর্ব থেকেই প্রকাশ্যে সবকিছু বন্ধ করে দেয়া স্বয়ং এককালের স্বৈরাচারী বলে খ্যাত জনাব এরশাদও করেননি। এবার শেখ হাসিনার সরকার তা করতে সক্ষম হয়েছে। এতে কার লাভ হলো, আর কার ভরাডুবি হলো সে বিষয় সরকারের হিসেব করার এত সময় কোথায়? সমাবেশের তিন চার দিন পূর্ব থেকেই ঢাকার রাজপথের অলি আর গলিতে যেভাবে পুলিশ দেয়া হয়েছে তাতে মনে হয়েছে সেই চেঙ্গীসি আমলের দেশ দখলের মহড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষমতাশালীরা যেভাব পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতো তারই প্রতিচ্ছবি। কেন এমনটি করা হলো?

১২ মার্চ কি কেউ ঢাকা দখল করার জন্য সৈন্যসামন্ত নিয়ে সামরিক অভিযান চালিয়ে দেশ দখল করবে বলে? টিভির পর্দায় বাম দলের এক নেতা জনাব মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, ‘‘এটা সরকারের একেবারেই অনুচিত একটি কাজ হয়েছে। আইন-শৃক্মখলা রক্ষার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সমাবেশে লোক আসা বন্ধ করার জন্য যানবাহন বন্ধ করে দেয়া কোন মতেই ঠিক হয়নি।’’ আসলে মানুষের বিবেক তার অজান্তেই সত্য কথা বলে দেয়। সেটা অন্যায় তা সবাই বুঝতে পারে। বিবেক কখনো ভুল রায় দেয় না। যেমন দেয়নি জনাব রাশেদ খান মেননের বিবেক। যিনি মহান সংসদে বলেছেন, ‘‘আমাদের উপদেষ্টাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা বাংলাদেশের নয় ভারতের উপদেষ্টা।’’ এমন একটা চরম সত্য কথা রাশেদ খান মেননের মুখ থেকে কে আশা করেছে? যিনি জীবন অতিবাহিত করলেন ভারতের প্রেমে মজে গিয়ে।

জনাব তোফায়েল আহমদ মহান সংসদে বলেন, আজ আমরা জনগণের কাছে কোন জবাব দিতে পারি না এত দিনে যে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হয়নি আর ২২ মাসে তা দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। এ ২২ মাস আমাদেরকে শুনতে হবে দিচ্ছি দিচ্ছি এভাবেই ২২ মাস কেটে যাবে। খোদ আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারা যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যেখানে বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে সংসদে নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছে। সেখানে বিরোধী দল তো এ ব্যাপারে একটু বেশি সোচ্চার হবে এটা অতীব সাধারণ কথা। তবে কেন সরকারের এত জ্বালা, কেনই বা এত হিংসা। তা হলে কি বিরোধীদলের কোন আন্দোলন করারই অধিকার নেই।

আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা নামে খ্যাত জনাব মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন ‘‘আমরা যদি প্রতিরোধ করি তাহলে বিএনপি-জামায়াত দেশেই থাকতে পারবে না।’’ এমন কথা কি কোন দায়িত্বশীল লোকের মুখে মানায়? আসলে একটি পত্রিকায় দেখেছিলাম ‘‘হানিফ নাই হানিফ আছে’’ শিরোনামে একটি লেখা। এখন আমাদের মনে হয় হানিফ আগেরটাই ভালো ছিলো। বর্তমান হানিফ ছিনে আসার জন্য যতটা ভূমিকা পালন করছেন তা কিছুটা সীমা লংঘনের পর্যায় পড়ে বলেই, বিএনপি নেতা বাবু গয়েশ্বর রায় বলেছিলেন ‘‘হানিফ হচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা।’’ যাই হোক আমরা বলতে চাই বিরোধী দলের মহাসমাবেশ করলে সরকারের এত জ্বালা কিসের? এতে বাধা দেয়াতে কি খুব ভালো হয়েছে?

১২ মার্চ সমাবেশে আসার জন্য যে যানবাহন বন্ধ করা হলো তাতে কি কেবল সমাবেশের মানুষই আসতো? ট্রেনে আসার সময় একজনকে চিৎকার করে বলতে শুনেছি বি-বাড়ীয়া থেকে একজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা আনতে হবে অথচ গাড়ি বন্ধের জন্য আসতে পারছে না। টঙ্গীর একটি স্কুল শিক্ষিকা পারভীন আক্তার ‘‘৯ মার্চ বিক্রমপুর গিয়েছি ১১ মার্চ এসে ক্লাস নিব অথচ আসতে পারছি না গাড়ি বন্ধ’’। এই যে মানুষের চরম ভোগান্তি, এতে কি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়নি? এতকিছু করার পরেও কি বিরোধী দলের সমাবেশ বানচাল করতে পেরেছে সরকার? তাহলে এমন নোংরা কাজটি কেন করা হলো? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে কি জনতার এই রোষানল থেকে রক্ষা পাবেন?
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×