রাত্রে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, দুর থেকে শোনা গেছে মেঘের গর্জন..কিন্ত তারপর চন্মনে সকাল কুয়াশার মতো মেঘের ভেতর থেকে তাড়িয়ে বেড় করে এনেছে সূর্যকে, কাঁপা কাঁপা ভিজে পাতার উপর থেকে এখন গড়িয়ে পড়ছে তরল রুপোর ধারা। খোয়াইয়ের খোঁদলগুলোয় এতক্ষন স্তুপ-স্তুপ কুয়াশা জড় হয়েছিল, এবার সেগুলো একান্ত অনিচ্ছায় মাটি ছেড়ে উঠে যাচ্ছে।
মৃত্যুর কথা শান্ত ভাবে চিন্তা করা হল একমাত্র বুড়ো মানুষের কাজ। আর তখনই জীবনের যা কিছু মনোরম আর চিরন্তন সৌন্দর্য এতকাল অজানা ছিল তার কাছে উদঘাটিত হয়ে যায়। কেউ যেন তাকে দিয়ে সেই সবকিছু মর্মন্তদভাবে অনুভব করিয়ে নিতে চায় শেষবারের মত।আর তার পর চলে যায় অক্লেশে।
সত্যি সবাই ওরা চলে যায় । আর ওদের চলে যাওয়ার বিলীয়মান আওয়াজটুকু ভারি নরম আর মন্থর শোনায়, পথক্লান্ত ঘোড়ার মুখে -পরানো লাগামের প্রান্তের ঝুন ঝুন আওয়াজের মত। জীবন টা কি ভালো, কি পাগল-করা ভালো ছিল জীবন টা। আঃ কেবল যদি যাওয়ার সময়টা ঘনিয়ে না আসতো !
পাহাড়ের ঢালে আর গুহা গুলো হিমেল ঠান্ডা হয়ে থাকে। স্বচ্ছ ঠান্ডা জলের ঝর্নাগুলো সেখানকার মরচে -রং উর্বর মাটি ফুড়ে ফুসে বেরিয়েছে। আঃ কি মিষ্টি জল ঝর্নাগুলোর । ইচ্ছে হয় ওখানে দু দন্ড বসে থাকি।প্রকৃতির এই যে অসহ রূপ এ কিসের জন্য ! এ নিয়ে কি ই বা করার আছে আপনার ?..এ রূপ ভালো করে না তাকিয়ে দেখেই চলে যেতে হয় আপনাকে, এটাই হলো গিয়ে দুঃখের কথা...
প্রিয় একটি গল্পের প্রিয় কয়েকটি লাইন
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫০