বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে মৃত্যদন্ড প্রধান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। পৃথিবীতে অনেক দেশ আ আছে যারা মৃত্যুদন্ডের বিধান বাতিল করেছে। আবার অনেক দেশ আছে যারা বহাল তবিয়তে মৃত্যুদন্ড দিয়ে যাচ্ছেন। পক্ষে বিপক্ষে অনেক মত আছে। আমি সে বিতর্কে যেতে চাই না। আজকের পোস্টে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশের ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই।
চীন
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, চীনে প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ তবে ব্যাপারটিকে যেহেতু চীনে রাষ্ট্রীয় গোপনীয় বিষয় হিসেবে দেখা হয় তাই অ্যামনেস্টির পক্ষে নির্দিষ্ট সংখ্যা জানানো সম্ভব হয়নি৷
ইরান
তিনভাবে ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় – গুলি করে, পাথর ছুড়ে আর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে৷ ২০১৩ সালে এভাবে কমপক্ষে ৩৬৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে৷ সামান্য অভিযোগে সাংবাদিক সহ মানবাধিকার কর্মীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে মাঝেমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়ে দেশটি৷
ইরাক
সাদ্দাম হুসেনের আমলে ইরাকে বেশি সংখ্যায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটতো৷ ২০১৩ সালে ১৬৯ জনের বেশি বন্দিকে এই শাস্তি পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি৷ এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী৷
সৌদি আরব
২০১৩ সালে ১৮ বছরের কম বয়সি তিনজন সহ কমপক্ষে ৭৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব৷
যুক্তরাষ্ট্র
ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ ঢুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ এভাবে ২০১৩ সালে ৩৯ জনকে শাস্তি দেয়া হয়৷ অবশ্য সে বছর কমপক্ষে ৮০ জনের বিরুদ্ধে মৃত্যদণ্ডের রায় দেয়া হয়৷
বাংলাদেশ কত নম্বরে?
সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা দেশের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছে সোমালিয়ার নাম৷ ২০১৩ সালে সেদেশে ৩৪ জনের বেশি বন্দির প্রাণ নেয়া হয়৷ তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে ১৮ নম্বরে৷ অ্যামনেস্টির হিসেবে ঐ বছর বাংলাদেশে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম তে দাঁড়াবে?
এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষের হাতে কোন মানুষের মৃত্যু ঘটবে না। সেই দিনের প্রত্যাশায় রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫