গতকালের লেখাটা আজই লিখলাম।
নারীর প্রতি সহিংসতা আসলে কমপক্ষে দুই রকম।
একটা আসলেই প্রত্যক্ষ সহিংস অন্যটা পরোক্ষ সহিংস। শেষ দৃশ্যে-ওমরাও জান ওরফে আমিরুন যখন তার মায়ের কাঁধে মাথা রেখে কাঁদছিলো তখন প্রিয় বড় ভাইয়ের কাছে আমিরুন (রেখা) ছিলো স্রেফ একজন মশহুর বাইজি'ই। এ ভিন্ন অন্য কিছু তার মনেও ছিলোনা। অথচ, ওমরাও তখন ছোটবেলার দৃশ্যই মনে করছিলো।
এটাও এক ধরনের সহিংস আচরণ। যে মানুষটি এতো বছর পর তার মা'কে ফিরে পেলো তাকে তার আনাকাংখিত পরিচয়ে পরিচতি দেয়া সহিংস আচরণই বটে। আর কালে কালে নারীর প্রতি এ ধরণের সহংসতাই চলে আসছে। পতিতালয়ে নারী বিক্রি হয়, নারী বাধ্যগতভাবে এই অসম্মানজনক জীবন বেছে নেয়। যদিও সে ফিরে আসার চেষ্টা করে-একসময় সমাজ তাকে আর মেনে নেয়না। অথচ, এই মানুষটাই (পতিতা নারী) বিছানায় যতোটা না আকাঙ্ক্ষার তার চেয়ে জঘন্য হয়ে যায় শুধু যখন সে সমাজে ভদ্র ভাবে বাঁচতে চায়।
মারামারি-করা ততোটা সহিংস না যতোটা সহিংসের চেয়েও সহিংস মানসিক ভাবে মেয়েদের অত্যাচার করাটা। কারণ, সহিংস আচরণ জাত ভেদে হয়না, সেটা দূর্বলের প্রতি সবলের চিরপ্রচলিত আচরণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫