১৯৬২ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার শাসন করে আসছিল সামরিক বাহিনী৷ মিয়ানমার সম্পর্কে বহিঃবিশ্ব খুব কমই জানতে পেরেছে। আজকের পোস্টে আমরা ঘুরবো ইয়াংগুনের পথে পথে। দেখা যাক রাস্তার পাশে দর্শনীয় স্থান কি কি পড়ে।
শোয়েডেগন প্যাগোডা
কয়েক শতাব্দী ধরেই মিয়ানমারের মানুষের ধর্মীয় আচার পালনের কেন্দ্রবিন্দু এই প্যাগোডা৷ দেশটির অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনাও এটি৷ সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো এই বৌদ্ধ মন্দিরটির উচ্চতা ৯৯ মিটার৷
সাবেক সচিবালয়
একসময় ব্রিটিশ বার্মার প্রশাসনিক ভবন ছিল এটি৷ ১৮৮৯ থেকে ১৯০৫ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে লাল ইটের এই ভবনটি তৈরি হয়৷ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিয়ানমারের অনেক ইতিহাস৷ ১৯৪৭ সালে এই ভবনেই অং সান সু চি-র বাবা মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানকে হত্যা করা হয়৷
বর্তমান অবস্থা
এই হচ্ছে সাবেক সচিবালয়ের বর্তমান অবস্থা৷ অনেক বছর পরিত্যক্ত থাকার পর ২০১২ সালে ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ ৪০ হাজার বর্গমিটার জুড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই ভবনে যাদুঘর, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে৷
তেইনগি মার্কেট
ইয়াঙ্গুন গেলে এই বাজারে যেতেই হবে৷ ঊনিশ শতকে এই বাজারের নাম ছিল ‘সুরাতি বড় বাজার’৷
সোফায়ের বিল্ডিং
দেখছেন ইয়াঙ্গুনের এক সময়কার অন্যতম অভিজাত ভবন৷ বাগদাদ থেকে ইয়াঙ্গনে যাওয়া এক ব্যবসায়ীর নামে ভবনটির নামকরণ করা হয়েছে৷ একসময় মিশর থেকে যাওয়া সিগারেট, জার্মানি থেকে যাওয়া বিয়ার, ইংল্যান্ড থেকে যাওয়া ক্যান্ডি পাওয়া যেত সেখানে৷ এখন সেখানে রয়েছে রাজস্ব অফিস ও অন্যান্য বেসরকারি কোম্পানির কার্যালয়৷
ত্রিপিতাকা লাইব্রেরি
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়৷
শিয়া মসজিদ
বিশ শতকের শুরুর দিকে ইরান থেকে যাওয়া অভিবাসীরা ইয়াঙ্গনে এই মসজিদটি গড়ে তোলেন৷
বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়
মিয়ানমারের বন্দরগুলো দেখাশোনা করার দায়িত্ব যে কার্যালয়ের সেই ‘মিয়ানমা পোর্ট অথরিটি-র অফিস এটি৷
আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯