মনমহিনী,
সময়ের স্রোতে পথ হারিয়েছি আমি,আজ দিক-চিহ্নহীন আমি
হারিয়েছি আমি তোমার খোঁজে হাজার মানুষের ভিড়ে আমি ।
প্রতিদিক নতুন করে তোমায় আবিষ্কার করি প্রতিবার।এই একজনমে যতবার আমি তোমায় দেখি লক্ষাধিক বার মনের মাঝে আত্মহত্যা করি।
ক্ষুদ্র পতঙ্গ দেখেছ নিশ্চই?কি সুন্দর আগুনে ঝাঁপিয়ে প'ড়ে আত্মহুতি দেয়,তখন সে এটা বুঝেই,ঝাঁপিয়ে পড়ে যে তার মৃত্যু হবে হয়ত এটাই বাস্তবতা।আমি আজ পতঙ্গ হতে চাই যে জলে আগুন জ্বলে তা তো কেবল তোমাতেই নিবারণ তুমি জ্বালাও আবার নিভাও,শেষ হয়ে যাক সব মোম আর? আর কি এরপরেও কিছু থেকে যায় কিছু শেষ কখনও শেষ হয়না কিছু বুঝে নিতে হয়,প্রতিক্ষনে ভালোবাসি বলা যায় না।কতযে প্রনয় এই তোমাকে ঘিরে।আমি প্রতিবার জন্ম নেব বলতে তোমায় ভালবাসি।কি স্বপ্ন দেখি জানো?
কোন এক নিশুতি রাতে আমি বরং রাত সড়ে তিনটায় ছাদের কোনায় বসে তোমার বকবকানি শুনবো। আর আমি একটা বেসুরো গান গাইবে, হয়তো রবীন্দ্রসঙ্গীত।তবু ছাদের কোনায় পা দুলিয়ে আমার এই অত্যাচার শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত তুমি শুনবে।এক একবার চিৎকার করে বলব,"ওরে মিঠাইয়ের মা তোর সাথে ঝিঙ্গা গাছের আঠার মত লেগে থাকতে মনচায়।" হোক তা প্রতিদিন সকালের বালিশ ছেড়ে উঠার মতোই একঘেয়ে। তবু হোক তা বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘামার মতোই বিরক্তিকর। কিন্তু যার শুরু তোমার থেকে হবে তা দিনের শেষের লালিমার মতোই সুন্দর হয়ে রুপ বদলাবে। প্রতিদিন দেখেও যা আবার দেখার জন্যে সেন্টমার্টিনে ছুটে যেতে মনে চায়। দিনের শেষটাও তোমাকে দিয়েই হবে।
জানো তোমাকে দেখার পর থেকে কীরকম পাল্টে গেলো আমার আকাশ সেখানে এখন শুধু চাঁদের বদলে তুমি ওঠো ,আর একটাই ওঠে সন্ধ্যাতারা,
সেও তুমি সন্ধ্যার বাতাসে নিজেকে খুব হতাশ লাগে ,দুঃসহ কষ্ট দেয় তুমি হীনতা ,তোমারও কি এমন লাগে?কারন ছাড়াই চোখ ভিজে যায় জলে।
কোন একদিন একা একা বিষন্ন মনে বেলকোনিতে যখন বসে থাকবে ,
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা,তখন আমি আসব তুমি না ডাকলেও আসব। আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো,তোমার কাছে কারন?তেমন কিছুই না তুমি যে আমার মিঠাইয়ের মা।আরও একটা কারন আছে তেমন কিছু নয় এই গোটা জনম সাতেক তোমাকে জ্বালাবো।এইতো খুব বেশি কিছু নয়।
পরিশেষ আর কি কবির(নির্মলেন্দু) মত আমিও বলে দিতে চাই
প্রয়োজন ছিল না মোটেও, তবুও সঞ্চয় জানি চিরকাল বিজ্ঞজনোচিত। আপাতত ধরে থাকি
পরিণাম পরে দেখা যাবে,-এই ভেবে মানুষের মতো এক মুগ্ধ-পিপীলিকা আনন্দে আগলে রাখে ব্যাকুল চোখের কোণে লুক্কায়িত চিনির হরিণ;যেমন তোমাকে আমি এই প্রয়োজনহীন পরবাসে।এখনো বাসিনি ভালো পুরোপুরি,আয়ত্তে রেখেছি কিছু প্রেম,অপূর্ণ রেখেছি কিছু অন্তরঙ্গ বোধের বাসনা;কল্পনায় ঘিয়ে আছি অন্ধ-যৌন রূপের কংকাল।যদি ব্যর্থ হই এরকম নিঃসঙ্গ খেলায়,কুরে খাবো চর্বচোষ্য লাবণ্য তোমার,আলিঙ্গন ভ'রে দেবো অজস্র বাহুর পিপীলিকা।সবাই পড়েছে প্রেমে, আমি সকলের চেয়ে বেশি।
এতটুকুই বলে শেষ করি,
যতবার তুমি জননী হয়েছো, ততোবার আমি পিতা,কতো সন্তান জ্বালালো প্রেয়সী তোমার আমার চিতা।
বারবার আসি আমরা দু'জন বারবার ফিরে যাই,আবার আসবো আবার বলবো শুধু তোমাকেই চাই।
তোমারই
বদ্ধপাগল
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৭