আজ সিলেটে একজন লোক ব্যাংক থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে বের হবার সাথে সাথেই এক ছিনতাইকারী তার ব্যাগ টান দিয়ে দৌড় লাগালো। কিন্তু-সেখানটায় ডিবি পুলিশ তৎপর থাকায় তাকে হাতে-নাতে ধরা হয়। বাকীটা জানিনা।
ছিনতাই একটি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধঃ
আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ,এর শাস্তি ও জামিন সংক্রান্ত বিধান এবং এই আইনে মিথ্যা মামলা,অভিযোগ দায়ের ও এর শাস্তি:-
কোন কোন কর্মকাণ্ড আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ-
১. কোনো প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা বেআইনী বল প্রয়োগ করে কোনো ব্যক্তি, বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে চাঁদা, সাহায্য বা অন্য কোনো নামে অর্থ বা মালামাল দাবী, আদায় বা অর্জন করা বা অন্য কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা আদায় করা বা আদায়ের চেষ্টা করা; বা
২. কোনো প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বা বেআইনী বল প্রয়োগ করে স্থলপথ, রেলপথ, জলপথ বা আকাশপথে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করা বা কোনো যান চালকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যানের গতি ভিন্ন পথে পরিবর্তন করা; অথবা
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো যানবাহনের ক্ষতিসাধন করা; অথবা
৪. ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার, বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বা কোনো প্রতিষ্ঠান, বা কোনো ব্যক্তির স্থাবর বা অস্থাবর যে কোনো প্রকার সম্পত্তি বিনষ্ট বা ভাংচুর করা; অথবা
৫. কোনো ব্যক্তির নিকট হতে কোনো অর্থ, অলংকার, মূল্যবান জিনিসপত্র বা অন্য কোনো বস্তু বা যানবাহন ছিনতাই এর চেষ্টা করা বা ছিনতাই করা বা জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া; অথবা
৬. কোনো স্থানে, বাড়ী-ঘরে, দোকান-পাটে, হাটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে, যানবাহনে বা প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে বা আকস্মিকভাবে একক বা দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করা বা বিশৃঙ্খলা বা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা; অথবা
৭. কোনো সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দরপত্র ক্রয়, বিক্রয়, গ্রহণ বা দাখিলে জোরপূর্বক বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বা কাউকে দরপত্র গ্রহণ করতে বা না করতে বাধ্য করা; অথবা
৮. কোনো সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বা তার কোনো নিকট আত্মীয়কে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ঐ কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কোনো কাজ করতে বা না করতে বাধ্য করা কিংবা তার দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকারের বাধা সৃষ্টি করা।{ধারা-২}
আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের শাস্তি-
১. এই আইনে কোনো ব্যক্তি কোনো আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ করলে তিনি অন্যুন দুই বৎসর এবং অনধিক পাঁচ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
২. এই সব অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনকালে সরকার কিংবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির আর্থিক ক্ষতিসাধন করলে তার জন্য আদালত সে বিবেচনায় উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, ক্ষতিগ্রস্ত সরকার বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অনুকূলে প্রদান করবার জন্য উক্ত দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আদেশ দিতে পারবে এবং এই ক্ষতিপূরণের অর্থ সরকারী দাবী হিসাবে আদায়যোগ্য হবে।
৩. কোনো ব্যক্তি কোনো আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করলে তিনি উল্লিখিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।{ধারা-৪}
সূত্রঃ Click This Link
আমার কথাঃ
আরোও বিকল্প কিছু কী প্রয়োজন নয়? একজন লোক কষ্ট করে টাকা কামাই করবে আরেকজন তা জোর করে নিয়ে নিবে? মানা যায়না, কোনভাবেই মানা যায়না। অন্তত পরেরবার অপরাধের ক্ষেত্রে অবশ্যই কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির বিধান রাখা উচিত।
আমি একবার দেখেছিলাম, এক ছিনতাইকারী নিজের গলায় ব্লেড ধরে উলটো ভয় দেখিয়ে পুলিশ থেকে পালিয়ে ছিলো। একজন খুনী খুন করে নিহত ব্যক্তিকে জিন্দা লাশ করেনা, একটি পরিবারের স্বপ্নের মৃত্য ঘটায়। একজন ছিনতাইকারী একজন জীবিত ব্যক্তিকে জিন্দা লাশ বানিয়ে অনেক অনেক স্বপ্নের মৃত্যু ঘটায়। ছিনতাইকে অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে দেখাটা এখন সময়ের দাবী।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫