প্রতিদিন বৃষ্টি। এমন বৃষ্টিতে কাউকে আর বলতে হচ্ছেনা
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেব মেপে
যা বৃষ্টি ঝরে যা লেবুর পাতা করমচা
এবছর ঢাকার রঙ বদলে গেছে। আর সে রঙ পাল্টানোর রুপকারের নাম হল বৃষ্টি। পাঁচ মিনিট ঝুম বৃষ্টি , গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কিছু সময় , তারপর আবার আকাশ ফঁকফঁকা। তবে বৃষ্টি যে ভাবেই হোক সে আমাদের সবার পছন্দ। বৃষ্টি অপছন্দ করে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। বৃষ্টিতে ভিজতে চায় ছোট বড় সবাই। কলেজ ছুটির পর একদল ছেলে মেয়ে একদিন মনের আনন্দে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরছে দেখা গেল। বৃষ্টি শুরু হলেই সবাই ভেজার জন্য অস্থির হয়ে পরে।
দুই
সেদিন শুক্রবার ভোর পাঁচটায় কিসের যেন গড়গড় আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল। শুভমিতাকে দেখতে বলে ওপাশ ফিরে ঘুমালাম। কিন্তু আওয়াজ আর শেষ হয়না , আবার শুভ বলে ডাকতেই দেখি সে গভীর ঘুমে অচেতন। শেষে আমিই আওয়াজের উৎস সন্ধানে ঘরের বাতি জ্বালাই। মোবাইল সাইলেন্ট করা কিন্তু ভাইব্রেশনের কারনে , তার গড়গগড় শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি সাড়ে পাঁচটা বাজে। মোবাইল তখনও বেজে চলেছে , মনিটরে হারুন ভাইর নাম দেখে মোবাইল রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে প্রস্তাব রমনায় চলে আসেন। আমি আসছি বলে মোবাইল কেটে তৈরীতে ব্যাস্ত হই। এর মধ্যে শুভমিতা ঘুমের ঘোরেই বলে দিয়েছে এই সকাল বেলা আজ আর কোথাও বের হবেনা। আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমেছে। এমন বৃষ্টি দেখে কবিগুরু চলে এলো গুনগুনিয়ে। আমি গেয়ে উঠলাম -
এসো নীপ বনে ছায়াবীথি তলে
এসো করো স্নান নবধারা জলে
এভাবেই কন্ঠে গান নিয়ে চললাম রমনা উদ্যান। বৃষ্টির বেগ ইতি মধ্যে আরও বেড়ে গেছে। ছুটির দিন আর বৃষ্টির সকাল বিধায় শহর তখনও জেগে ওঠেনি। স্তব্ধ চারিদিক। রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা। কিছু বাস হঠাৎ হঠাৎ ভোঁ ভোঁ শব্দে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। এভাবেই আমি হাইকোর্ট হয়ে রমনা চলে আসি , তারপর সোজা উত্তরায়ন ফটক ধরে শিমুলচত্বরের সামনে। সেখানে হারুন ভাই আগে থেকেই অপো করছে। এখানে আমি বাইক ষ্ট্যান্ড করে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে হাঁটা শুরু করি।
তিন
রমনা নামটি মোঘলদের দেয়া। ১৬৬০ সাল থেকে এলাকাটি রমনা নামেই পরিচিত। সুবাবাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ স্থানান্তরীত হলে রমনা এলাকাটি অবহেলায় পরে জংগলে পরিণত হয়। ১৮২৫ সালে তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট চার্লস লর্ড কয়েদিদের দিয়ে এলাকাটি পরস্কার করান। ১৯০৮ সালে লন্ডন কিউ-উদ্যানের কর্মী প্রাউডলক বার্মার রাজধানীর শোভা বৃদ্ধির কাজ শেষ করলে ১৯০৮ সালে তাকে ঢাকার নিসর্গশোভা বৃদ্ধির দায়িত্ত দেয়া হয়। দতার সঙ্গে তিনি সে কাজ শেষ করেন। রমনা পার্ক নির্মাণ তারও অনেক পরে। সম্ভবত ১৯৪৯ সালের দিকে রমনা পার্কের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৫২ সালে। সে বছরই পার্কটি জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ৬৮.৫০ একর যায়গা নিয়ে রমনা উদ্যানের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮.৭৬ একর যায়গা নিয়ে একটি লেক রয়েছে। আছে একটি শিশু পার্ক আর একটি রেষ্টুরেন্ট। শুরুতে রমনা পার্কে ৭১ প্রজাতির গাছ ছিল। বর্তমানে সেটা প্রায় ৩০০’র ওপর উন্নিত হয়েছে।
চার
আমরা রুপসী বাংলা ( সাবেক শেরাটন ) হোটেলের পেছন সাইড ধরে হাঁটছি। পাদাউক আর মাইলাম গাছ পেরিয়ে আমরা চলে আসি কফি গাছের সামনে। একবারে নিরবে নিভৃতে এখানে দুটি কফি গাছ ফুল ও ফল দিয়ে যাচ্ছে। কেউ হয়তো ল্য করেছে , কেউ বা করেনি। সেখান থেকে আমরা চলে আসি একবারে বহু প্রাচীন নাগলিঙ্গম গাছটির কাছে। পেছনে গোলাপ শ্যাডে বৃষ্টিতে অনেক প্রাত:ভ্রমনকারী দাঁড়িয়ে। পাশেই রয়েছে বিশাল শ্বেত শিমুল গাছটি। রমনা উদ্যানে কোন লাল শিমুল নেই। শ্বেত শিমুল গাছ আছে বেশ কয়টি। এর মধ্যে কাকরাইল মসজিদ আর শিশু পার্ক ঘেষেই তিনটি শ্বেত শিমুল গাছ দাঁড়িয়ে। এখানে গুস্তাভিয়ার সারি। এখন গাছে ফুল নেই। যেমন ফুল নেই শ্বেত শিমুলে। তবে নাগলিঙ্গমের সুবাসে সুবাসিত পুরো এলাকা। নাগলিঙ্গমের সুবাসে সুবাসে আমরা পৌঁছে যাই শিশুপার্কের উল্টা দিকের অস্তাচল ফটকের কাছে। এখানে স্বর্নচাপা চত্বরটির অবস্থান। পাশেই একটি বাওবাব গাছ। তার পাশে বিশাল একটি তেতুল গাছ এই বৃষ্টিতে এক লোক গাছে উঠিয়েছে আরেক জনকে। সে নির্বিঘেœ ডাল ভাঙ্গছে , কেউ তাকে কিছু বলছেনা। পাশেই একজন সিকিউরিটি ছাতা মাথায় বসে আছে। তার গায়ে একটি বর্ষাতিও আছে। তবু উঠে বঁধা দেবার তাড়া নেই। এর মধ্যে বৃষ্টি কমে এসেছে , আমি শরীর মুছে টি-সার্টটি পাল্টে ক্যামেরা বের করি। পার্কের ইট বিছানো রাস্তা বৃষ্টিতে ভিজে চমৎকার রূপ ধারন করেছে। লেকের অবস্থা আর ও দারুন হয়েছে। এক কথায় অসাধারন। রমনা পার্কের বিখ্যাত বটমুলের কাছে , কর্পুর গাছের পাশে একেবারে লেকের ধারে আর একটি অসাধারন বিষয় অপোয় আমাদের জন্য। আমি আগেই বলেছিলাম এবার বৃষ্টি খুব মজার। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছিল , তাতে চোখ বন্ধ করে বলা যেত সারাদিনেও সে বৃষ্টি কমবেনা। অথচ বৃষ্টি কমার সাথে সাথে রোদ ঝলমলে সকালের দেখা পেলাম , সে রোদ্রকরজ্জোল দিনের আলোয় দেখি একটি বারো-তেরো বছরের বালিকা লেকের পারে বসে বকুল ফুলের মালা গেঁথে চলেছে। আমি তার দিকে ক্যামেরা তাক করে এগিয়ে যাই। সে তাঁকাবেনা আমার দিকে , কথা বলবেনা , বলবেনা সে তাঁর নাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেভাবেই হোক যেহেতু ছবি তোলা হলই। সেহেতু সে আমায় একখান বকুল ফুলের মালা উপহার দিয়ে বললো আবার আইলে আমারে এই হানে পাইবেন , বকুলের মালা গাঁথি আর বেঁচি। দেখা হইলে আমার ছবিটা দিয়েন। আমি মুচকি হেসে তাকে আরেকবার দেখে সামনে এগোই।
পাঁচ
রমনা পার্কের প্রায় প্রতিটি গাছের গায়ে একটি সাইনবোর্ড সাঁটা , আর তাতে লেখা সবুজকে বাঁচান। রমনায় সবজ নষ্ট করার লোক কম। বলধা গার্ডেনে গেলে মায়া লাগে। দিনে দিনে কী হতশ্রী হচ্ছে , দুর্লভ সব বৃে ভরা বাগানটি। বলধার কথা মনে আসতেই মনটা খারাপ হয়ে যায়। একটু সৎ প্রচেষ্টাই বাঁচাতে পারে এমন দু¯প্রাপ্য একটি বাগান ভাবতে ভাবতে সামনে চলি। ইতিমধ্যে আমরা রমনার বিখ্যাত সেই বটমূল আর রমনা রেষ্টুরেন্ট পেছনে ফেলে মৎস বনের কাছে রমনার মুল ফটকের কাছে চলে এসেছি। এখানে একটি বোর্ডে রমনার ইতিহাস লেখা। বোর্ডের পাশেই একটি ছোট্ট ক্যালিয়েন্ড্রা গাছ দাঁড়িয়ে। সে গাছ আবার গোলাপী রঙের ফুলে ভরা। তার একটু পেছনে একটি বিশাল হিজল গাছ। এখানে সারি সারি আম গাছ। আছে একটি সিন্দুরাঙা আর আছে একটি বনআসর।
ছয়
আমি এখন রমনা রেষ্টুরেন্টের কাছে দাঁড়িয়ে। এখানে এসে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পরে গেল। আমরা সব বন্ধুরা মিলে প্রতি রমজানের ঈদে বখশিষ এর টাকায় ঈদের দিন এখানে চায়নীজ খেতে আসতাম। সে সময় গুলিস্তানের কাছে বেবী আইসক্রীম , তোপখানা রোডের ঈগলু আইসক্রিম আর রমনা রেষ্টুরেন্ট আমাদের ভরষা ছিল। মাঝে-সাজে আমরা ম্যান্ডারিনে যেতাম। সোনার খাঁচায় ভরা আমাদের সেই সব দিন আজ এই বৃষ্টি ভেজা রমনায় এসে মনে পরে গেল। সে সময় থেকেই আমার বৃ লতা পাতার প্রতি আকর্ষন। সে আকর্ষন , সে ভালবাসা আজও চলছে- চলবে।
রমনা রেষ্টুরেন্ট থেকে আমরা চলে আসি রমনা শিশু পার্কে। শিশুপার্ক এখন আর শিশুদের জন্য নয়। এখানে বড়রাই এখানকার দোলনার সওয়ারী। আসলে স্কুল বা কলেজের মেয়েরা এখানে বেড়াতে এসে শিশুদের দোলনায় দোল খায়। কদাচিৎ এখানে শিশুদের দেখা গেলেও সে সংখ্যা সিমিত। আমি শিশু পার্কের পাশের কাঞ্চন গাছে চোখ বুলাই , ফুল নেই। গুস্তাভিয়ার ও একই অবস্থা। পাশেই বুক টানটান করে দাঁড়িয়ে রুদ্রপলাশ। তার পাশের আকাশমনি চত্বরের ভেতর একদল শরীরচর্চ্চায় ব্যাস্ত। আসলে বৃষ্টি কমার পর পরই রমনা পার্কের প্রাত:ভ্রমনকারীরা ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে।
সাত
রমনা পার্কে এখন আগের চেয়ে বৃ বেশী। তবে অপরিকল্পিত কিছুই ভালনা। সে েেত্র বিষয়টা রমনা পার্কের জন্য মঙ্গলময় হবেনা। উদ্ভিদ বিদ্যার শিক অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা নিজে এখানে প্রায়শই বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ কিছু বৃ রোপন করেন। সেটা বৃটিকে টিকে থাকার সহায়তা মাত্র। রমনায় রামধন চাপা ছিলনা এখন এখানে প্রতি বছর দর্শনার্থীরা রামধন চাঁপায় চোখ জুড়াতে পারে , মন ভরিয়ে নিতে পারে। এখানে দ্বিজেনদার রোপন করা একটি ডুলিচাঁপা গাছ বেড়ে চলেছে একদিন সে গাছে ফুল ফটবে , এভাবেই এখানে একটি অনন্য ঘটনার জন্ম হবে। রমনা পার্কে প্রতি মাসে তরুপল্লব সংগঠনের প্রচেষ্টায় বৃ দেখা কর্মসূচী পালন করা হয়। এটা ভাল লন। অনন্ত একটা সংগঠন তো আছে যারা আমাদের বৃ চেনাতে সহায়তা করে চলেছে। এই প্রজন্মের অনেকেরই এখন খুব কৌতুহল! তবে ইদানিং রমনা পার্কের বিশাল খোলা প্রান্তর সংকুচিত হচ্ছে। অপরিকল্পিত বৃরোপনের পাশাপাশি প্রাত:ভ্রমনকারীরা এখানে দিন দিন শরী”র্চ্চার বিভিন্ন সরঞ্জাম বসিয়ে সে কাজটি করছে। এটা পার্কের জন্য একটি অশনীসংকেত। অথচ চাইলেই রমনাপার্কটিকে আরও সুবিন্যস্ত করা যায়। এমন সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবেত কখন আমরা অরুণোদয় ফটকের সামনে চলে এসেছি বুঝতে পারিনি। এই ফটকটি এখন মুল ফটক। এখানে ১৯৯৭-৯৮ সালে পার্কটির সংস্কার ও সৌন্দর্যবৃদ্ধির পর একটি স্মৃতিফলক বসানো হয়েছে। পার্কে কিছু বেঞ্চ বসানো হয়েছে। ছাতা লাগানো হয়েছে। অরুণোদয় ফটকের পাশেই মহিলাঅঙ্গন। এখানে মহিলারা শরীর চর্চ্চা করে থাকেন। তাছাড়া এখানে আছে কিছুন নামের প্রাত:ভ্রমনকারীদের একটি সংগঠন। আছে শতায়ু অঙ্গন , অগ্নিবীনা চত্বর , নাগলিঙ্গমচত্বর ইত্যাদি। সব কছিুতেই ফুলের গন্ধ বা পরশ থাকলেও পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। যাইহোক আমরা শিমুলচত্বরে ফিরে আসি। ততনে আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
আট
বৃষ্টি শুরু হতেই হারুন ভাইর প্রস্থান। আমি এবার বাইক নিয়ে রমনা পানির ট্যাংকির কাছে চলে আসি। শতবর্ষী মহুয়া গাছ তলায় দাঁড়িয়ে একটুকুখন বৃষ্টি উপভোগ করে সেই বৃষ্টিতেই ক্যামেরা বের করি। এখানকার একজন পরিচর্যাকারী তখন কাছে এসে বলে সন্ধ্যায় আইসেন একটা লীপেচা ( গাছের একটি কোটর দেখিয়ে ) ওই খান থেইক্কা বাইর হয় , ডাক ছাড়ে - বালা ছবি তুলতে পাইবেন ভাইজান। শুনে আমি প্রীত হই। তারপর পাশেই শতায়ু অঙ্গন হয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়াই।
শেষকথা
প্রাউডলক সাহেব চেষ্টা করেছিলেন রমনা পার্কের শোভা বৃদ্ধির। তাঁর লাগানো বৃলতার অনেক কিছু এখন আর নেই। তারপরও আছে প্রাচীন বাওবাব , নাগলিঙ্গম , পাদাউক , সেগুন , কর্পুর সহ কতকী। আমাদের দেশের এমন একটি মহান সৃষ্টি যার হাত ধরে হয়েছে , তাঁর জন্য আমরা কিছুই করিনি। এই কিছুদিন আগে একটি নাম ফলক লিখেই দায় সেরেছি মাত্র। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে কিছু একটা অনন্ত করা দরকার। জানিনা আমরা তা কখনও করতে পারবো কিনা। অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা বলেছেন একটি স্মারনিক প্রতিষ্ঠান আমরা গড়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারি। সেটা কী হবে কোন কালে , জানিনা! এও জানিনা কবে আমাদের রুচি ও ভাবনার পরিবর্তন আসবে , সে ভাবনায় আমরা আমাদের দেশের প্রোপটে রমনা পার্কের মত একটি দুর্লভ যায়গাকে সৌন্দর্যময় ও নির্বিঘœ করে তুলতে পারবো। ভাবতে ভাবতে আমি শুভমিতার মোবাইল পেয়ে আবার বৃষ্টিতে ভিজে বাসা অভিমুখে যাত্রা করি।
প্রয়োজনীয় তথ্য
গুলিস্তান , ফার্মগেট বা শহরের যে যায়গাতেই আপনি থাকুন না কেন বাসে , সিএনজি বা রিকসায় রমনা পার্কে সকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে চলে আসতে পারেন। আপনারা যারা ঢাকার বাইরে থেকে আসতে চান তাদের জন্য খুব সহজ। চলে আসুন অনুভব করুন রমনার নিসর্গশোভা। সাথে সাথে পাশেই রমনা নার্সারীতেও ঢুঁ মারতে পারেন। যে ভাবেই আসুন সঙ্গে ক্যামেরা নিতে যেন ভুল না হয়!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৪