সুপ্রিয় ব্লগবাসী, কেমন আছেন সবা? বহুদিন কিছু পোস্ট করি না। আমি অবশ্য তেমন লেখুড়ে কেউ নই। লিখতে না পারলে দু চারটি বাক্য সাজাতে পারি আর কি। কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিলো। কি লিখি কি লিখি ভেবে ভাবলাম ফুল নিয়ে লিখি। ফুল কে না ভালোবাসে। আজকের পোস্টে আমরা দুর্লভ কিছু ফুল দেখবো। চলো শুরু করা যাক।
১, আমরফোফালুস টিটানুম
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ফুল বলা হয় এটিকে৷ সবচেয়ে দুর্লভ এবং সুন্দর এই ফুলটি পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়৷ তবে এর গন্ধটা কিন্তু বিকট৷ এর উচ্চতা প্রায় তিন মিটার৷ তাছাড়া মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ফুলটি মরে যায়৷ আর এক একটি ফুলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় সাত-আট বছর৷
২, স্ট্রঙ্গিলোডোন ম্যাক্রোবোট্রিস
এটি আসলে হালকা সবুজ রঙের একটি লতা৷ এর ফুলগুলো ফিরোজা রঙের৷ তবে এই ফুলগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর রং প্রতিদিন পরিবর্তন হয়৷ অর্থাৎ হালকা থেকে গাঢ় হতে থাকে৷ ফিলিপিন্সে পাওয়া যায় দুর্লভ এই ফুল৷
৩, কসমস অ্যাট্রোস্যাঙ্গুয়িনিউস
এই ফুলটি পাওয়া যায় মেক্সিকোতে৷ প্রায় ১০০ বছর আগে এটি বিলুপ্ত হয়েছিল৷ তখন, অর্থাৎ ১৯০২ সালে এর ক্লোন করা হয়৷ গ্রীষ্মকালে এই ফুল ফোটে৷ এর সুন্দর ঘ্রাণের জন্য একে ‘চকলেট কসমস’ নামেও ডাকা হয়৷
৪, হিবিসকাস কোকিও
এই ফুলটি কেবল হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায়৷ ১৯৫০ সালে এই ফুলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল৷ এর ২০ বছর পর হঠাৎ কোকিও-র একটি গাছের সন্ধান পাওয়া যায়৷ এর একটি ডাল বেঁচে ছিল, যেখান থেকে পরে কলম বরে ২৩টি চারা গাছ উৎপন্ন করা হয়৷
৫, এপিফিলুম অক্সিপেটালুম
বাংলাদেশে এই ফুলটি ‘নাইট কুইন’ বা রাতের রানী নামে পরিচিত৷ তবে শ্রীলঙ্কার জঙ্গলে এটা প্রচুর পাওয়া যায়৷ এই ফুলটি কেবল রাতের বেলায় ফোটে বলে এর নাম রাখা হয়েছে রাতের রানী৷ রাত পেরোলেই ফুলটি আর তাজা থাকে না৷
৬, ডেনড্রোফিলিয়াক্স লিনডেনি
কিউবা আর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাওয়া যায় এই ফুল৷ সাধারণত বন-জঙ্গলেই বেশি ফোটে এগুলো৷ ২০ বছর আগে একে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল৷
৭, সেইপ্রিপেডিয়াম কালকাল্স
এটি একটি জঙ্গলি অর্কিড৷ আগে ইউরোপে এই ফুল প্রায় সব জায়গা্য় দেখা যেত৷ কিন্তু এখন কেবল ব্রিটেনে এই ফুলের দেখা মেলে৷ এই ফুল এখন এতই দুর্লভ যে একটি স্টিকের দাম প্রায় পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার৷
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৪