কিছু মানুষ ঝাঁড় খায় আর কিছু মানুষ বাঁশ। আবার কিছু কিছু মানুষ আস্ত একটা বাঁশঝাড় খেয়ে ফেলে। কটা বাঁশঝাড় যে সাবাড় হলো সে হিসেব কষার সময় তাদের নেই। অংকে দুব্বল বলে তারা ইংরেজী বেশী ব্যবহার করে পুষিয়ে নিতে চায় সুদাসলে। আমার পরিচিত এমন অনেকেই আছে যারা একটা পেপার মিল যত বাঁশ খায় তার থেকে বেশী বাঁশ খেয়ে হজম করে ফেলেছে। বয়স আর কতই হবে। কোয়ার্টার সেঞ্চুরির এপাশে না হয় ওপাশে। এখনও অনেক বাঁশঝাড় নেই হয়ে যাওয়া বাকি। বাঙালি বড় থ্যাংকলেস জাতি। মুখে মোনালিসার হাসি মেখে শুভ্র দাঁতের হাসি দিলেও বাঁশাবাশিটা ছাড়তে পারে না। প্রায় সবাই নানা ডায়ামিটারের ছোলা, আছোলা, কাটা, আকাটা বাঁশ নিয়ে ঘুরছে। এ ওকে বাঁশ দিচ্ছে, ও একে। পুরো ভার্সেটাইল কাজ কারবার। এরা যদি পেপার মিল হতো তাহলে এত বাঁশ খাবার পরে টনটন ভালো মিহি কাগজ বের হতো। কর্ণফুলি পেপারের মত। কর্ণফুলি কাগজের কথা মনে আছে? স্মৃতিচারণের দরকার নেই। আগামীকাল পহেলা বৈশাখ। বাঙালীর প্রাণের উৎসব। মজার কিছু লিখতে চেয়েছিলাম। কারণ আগামীকাল বাঙালীর হাতে বাঁশ থাকবে। কারো ঘাড়ে মারার জন্য নয়। বাঁশ তখন বাঁশরী হয়ে বাঙালী যুবকের হাত আর ঠোঁটের স্পর্শে গেয়ে উঠবে গলা ছেড়ে। নাকের নিচের ঐ পুরু ঠোঁটটা আর বাংলার প্যাঁচের মত করে রেখো না। এত মজা করে কিছু বলার চেষ্টা করলাম। হাসি ফোঁটাও ও ঠোঁটে। দু কোয়া কমলালেবুর মত চোখ দুটিতে উচ্ছলতা ঠিকরে পড়ুক। বাচ্চারা হাত তালি দাও তো একটা। জোরে!
সবাইকে শুভ নববর্ষ। নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য কবিগুরুর বিখ্যাত গানটা গাই সমবেত সুরে,
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১