আগের পর্ব
পরের পর্ব
অন্য পর্বগুলি
ভারতের এই জিনিসটাতে আমি খুব অবাক হয়েছি। কিলং এর মতো ছোট একটা জায়গা যেখানে বছরে ৭ মাস বরফ চাপায় সব বন্ধ থাকে সেখানে পর্যন্ত দুটো বাসস্ট্যান্ড। আসলে ভারতের প্রত্যেকটি শহর নতুন করে পরিকল্পিতভাবে তৈরি হচ্ছে। আর এজন্য সব শহরে নতুন নতুন বাসস্ট্যান্ড। এমনকি কিলং এর মতো একটা পাণ্ডববর্জিত এলাকাতেও। আর সেই বাসস্ট্যান্ডও যেমন তেমন না, প্রচুর সুযোগ সুবিধা সম্বলিত। কিলং এর এই বাসস্ট্যান্ডে দিনে দশটা বাসও আসে কিনা সন্দেহ। তারপরও এই বাসস্ট্যান্ডটি তিনতলা। নীচতলায় বাস থামে, আর যাত্রীদের বসার জায়গা আর পানি খাওয়ার জায়গা। দ্বোতলায় টয়লেট গোসলখানা আর খাবার ঘর। তিনতলায় অফিস। বাসের কাউন্টারগুলোও পরিকল্পিত আর যাত্রীদের বসার বেঞ্চগুলিতে যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারছে। তবে তারা সেখানে বাদাম বা কমলালেবুর খোসা ফেলছে না।
আমার তো ঢাকার সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা ভাবলেই ভয় লাগে। এতোটায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয় সেখানে। অথচ এখানে একজন বিদেশী হয়েও কিলং এর মতো দুর্গম একটা জায়গার বাসস্ট্যান্ডে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। কোন দালাল নেই, কোন হৈ-হল্লা নেই, কোন ব্যাগ নিয়ে টানাটানি নেই। কিন্তু নিজের দেশের কোন বাসস্ট্যান্ডে গেলে আমাকে সবসময় তটস্থ থাকতে হয়। আসলে পরিবহন বা পর্যটনে ভারত যতোটা এগিয়েছে আমরা ঠিক ততোটায় পিছিয়ে আছি। আমাদের দেশতো সৌন্দর্যের দিক দিয়ে একটুও কমতি নেই। ভারত অনেক বড় এজন্য তাদের বৈচিত্রতা বেশী। কিন্তু পর্যটন মনষ্কতা এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রথিত। নাহলে কিলং এর মতো এরকম দুর্গম একটা অঞ্চলের বাসস্ট্যান্ডে কোন যাত্রী একটা চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত ফেলছে না অথচ আমরা বাংলাদেশীরা বান্দরবানের গহীন জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছি শুধুমাত্র চিপস আর বিস্কুটের ঠোঙ্গা সেখানে ফেলার জন্য। গভীর দুঃখ বোধ থেকে কথাগুলো লিখতে বাধ্য হলাম।
নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুটা দূরে ওল্ড বাসস্ট্যান্ড। হেঁটে যেতে দশ মিনিট মতন লাগে। তাছাড়া ১০ হাজার ফিটেরও বেশি উঁচু বলে এখানে অক্সিজেনের পরিমাণও কম। এজন্য একটু নড়াচড়া করতে গেলেই হাপিয়ে উঠতে হয় আর খুবই ক্লান্ত লাগে। তবে চারপাশের দৃশ্য এতো সুন্দর যে বলার মতো নয়। চারপাশে বরফ দিয়ে ঘেরা মাঝখানে ছোট্ট একটা জনপদ হচ্ছে কিলং। আশেপাশে দেখলাম বেশ কতগুলি বড় বড় হোটেলের কাজও চলছে।
ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে এখন কোন বাস থামে না। এখন এটি শধুই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। ট্যাক্সি মানে জীপগাড়ি। ওল্ড বাসস্ট্যান্ডের বাজারটিতে সবমিলিয়ে দোকানের সংখ্যা হবে ২০টি। আমি শুধু হ্যা হ্যু টাইপের হিন্দি জানি। তাছাড়া সিমলাতে সেতুরা ছিলো বলে আমাকে অতো জমিয়ে কারো সাথে কথা বলতে হয়নি। আর মানালি বা কিলং এ হোটেল বা বাস ঠিক করার জন্য আমাকে খুব বেশি কথা বলার দরকার হয়নি। কিন্তু আমি এখন কিলং থেকে লেহ তে যেতে চাই। কিভাবে যেতে পারি এটা ওল্ড বাসস্ট্যান্ডের লোকের বোঝাতে গিয়ে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। এরা আসলে হিন্দীর চাইতে স্থানীয় ভাষায় কথা বলে বেশী। আর হিন্দীতে সেই ভাষার টান থাকে স্পষ্ট। তো শেষ পর্যন্ত তাদের কথায় যা বুঝলাম তা হচ্ছে নিউ বাসস্ট্যান্ডের দিকে গেলে আমার সমস্যার সুরাহা হতে পারে।
ফিরে এলাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে। এখানেও কিছু ট্যাক্সি রয়েছে। গেলাম এক ড্রাইভারের কাছে। সে সব কিছু মনোযোগ দিয়ে শুনে আমাকে বোঝালো যে কিলং থেকে লেহ পর্যন্ত ট্যাক্সি খরচ অনেক। ছ-সাত জন হলে কিলং থেকে ট্যাক্সি বুক করে গেলে খরচ কিছুটা কম পরবে। কিন্তু একা গেলে ১৫/২০ হাজার রুপি লাগবে। তবে অনেকে মানালি থেকে ট্যাক্সি বুক করে আসে। সেখানে যদি একটা সিট ফাঁকা থাকে তবে আমি সেই ট্যাক্সিতে উঠতে পারি। কিন্তু এখন যেহেতু অফ সিজন এজন্য ট্যুরিস্ট চলাচল নেই। তারপরও যদি এরকম কিছুর খোঁজ পায় তবে সে আমাকে জানাবে। এজন্য সে আমার ফোন নম্বরটা চাইল।
এবার ইন্ডিয়াতে এসে আমি কোন সীম কার্ড কিনিনি। খামাখা একগাদা পয়সা খরচ। এতোদিন বাড়িতে কথা বলার জন্য সেতুর ফোন ব্যাবহার করেছিলাম। কিন্তু এখন তো ওরা আমার সাথে নেই। ড্রাইভারটাকে আমার ফোন নেই জানাতেই সে একটা কাগজে তার ফোন নম্বর দিয়ে আমাকে জানালো সন্ধ্যা সাতটায় আমি যেন তাকে ফোন করি। তখন সে আমাকে জানাতে পারবে যে আমার জন্য সে কোন ব্যাবস্থা করতে পেরেছে কিনা। কিন্তু হায় আফসোস, ড্রাইভারটা তার গাড়ি নিয়ে চলে যাবার পরে হাতের কাগজটার দিকে তাকিয়ে দেখি ইংরেজিতে সে কি লিখেছে তার একটা অক্ষরও পরা যাচ্ছে না। তারমানে আমি তাকে ফোন দিতে পারবো না।
বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে গেলাম কিলং এর মূল জনপদটা দেখতে। নিউ বাসস্ট্যান্ড থেকে নিচের দিকে অনেকখানি নেমে এই জনপদ। একটা সরু গলি। এই হচ্ছে কিলং শহরের মূল রাস্তা। তার দুধার দিয়ে ঘর-বাড়ি। এর চাইতে বান্দরবানের থানছি অনেক জমজমাট। সব দেখতে দেখতে যাচ্ছি। এসময় দেখি পুলিশের চেয়ে উঁচু কিন্তু আর্মির চাইতে নিচু কোন নিরাপত্তা বাহিনীর একটা লোক ড্যাবড্যাব করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি জানিনা বাংলাদেশীরা কিলং এ আসতে পারবে কিনা। তাছাড়া পথেও আমি কোন জায়গায় নাম এন্ট্রি করিনি। এখন লোকটা আমার দিকে ওভাবে তাকিয়ে রয়েছে দেখে আমি বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। আসলে চোরের মন পুলিশ পুলিশ তো। এগিয়ে গেলাম লোকটার দিকে। আমি দেখেছি পরেও এ আয়ডিয়া দারুন কাজে লেগেছে। বিশেষ করে কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে।যখন যে পুলিশ বা বিএসএফ বা আর্মি আমার দিকে সন্দেহের চখে তাকায় আমি তখন যেচে গিয়ে তার সাথে কথা বলি। তাই বলে একেবারে খোশ গল্প না। এই জায়গাটায় কোন রাস্তা দিয়ে যাবো অথবা ওই জায়গাটা কি খুব বেশী দূরে এ রকমের টুকটাক মামুলি ধরনের কথা। দেখেছি এতে ভালো কাজও হয়।
তো সেই অফিসারের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম ওল্ড বাসস্ট্যান্ড কোথায়। ব্যাটা একটুখানি হেঁসে আমাকে ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে যাবার পথ দেখিয়ে দিলো। আরে ব্যাটা আমি তো ওল্ড বাসস্ট্যান্ড চিনিই। যাই হোক ব্যাটার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি আরো সামনের দিকে এগিয়ে চললাম।
একজায়গায় দেখি বিখ্যাত বাঙ্গালি বিপ্লবী রাসবিহারির প্রতিমূর্তি বানানো রায়েছে। জায়গাটা বেশ সাজানো। রাসবিহারি ইংরেজ খেদানোর যুদ্ধে সামিল হয়ে একসময় কিলং এর মতো দুর্গম একটা জায়গায় আত্নগোপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার সম্মানে এখানে ভাস্কর্য তৈরী করা হয়েছে। বাঙালি হিসাবে সম্মানিত বোধ করলাম।
পাচ মিনিটের মধ্যে কিলং শহর ঘোরা শেষ হয়ে গেল। জায়গাটা অনেকটা বান্দরবানের থানছির মতো। এই এলাকাগুলোতে দেখেছি নারি-পুরুষের কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই একসাথে সমানতালে কাজ করে চলেছে। অনেকটা আমাদের দেশের আদিবাসীদের মতো। অবশ্য ইন্ডিয়ার যে জায়গাগুলোতে আমি ঘুরেছি সবজায়গাতেই আমার মনে হয়েছে মেয়েরা অনেক সাবলম্বী। বড় বড় শহরগুলোতে মেয়েরা পুরুষদের সাথে যুদ্ধ করে কাজ করছে আর ছোট শান্ত স্নিগ্ধ অঞ্চলগুলোতে মেয়েরা পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করছে।
একটা শর্টকাট খাঁড়া পথ উঠে গেছে ওল্ড বাসস্ট্যান্ডের দিকে। সেটা বেয়ে উপরে ওঠাত চেষ্টা করলাম। ভয়ঙ্কর অবস্থা। দম নিতে পারছি না। আমার অবস্থা খুবই খারাপ। হাচরে পাচরে খামচে খামচে উঠছি। এর বাড়ির উঠোন দিয়ে ওর বাড়ির পায়খানার পাশ দিয়ে শেষ পর্যন্ত উঠে এলাম। খুবই হাপিয়ে গেছি। একটু জিরিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর আবার ফিরে এলাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে।
নিউ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে খাবার হোটেলের সেই সুন্দরী মহিলার সাথে দেখা হলো। এগিয়ে এসে তিনি আমার লেহ যাওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তাকে আমার সমস্যার কথা খুলে বললাম। তিনি আমাকে আবার ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ওখানে কোন ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে কথা বলতে বললেন।
আবার গেলাম ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে। এইবার দেখা পেলাম এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের। সে আমার সমস্যার কথা শুনে বললো সন্ধ্যা ছটায় নিউ বাসস্ট্যান্ডে এসে আমার সাথে কথা বলবে। যাক, শুনে কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম। ফিরে এলাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে। হোটেলে ঢুকে গেলাম। রুমে ঢোকার সময় কৌতুহলবশত অফিসরুমে উকি দিয়ে দেখি কর্মচারীটি তখনো হা করে টিভি দেখছে।
ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যা ছটার দিকে গিয়ে দাঁড়ালাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে। দেখি ড্রাইভার লোকটা তখনো আসেনি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভাবলাম লোকটা তাহলে নিশ্চয় ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে আছে। হাঁটতে হাঁটতে গেলাম ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে। গিয়ে দেখি সেখানে নেই। তাহলে এতোক্ষণে নিশ্চয় নিউ বাসস্ট্যান্ডে পৌছে গেছে। ফেরত এলাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে। দেখি তখনো আসেনি। আবার গেলাম ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে, আবার ফেরত এলাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত আবার গেলাম ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে। ততোক্ষণে আমার অবস্থা বেশ খারাপ। খুবই কাহিল হয়ে পড়েছি। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এতো উপরে অক্সিজেনের পরিমান খুবই কম থাকে। এজন্য অল্প পরিশ্রমেই শরীর অত্যাধিক কাহিল হয়ে পড়ে। আর আমি এতো পরিমাণ নিউ বাসস্ট্যান্ড আর ওল্ড বাসস্ট্যান্ড হেঁটে হেঁটে যাওয়া আসা করেছি যে আমার অবস্থা বেশি কাহিল। আসলে এতো উঁচু স্থানের সাথে শরীরের খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রথম কিছুদিন শুধুই বিশ্রাম নিতে হয়। আর আমি কয়েকদিন ধরে তো জার্নি করছিই আর আজ সারাদিন ছুটে বেরিয়েছি। তারপরও এখনো লাদাখের দিকে যাবার কোন ব্যাবস্থা করে উঠতে পারলাম না। এইসব চিন্তায় আমার অবস্থা বেশি খারাপ। তবে চারপাশের দৃশ্যাবলী আমাকে অদ্ভুত শক্তি যোগাচ্ছে।
শেষবার ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অন্য একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে কথা বললাম। তাকে আমার সমস্যার কথা খুলে বললাম। সে আমাকে জানালো যে, এই সিজনে তো কিলং থেকে লেহ যাবার সব গাড়ি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে অনেক ব্যাক্তি কোন কাজে লেহ থেকে এদিকে এসে থাকতে পারে। তারা যখন লেহ ফেরত যাবে, এমন কোন গাড়িতে আমি লেহ যেতে পারি। তাছাড়া এটা ইন্ডিয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ আর সেনসেটিভ আর্মি প্রধান এলাকা। ক্যান্টনমেন্টে আর্মির মাল সাপ্লাই দেবার জন্যও প্রতিদিন কিলংয়ের পথ ধরে লেহ পর্যন্ত বিভিন্ন গাড়ি যাওয়া আসা করে। লেহ অভিমুখী এসব গাড়ি চেনার উপায় হচ্ছে গাড়ির নম্বর প্লেটে JK10 লেখা আছে। কিলং থেকে লেহ পর্যন্ত এর ভাড়া দেড়-দুহাজার রুপির মধ্যেই থাকবে।
লোকটার কথা আমার খুবই যুক্তিসম্পন্ন মনে হলো। এতোক্ষনে আমি অনেকখানি নিশ্চিন্ত হলাম। তাছাড়া ভাবলাম লাদাখের দিকে না যেতে পারলে অন্যকোনদিকে যাবো। সেটা অন্যধরনের এয়াডভেঞ্চার হবে। তবে ওল্ড বাসস্ট্যান্ডে একটা মজার ব্যাপার ঘটেছিল। আমি সারাদিন এতোবার ওল্ড বাসস্ট্যান্ড চক্কর দিয়েছি যে এখানকার সবাই আমাকে চিনে গিয়েছিল। তাদের ভালোবাসা আমি টের পেয়েছিলাম পরদিন ভোরবেলায়।
আবার হাঁটতে হাঁটতে ফেরত এলাম নিউ বাসস্ট্যান্ডে। চাদের আলো বরফের পাহাড়গুলোর উপর পড়ে চারিদিক ঝমকাচ্ছে। কি যে ভালো লাগছে যে বলার মতো না। সবকিছু কেমন যেন অপার্থিব মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে ইশ সারাজীবন যদি এই ভালোলাগায় কেটে যেত।
ঢুকে গেলাম খাবার হোটেলে। দুপুরের খাওয়ার সময় ডাল আমার পছন্দ হয়নি শুনে সুন্দরী ভদ্রমহিলা আমাকে এবার ডালের বদলে একগাদা বিভিন্ন সবজির তরকারি দিলেন। খুবই আরাম করে খেলাম। বিল ৬০রুপি। হোটেলে ফিরে এসে দেখি আমার পাশের রুমটা নিয়েছে বাচ্চা-কাচ্চা সমেত সাদা চামড়ার এক বিদেশী দম্পতি। তারাও কমন বাথরুম। হি হি। এক বাথরুমে সাদা চামড়া-কালো চামড়া। জয় পর্যটনের। তবে রুমে ঢোকার আগে কৌতুহলবশত অফিসে একবার উঁকি দিয়ে দেখলাম। দেখি কর্মচারীটি তখনও হা করে টিভি দেখছে।
২৪শে সেপ্টেম্বর’১৫ খরচঃ
১। সকালের খাওয়া=৩০রুপি।
২।মানালি থেকে কিলং পর্যন্ত লোকাল বাস ভাড়া=১৭০রুপি।
৩। দুপুরের খাওয়া=৬০ রুপি।
৪।রাতের খাওয়া=৬০ রুপি।
৫। হোটেল ভাড়া=৩৫০রুপি।
১০০ টাকায় ৮২রুপি হিসাবে মানালি থেকে কিলং এ আসার দিনে আমার মোট খরচ ৮১৭ টাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০২