বলা হয়-বর্ষায় সিলেট হয় আরোও রূপসী। কারণ, ছোট-বোড় টিলা থেকে বা পার্শ্ববর্তী ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণা দূর থেকে দেখেই মুগ্ধ হন ভ্রমণ পিয়াসীরা!
কিন্তু-অনন্ত জলরাশী দেখতে হলে কিংবা উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে হাওরের রাজধানী সুনামগঞ্জ। আর, সুনামগঞ্জ মানেই হাওড়, পাহাড় কিংবা সমতলের এক অদ্ভূত ''পেখম মেলা ময়ূরের'' সৌন্দর্য্য নিয়ে বসে আছে তাহিরপুর উপজেলা।
আপনাকে নিমন্ত্রণ এই বর্ষায়। অতিথিপরায়ণ মানুষের আতিথ্য গ্রহণ করুন হে ভ্রমণ পিয়াসিরাঃ
সুনামগঞ্জ পৌছেই আপনি প্রবেশ করবেন কিছুদিন আগে খোলে দেয়া 'আব্দুজ জহুর' সেতু দিয়ে। সেতুটি খুবই আকর্ষণীয়।
যেতে যেতে পথে পেয়ে যেতে পারেন এমন গ্রামীণ আড্ডা! আহা, হয়তো আপনার ইমোশনাল হয়ে যেতে পারেন।
যারা শহরে থাকেন, তারা দেখে মুগ্ধ হতে পারেন এমন দৃশ্য। আহা, ধান শুকানো।
কিংবা এমন কোন নিষ্পাপ শিশুদের যদি কারোও বাড়ির আঙিনায় দেখেন, কেমন লাগবে বলুনতো! আমিতো অনেক আনন্দিত হবো।
গরুর গোবরের এ জ্বালানি শুধু গ্রামেই দেখা যায়! তাহিরপুর ভ্রমণে কোন পল্লীবালার রৌদ্রে শুকোতে দেয়া জ্বালানি আপনাকে হয়তো অবাকও করতে পারে অনেকদিন পর।
অথবা, নদী পাড়ে বসে থাকা কোন যুবকের একা একা এভাবে বসে থাকা-আপনাকে কি আনমনা করবেনা?
বারিকের ঠিলায় উঠে নিচের যাদুকাটা নদীর অপূর্ব ভিউ।
কারোও বাড়ির পোষা শালিক পাখির শিষ আপনাকে মুগ্ধ করতেই পারে।
ফুল ছাড়া নাকী গ্রামের বাড়ি ভাবাও যায়না! যেতে যেতে দেখা পেয়ে যেতে পারেন কোন বাড়ির এমন ফুলেল বাগান।
আর, এমন বিস্তৃর্ণ জলরাশি দেখে কে না মুগ্ধ হয়!
পরের গল্পে না হয় বাকীটা বলবো! ছবি গল্পতো- একবারে পুরোটা শেষ করা যায়না! আর যারা তর সইতে পারছেন না। তারা গুগলে ডুডল করে ফেলেন জলদি জলদি!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২