একা ভ্রমণ আমাকে যথেষ্ট পরিমানে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। অন্তত আমার ভ্রমণসঙ্গী যে আমাকে ভ্রমনকালীন সময়ে কোন সমালোচনা করছে না বা আমাকে বিব্রত করার কেউ নেই এই ব্যাপারটাই আমাকে প্রচন্ড পরিমানে স্বস্তি দেয়। তারপরও কিছু কিছু সময় কিছু প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী জুটে যায় যাদের সাথে ভ্রমণ করাটা অন্য রকমের ভালোলাগার। প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী হিসাবে সবচাইতে এগিয়ে থাকবে আমার মা। এই মানুষটা হয়তো অন্যদের কাছে অদ্ভুত। ছোটবেলায় অন্য মায়েরা যখন তাদের সন্তানদের পড়াশোনা করানো নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো আমার মা তখন আমার হাত ধরে নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে বেড়াতো। রেলপথ দিয়ে আমরা যে কতো দূর দূর জায়গাতে চলে গিয়েছি। সবচাইতে বেশি যে স্মৃতিটা মনে পড়ে সেটা হচ্ছে পুরো বৈশাখমাসের প্রতিটি বিকেলবেলা আমরা দুজনে কৃষ্ণচূড়া গাছের রক্তলাল ফুলের দিকে হা করে তাকিয়ে আছি। “পারবো না” এই কথাটি আমার মাকে কখনো বলতে শুনিনি। লোকেরা কে কি বলবে এটা নিয়ে মা কখনোই ভ্রুক্ষেপ করেননি।এই মানুষটা ভ্রমণসঙ্গী হিসাবে সবচাইতে অসাধারণ।
কিছু প্রিয় মানুষের সাথে ভ্রমণ নিয়েই এই সিরিজটা। যখনই কোন নূতন পর্ব লেখা হবে তখনই সেটা এখানে সংযুক্ত হবে। (যখনই কোন প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী অপ্রিয় হয়ে যাবেন তখনই তাকে নিয়ে লেখাগুলো বিযুক্ত হয়ে যাবে। )
এই সিরিজটি উৎসর্গ করা হলো অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত একজন মানুষ, যাকে আমি ডাকি ‘‘বুদ্ধি ভাই”। ব্লগে যিনি নিজেকে "গাডডুর বাপ" হিসাবেই পরিচয় দেন। এই মানুষটা এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন আমার লেখাগুলোতে অথচ ব্লগে তার নিজের লেখাগুলো একেবারেই অখাদ্য পর্যায়ের। বুদ্ধি ভাই, আপনার কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি। লেখালেখির প্রতি মনযোগী হন। আশাকরি কোন একদিন আপনার সাথে সরাসরি সাক্ষাতের সৌভাগ্য হবে।
প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী ও পুরানো ঢাকা (এক-তৃতীয়াংশ)
প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী ও পুরানো ঢাকা (দুই-তৃতীয়াংশ)
প্রিয় ভ্রমণসঙ্গী ও পুরানো ঢাকা (তিন-তৃতীয়াংশ)
দ্যা সিটি অফ জয়
প্রিয় শহর
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১