২০০৩ সালের ঘটনা। এ্যায়ার কমডোর জিয়ারত আলী †স সময় জাহাঙ্গীর †গটের কাছে সরকারী ভবনে বসবাস করতেন। বাগান করার খুব সখ তাঁর। সখ পূরনে তিনি †দশে-বিদেশ †থকে গাছ সংগ্রহ করে তাঁর বাগানে রুইয়ে ছিলেন। †সই ধারাবাহিকতায় তিনি শ্রীলংকা †থকেও একটি গাছ বাংলাদেশে উড়িয়ে এনে তাঁর বাগানে †রাপন করেন। এরপর তিনি অবসরে †গলে গাছটি নিয়ে খুব দু:চিন্তায় পড়ে যানÑ †ছাট্ট †স গাছের স?িক যতœ-আতিœ না হলে গাছটি মারা পড়বে †ভবেই ভেবেই তাঁর যত দু:চিন্তা। †শষে তিনি গাছটি রক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের স্মরনাপন্ন হন। †যাগাযোগ করেন †সখানকার সহযোগি অধ্যাপক ড. †মাহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে। ড. জসিম গাছটির কথা শুনে সানন্দে রাজি হন দূর্লভ গাছটি গ্রহনে। গাছটি দিতে দুটি শর্ত জুড়ে দিলেন জিয়ারত আলী। প্রথম শর্তটি ছিল গাছে ফল ধরলে তাকে খাওয়াতে হবে দ্বিতীয় শর্ত; ভবিষ্যতে তাকে একটি চারা দিতে হবে। ড.মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন †স সব শর্তে সানন্দে রাজি হয়ে গাছটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বাগানে †রাপন করেন। ইতিমধ্যে তিনি এ্যায়ার কমডোর জিয়ারত আলীর প্রথম শর্তটি পূরণ করতে †পরেছেন। দ্বিতীয়টিও করবেন বলে জানালেন। আর †য গাছ ও তার ফলের জন্য এত কিছু †স গাছটির নাম রুটিফল। গাছটিতে প্রথম ফল আসে ২০০৬ সালে। তারপর †থকে প্রতিবছরই †স গাছে ফল ধরছে। এবছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। †গল সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বাগানে গিয়ে †দখা †গল গাছে প্রচুর ফল। †য †কউ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বাগানে এলে রুটি ফলে মুগ্ধ হবেন।
রুটিফলের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীয় নাম অৎঃড়পধৎঢ়ঁং ঈড়সসঁহরং। গ্রীক শব্দ আরটস অর্থ রুটি আর কারপাস এর মানে হল ফ্রুট বা ফল। সুতরাং আরটোকারপাস এর মানে দাঁড়াচ্ছে; ব্রেডফ্রুট বা রুটিফল। রুটিফল গড়ৎধপবধব পরিবারের সদস্য। যার বাহারি পাতার অগ্রভাগ হাতের আঙ্গুলের মত চমৎকার নকশা করা। ফল †দখতে ?িক কাঁ?ালের মত। †কউ †কউ কাঁ?াল †ভবে ভুলও করতে পারেন। স্বাদ মিষ্টি আলু বা কলার মত। পার্থক্য রুটি ফল পাউরটির মত স্লাইস করে আগুনে ঝলসে †খতে হয়। একটি রুটিফল গাছ প্রায় ৫০ †থকে ৬৫ ফুট লম্বা হয়ে থাকে। ফল ধরে শাখার অগ্রভাগে। পাখি ধরার ফাঁদ হিসাবে রুটিফল গাছের আঁ?ার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
রুটিফল নিয়ে একটি গল্প চালু আছে; হাওয়াই অঞ্চলে খুব দুর্ভিক্ষ হলে যুদ্ধদেবতা কুর্কাইলির নিজেকে মাটিতে পুতে †ফলেন। †যখানে তিনি নিজেকে পুতে ছিলেন †সখান †থকেই †ব্রডফ্রুট বা রুটিফলের জন্ম। আর †স ফল †খয়ে †স সময় হাওয়াইবাসির জীবন রক্ষা পায়। অনুমান করা হয় ১৪০০ শতকে জলদস্যুদের মাধ্যমে হাওয়াই †থকে পলিনেশিয়ায় রুটিফল ছড়িয়ে পরে!
প্যাসিফিক অঞ্চলের গাছ। শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, তাহিতি, পলিনেশিয়া, হাওয়াই ও ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে রুটিফল ভাল জন্মে। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদউদ্যান ছাড়াও কুমিল্লার বার্ডে একটি রুটিফল গাছ রয়েছে!
রুটিফলের ঔষধী গুন
রটিফলের পাতার ক্কাথ রক্ত উচ্চচাপ ও শ্বাসকষ্ট উপশম করে। জিহ্বার প্রদাহে পাতা †বঁটে প্রলেপ †দয়া হয়। এর কষ চর্মরোগ ও সাইটিকা উপশমে বিশেষ উপকারী। প্লিহার উপশমে ভাঁজা পাতার চূর্ন বিশেষ উপকারী! কোন †কান এলাকায় রুটিফল দিয়ে ক্যান্ডি, চিপস্, এমনকি মিষ্টি আচার তৈরি হয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৪