অস্ট্রেলিয়া একটি দেশ, একটি মহাদেশ। এই মহাদেশে আছে মানুষসহ একাধিক স্তন্যপায়ী প্রানী। আজকের পোস্টে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্তন্যপায়ী প্রানীদের কিছু তথ্য ও ছবি দেখাবো।
অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বিচিত্র ধরণের স্থলচর স্তন্যপায়ী রয়েছে৷ ক্যাঙ্গারু তাদের মধ্যে অন্যতম৷ তবে ছবির এই প্রাণী ক্যাঙ্গারুর মতো হলেও ক্যাঙ্গারু নয়৷ এদের নাম ওয়ালাবি৷ এতদিন অনেক ওয়ালাবি ছিল অস্ট্রেলিয়ায়৷ সংখ্যাটা এখন কমছে৷ প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর সমীক্ষা বলছে, অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপীয়দের আগমনের পর থেকে ওয়ালাবির চারটি প্রজাতি অন্তত একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে৷
ছোট ছোট এই ইঁদুরগুলোও আছে বিপদে৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, রডেন্ট নামে পরিচিত এই প্রাণীগুলো যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে চলে, সেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে, অর্থাৎ দ্রুতই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তারা৷
অস্ট্রেলিয়া থেকে বিলুপ্ত প্রাণীদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন এই ইঁদুরগুলো৷ ২০০৬ সালের আগেও এরা ছিল৷ কিন্তু তারপর থেকে কমতে কমতে ২০১৪ সালে এসে অস্ট্রেলিয়া থেকে এরা একদম বিলুপ্ত!
অস্ট্রেলিয়ায় বাদুড়দের ভাগ্য কিছুটা ভালোই বলতে হবে৷ নইলে অন্য অনেক স্তন্যপায়ী যখন নীরব প্রস্থানের পথে, এরা তখন রাতের আকাশে দাপিয়ে উড়তে পারে? গত ২০ বছরে বাদুড়ের বিলোপই সবচেয়ে কম হারে হয়েছে৷ এর মাঝেও বড় কানওয়ালা এই লর্ড হাওই-সহ দু’ধরনের বাদুড় অবশ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে উধাও হয়েছে৷
প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণীর শতকরা ২১ ভাগই এখন বিলুপ্তির আশঙ্কার মুখে৷ আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিলুপ্তি বেশি ঘটছে এমন সব এলাকায় যেখানে মানুষের ঘনবসতি নেই৷
অস্ট্রেলিয়া থেকে এরা বিলুপ্ত৷ তবে নিউ গিনিতে এখনো দেখা যায় এদের৷ সেখানেও বেশি দিন ওরা অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে কিনা এ নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে৷
এগুলো ইউরোপীয় লাল শেয়াল৷ অস্ট্রেলিয়াতেও আনা হয়েছিল এদের৷ এমন কিছু মাংসাশী প্রাণীর কারণেও বিলুপ্ত হচ্ছে অনেক স্তন্যপায়ী৷
এই বুনো বিড়ালগুলো সত্যিই ভয়ংকর৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এদের কারণেও অনেক প্রাণীই অস্ট্রেলিয়া থেকে হারিয়ে যাচ্ছে৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে স্থলের চেয়ে জলের স্তন্যপায়ীরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ৷ সেখানে বিলুপ্তির হার অনেক কম৷ তবে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করছেন, সাগরের গভীরে কাজ করা খুব কঠিন, সুতরাং সেখানকার হিসেবে ভুলের শঙ্কাও বেশি৷
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:৫০