সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দু লেখকদের লেখা বাদ দেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে দলটি,এরপর হয়তো জাতীয় সঙ্গীত বাদ দিতে বলবে এবং তারপর সব সংখ্যালঘু বিতারন করবে তারা।তো তাদের চরিত্রটা একটু রিভিও করে দেখা যাক
২০১০ এর জানুয়ারিতে, এই সংগঠনটি চট্টগ্রামের প্রায় একশোটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হয়। হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ইযহারুল ইসলাম এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা। সংগঠনটি ২০১০ সালে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির বিরোধিতার মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। ২০১১ সালে তারা বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন নীতি (২০০৯) এর কয়েকটি ধারাকে ইসলামের সাথে সাঙ্ঘরষিক দাবি করে এর তীব্র বিরোধীতা করে।২০১১ সালে এই সংগঠনটি, সর্বক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত নারী উন্নয়ন নীতির তীব্র বিরোধিতা করে।
(Click This Link)
তালিবান সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ:
৬ই মার্চের ঢাকা অভিমুখী লংমার্চের সময়ে, এই সংগঠনের একজন সংগঠক প্রকাশ করেন যে, ১৯৮৮ সালের আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি আফগানিস্তান ভ্রমন করেন। ২০০৪ সালের একটি সাক্ষাতকারে তিনি প্রকাশ করেন যে, তার সাথে ওসামা বিন লাদেন ও হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি সেই সাক্ষাতকারে বলেন,
“ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর আমন্ত্রনের কারনেই আমার আফগানিস্তান ভ্রমন সম্ভব হয়েছে।আমরা যারা আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্র ভ্রমন করছি তারা হলেন, শাইখুল হাদিস, আতাউর রহমান খান, সুলতান যাউক, আবদুল মান্নান, হাবিবুল্লাহ, আমি নিজে এবং আরও তিনজন। ”
(Click This Link)
হেফাজতের দাবি নিয়ে কিছু কথাঃ
হেফাজতের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামবিরোধী নারীনীতি বাতিল,মোমবাতি জ্বালানো সহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা,মসজিদের নগরী হিসেবে পরিচিত ঢাকা থেকে সকল মূর্তি অপসারণ এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সমূহে ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধ করা।হেফাজত নারী নেত্রীত্ববিরোধী কিন্তু ঠিকই তারা খালেদা জিয়ার ছত্রছায়ায় খালেদা জিয়ার সাথে বয়ঠক করে,এটা কি হেফাজতের ভন্ডামী নয়?অবশ্যই এটা হেফাজতের ভন্ডামি।নারীর উপরে আমাদের অর্থনীতি অনেকাংশেই নির্ভরশীল কিন্তু সেই নারীসমাজকেই হেফাজত গৃহবন্দী করে রাখতে চায়।মোমবাতি জ্বালানো কেনো এবং কিভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে,এটা কেঊই বুঝতে পারে নাই।তাহলে কি বিদ্যুত গেলেও মোমবাতি জ্বালাতে পারব না আমরা(!!)??আর হেফাজত কে বুঝতে হবে মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে পার্থক্য।মূর্তি হল পুত্তলিকা যা হিন্দুরা পূজা করে আর ভাস্কর্য হল স্বাধীনতার প্রতীক,আমাদের স্বাধীনতার স্মৃতি বহনকারী স্মারক।ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধ করার কথা বলা রাস্ট্র অবমাননার শামিল।ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধ করার কথা বলা মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা যা এই রাস্ট্রকে অস্বীকার করা বোঝায়।আর হেফাজতের মূর্তির উপর যে এলার্জি দেখা গেল, তাতে মনে হয় না তারা এই দেশে কোনো হিন্দু দেখতে চাই আর হিন্দু পুজা তো মনে হয় হেফাজতের দুচক্ষের বিষ।
হেফাজতের ভন্ডামীঃ
* দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।আর তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে একটি দাবিও নাই যে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি।বরং তারা বলেছে তারা ১০০ দফা দাবি করলে যুদ্ধাপরাধীর দাবি আসবে।ইন এডিশন টু দ্যাট,হেফাজতে ইসলাম রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মুক্তি চাই।
http://www.theindependentbd.com/index.php…
Hefajat-e-Islam demands Saydee’s release
www.theindependentbd.com
* ইসলাম ধর্মে নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হইছে।তাহলে হেফাজতের আঘাতের শিকার কেন হলেন নাদিয়া শারমিন।
হেফাজতের নিগ্রহের শিকার নারী সাংবাদিকরা (আপডেটেড)
www.banglanews24.com
* ইসলাম শান্তির ধর্ম।তাহলে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশের নামে ঢাকাব্যাপী যে তান্ডব চালিয়েছে,তা ইসলাম ধর্ম কোনমতেই সমর্থন করে না।তারপর হেফাজতের লোকজন বায়তুল মোকারমের আঙ্গিনায় অগ্নিসংযোগ করেছে, কোরআন শরিফ পুড়িয়েছে-যা ধর্ম অবমাননার শামিল।শাহবাগের আন্দোলন তো প্রায় ৪ মাস ধরে চলছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারবেনা যে শাহবাগীরা কোন সহিংস আচরন করেছে।শাহবাগীরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী,শাহবাগীরা সহিংস আচরনে বিশ্বাসী না।
হেফাজতের মিথ্যাচারিতাঃ
দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ নর্দী গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে সোহেল চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার
উজানী আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। ৫ মে বিজিবি-পুলিশ-RAB এর সাঁড়াশি অভিযানের পর জামায়াত-শিবির সমর্থিত বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইন পেইজে এই সোহেলকে মৃত বানিয়ে অহরহ খবর প্রকাশ করতে থাকে।
অথচ তথ্য তালাশ করতে গিয়ে দেখা যায় উক্ত মাদ্রাসায় সোহেল নামে শুধু পাঁচজনই আছেন এবং তারা প্রত্যেকে জীবিত আছেন। এমনকি তাদের কেউই উক্ত তারিখে হেফাজতের সমাবেশে যায়নি। জামাতী সূত্র ধরে বিএনপিও দাবী করেছিল ২৫০০ কর্মী মারা গিয়েছিল ঐ রাতে পরে ঠ্যালা সামলাতে না পারে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়। বড়ই আফসোসের বিষয় ২৫০০ লোক মারা গেলো অথচ ২৫ জন লোকও এলো না খোঁজ
নিতে।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article625214.bdnews
‘নিহত হেফাজতকর্মী সোহেল’ ক্লাস করছেন – bdnews24.com
গণহত্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
বাংলাদেশের মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানে যৌথবাহিনীর
অভিযানের পর হেফাজত ও অন্য বিরোধী দলগুলোর ‘গণহত্যা’র অভিযোগকে ভিত্তিহীন
বলেছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবি্লউ)।
সংস্থাটি বলেছে, এ ধরনের অভিযোগ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে। তবে একইসঙ্গে ওই
অভিযোগের বিষয়ে অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ
তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার এইচআরডবি্লউর
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। ৫
মে রাতে শাপলা চত্বরে র্যাব-পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযানে অসংখ্য মানুষ হতাহত
হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে হেফাজতে ইসলাম ও বিরোধী দল বিএনপি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেন,
হেফাজতে ইসলাম ও অন্য বিরোধী দলগুলোর ‘গণহত্যা’র দাবি ভিত্তিহীন এবং অস্থিরতা বাড়ানোর জন্যই এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এমনকি নিখোঁজের কোন প্রমান খুজে পাচ্ছে না হেফাজত সংগঠনটিও।৩০০০ নিখোঁজ অনুসন্ধানে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় চলছে অনুসন্ধান।কিন্তু এখন পর্যন্ত একজনকেও নিখোঁজ পায়নি সংগঠনটি।
শাপলা চত্বরে নিজের ছেলেকে নেননি বাবুনগরী-
মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অগণিত ১২ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের নিয়ে আসলেও নিজের সন্তানদের নিয়ে আসেননি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। তার পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলের নাম হাফেজ সালমান। বয়স ১৬। সে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি দৌলতপুরের একটি মাদ্রাসায় পড়ছে।
ছেলেকে কেন মতিঝিলে নিয়ে আসেননি? তদন্ত সংশ্লিষ্টদের এমন প্রশ্নের বিপরীতে বাবুনগরীর উত্তর ছিল, ‘সে তো অনেক ছোট। এত ছোট ছেলেকে কি নিয়ে আসা যায়? ওর তো পড়ালেখা নষ্ট হবে। বিশেষ করে ওর মা তো কোনোভাবেই ওকে দূরে কোথাও থাকতে দেয় না।’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হেফাজতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে গত তিন মাস ধরে রাজধানীর লালবাগ মাদ্রাসা, এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকগুলোতে জামায়াত ঘেঁষা বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতারা উপস্থিত থাকতেন। একটি বৈঠকে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীও উপস্থিত ছিলেন। ওইসব নেতারা কৌশল করেই সিদ্ধান্ত নিজেদের মতো করে নিয়ে নিতেন। বাবুনগরীর দাবি, জামায়াত ঘরানার এসব নেতাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি চোখে পড়ার মতো। তাদের অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। সর্বশেষ গত ৫ মে’র ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অনেকেই তাদের নিজেদের মতো করে কামিয়েছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আমার দেশ সম্পাদক মাহ্মুদুর রহমানের চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন এ ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাবুনগরীকে। ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতব্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বাবুনগরী অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির লোক। তার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় নয় দিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার হত্যাসহ তিনটি মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরীকে আরও ২২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে বাবুনগরী জবানবন্দীতে ত্রিশজনের নাম বলছে, তারমধ্যে বারজন হেফাজতের, আর আঠার জন জামাত, বিম্পি, জাতীয় পার্টির।
http://www.bd-pratidin.com/index.php…
প্রথম পাতা :: শাপলা চত্বরে নিজের ছেলেকে নেননি বাবুনগরী
www.bd-pratidin.com
সত্য উন্মোচনঃ
* জুনায়েদ বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন, সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যর ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজসহ বিভিন্ন অপরাধে জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল এবং যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীরা জড়িয়ে পড়েন। এসব বিষয়ে হেফাজতের আমির আহমেদ শফীকে অবহিত করলে তিনি সহিংসতা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, বাবুনগরী আদালতকে জানান, মাওলানা নুর হোসেন কাসেমী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, জুনায়েত আল হাবিব, আতাউল্লাহ আমীন, গোলাম মহিউদ্দিন একরাম, শেখ লোকমান হোসেন, মাঈনুদ্দিন রুহী, শামছুল আলম, আজিজুল হক ইসলামবাদী ফজলুল কারী জিহাদিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহিংসতা ও লুটতরাজ বন্ধ করতে বলেন তিনি। লালবাগ মাদ্রাসায় অবস্থানকালেই জুনায়েদ বাবুনগরী জানতে পারেন, জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীরা বিভিন্ন বইয়ের দোকানসহ কোরআন শরিফ পোড়াচ্ছেন।
জুনায়েদ বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন, এই সহিংসতা বন্ধ করতে তাদের ১৪ জন নেতাকে বললে তাঁরা তাঁকে চুপ থাকতে বলেন। তাঁরা জুনায়েদ বাবুনগরীকে বলেন, আন্দোলন এখন ১৩ দফায় নেই। এই আন্দোলন এখন সরকার পতনের আন্দোলন। এ জন্য ১৮ দলের লোকজন তাঁদের সহায়তা ও অর্থ দেবে। ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা
হয়েছে, তাঁরা খাবার ও পানি দেবেন।
স্বীকারোক্তিমুলক জবানন্দি দিলেন বাবুনগরী
www.prothom-alo.com
* গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অন্তত চারটি দল হেফাজতে ইসলামের সদস্য। এগুলো হলো- ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম। কিন্তু ঐতিহাসিক মদিনা সনদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর জ়ানলাম যে,
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির স্থান ইসলামে নাই।
জামাত-শিবির সহ যারা দেশে ইসলামের
নামে তান্ডব চালাচ্ছে তা মোটেই ইসলাম সমর্থিত
নয়,ওদের কর্মকান্ডের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক
নেই।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান। একই সঙ্গে তিনি ঢাকাবাসীর প্রতি আহবান জানান, হেফাজতকে সাহায্য করার জন্য। ১৮ দলীয় জোটভুক্ত যে দলগুলো হেফাজতের সঙ্গে রয়েছে, তাদের পরামর্শ ও চাপে টানা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেয় হেফাজত।
জামায়াতের ফাঁদে পড়ে সব শেষ :: প্রথম পাতা :: কালের কণ্ঠ
www.kalerkantho.com
* জুনায়েদ বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন যে তাকে নাকি মন্ত্রী বানানোরও স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল।নিচের ছবিতেই তার প্রমান রয়েছে-
405926_496252077095577_344929210_n
হেফাজতের মূল লক্ষ্যঃ
শফি হুজুর হেলিকপ্টারে চড়ে,কিন্তু এই টাকার উত্স্য কি? যে মাদ্রাসা টাকার অভাবে চলে না,কিন্তু ঐ মাদ্রাসার একজন ক্ষুদ্র বেতন পাওয়া একজন হেডমাস্টার কিভাবে হেলিকপ্টারে চলাফেরা করে।সমাবেশের ও থাকা-খাওয়ার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার উত্স্য কি? এ বিষয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বাবুনগরী।বাবুনগরী জানান-হেফাজতের ঢাকা অবরোধের অর্থের যোগানদাতা বিএনপি,সমন্বয়ক ছিলেন খোকা।হেফাজত কর্মী ছাড়াও অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবির,ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মীরা এবং সরকার পতনই ছিল তাদের লক্ষ্য।
হেফাজতের হঠকারিতাঃ
সাভার ট্রাজেডিতে সহায়তার নামে চাঁদা তুলেছিল হেফাজত কিন্তু চাঁদা নিয়েও দূর্নীতি করেছে তারা।প্রমান নিচে-
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622390.bdnews
হেফাজতের ৪ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা – bdnews24.com
* হেফাজতের নেতারা অসহায় ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে সমাবেশে নিয়ে এসেছিল।গন্ডগোলের সময় হেফাজতের বড় নেতারা চলে গেলেও বিপদে রেখে যায় নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্রদের।হেফাজতের এই হঠকারিতা কি ইসলাম সমর্থন করে?উত্তর হলো-না,ইসলাম কোনপ্রকার হঠকারিতা সমর্থন করে না।
কওমি শিক্ষা-১: বেত্রাঘাত-ফেলের ভয় দেখিয়ে সমাবেশে
www.banglanews24.com
হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতিঃ
হেফাজতে ইসলামের গত ৫ মে’র তাণ্ডবে বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন ৭১৬ জন হকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের নামের তালিকা সেই সময় সরকারকে দিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন।
শুক্রবার পাঠ্যপুস্তক হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে রক্ষা করতে মাঠে নামবে হেফাজত। প্রাইমারি লেভেলে তাদের কাছে আমার প্রাণের দাবী থাকবে তিনটি।
প্রথমতঃ
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা একজন হিন্দু। শুধু তাই নয় প্রখ্যাত উর্দু-বাংলা-ইংরেজি ইসলামী কণ্ঠ শিল্পী "মুহিব খান" দাবী করেছেন আমাদের জাতীয় সংগীতে নাকি "শিরক"-এর উপাদান রয়েছে। প্রথমেই এই নাস্তিক্যবাদি গানটাকে বাতিল করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম ডিজাইনার একজন হিন্দু। শিবনারায়ণ দাস আমাদের জাতীয় পতাকার ডিজাইনে লাল বৃত্ত দিয়ে সূর্যকে বুঝিয়েছেন। প্রকারন্তে এটাও এক ধরনের শিরক। সূর্য হিন্দুদের দেবতা, আমাদের পতাকায় সূর্য আছে, সুতরাং আমরাও হিন্দু। এই হিন্দুত্ববাদী পতাকা বাতিল করে চাঁদ-তারা সমৃদ্ধ কিছু আনতে হবে।
তৃতীয়তঃ
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম একটি ভাষা-রাষ্ট্র। বাংলা ভাষার উৎপত্তির পেছনে অন্যতম ভূমিকা আছে সংস্কৃত ভাষার। সংস্কৃত ভাষায় হিন্দুদের যাবতীয় ধর্ম-গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে। তাই এখন সময় এসেছে এই দূষিত ভাষা থেকে বের হয়ে আসার। লিখতে যদি এতই ইচ্ছে হয় তাহলে আরবিতে বাংলা ভাষার প্রচলন করা যেতে পারে।
এর থেকে কি বুঝতে পারি আমরা?এটাই বুঝি যে চিটাগাং রেলওয়ের যে জমি তাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল সেই হাদিয়া গত হইয়াছে।এ মুহূর্তে নতুন হাদিয়া চাই তাদের না হলে তান্ডব চলবেই।
এই বাংলা এত সবুজ আর মাটি কেন?বালি আর খাইজুর গাছ তাদের চাই
বাংলা একটা হিন্দুয়ানী শব্দ আল মদিনতুল বাংলাস্থান তাদের চাই
প্রাইমারি লেভেলের দাবী গুলো নেয়া-আরিফ রহমানের থেকে
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬