তুমি যে পর্যন্ত এসেছো
অথবা আসোনি ভেবে পার করছো
গচ্ছিত বিকেল
ফুলে ভরা টব
জনৈক নিরাপদ!
সাধু হওয়ার ইচ্ছে ছিলো তোমার
বহুদিন অহংকার তাড়া করেছো খুব—
একলা হওয়ার গুন ছিলো যতদিন।
পুরানো বাক্সে তোমাকে খুঁজে পায়নি কেউ
যতো পিচ্ছিল আছো এখন—
পড়শিরা দেখেনি কোনোদিন।
তোমার এমন রক্তাভ দিনে
ছয়লাব হয়ে আছে
বিকালের ভাঁজ;
শকুনের তাজে
নিন্দিত ময়দান—
কথারা ফসলের স্রোতে
উঠে গেছে গোলায়
শোধ দেওয়া হবে না আর;
তোমার বাহারি জমিন
আমনের দিনে যাকে কেউ
ছুঁয়ে ছুঁয়ে শুয়ে গেছে ক্ষেতে—
কালো নাওয়ের লেজ ধরে
তোমার বাড়ি পথে ছুটে গেছে দল
চিঠির তোরঙ্গে জমানো ছিলো যত
মসৃন গোপন—
অদূর আহ্লাদে প্রিয়জন ভেবে
নাকে-মুখে জড়িয়েছে সুখ!
কেতাবি আগুন ক্লান্ত তাঁবুতে
ঘুমিয়েছে এই;
সমগ্র ঘ্রাণেই প্রবাহিত হ্রদ।
করুণার মতো রয়ানি গায়—
বাঁয়ের নদী পাড় হয়ে
সংকীর্ন ভৌতিকে ডুবে গেছো তুমি;
নোক্তার মতো বিজলির
বুকে এঁটে দিয়ে দিন—
সাপের খোলস ছড়িয়েছো জ্বর।
সড়কের চারদিকে নগ্ন প্রহরীরা
কতো কতো জেগে আছে তোমার—
বিশ্বস্ত হাতলের ছবি বুকে নিয়ে
কেটেছে তাদের।
এখনো লাটাই ছেড়ে দিতে রোদ উঠে যায় দেশে
অদৃশ্য জামানায় কবুতর বেশি
হাহাকার করে;
অনাগ্রহে পুড়ে যায় ঘুড়ি।
তুমি কাঠবাদামে থাকো
শুকানো দৌড় তোমাকে পড়ে নিতে
পুড়ে যাবে রোডে—
অগ্রাহয়ন আসে তোমার পায়ে
মাঘের ঘামে মুখিয়ে আছে সবুজ
পালাকার হাটে চলে যাচ্ছে মোট
হাতখালি দল নুয়ে আছে থির
মুখের লালায় মাটির জ্বর;
—আবার
যেন অশ্লীল থাবায় মরে যাচ্ছে
সাহস।
আহা মঞ্চের মুখ
তোমারও শোভন ভিড় ঠেলে জ্বলার;
আগুনের ঘরে বসবাস নেই কোনো সলতের।
তোমাকে একা—
তোমাকেই ডাকে সবালক ডিঙি;
মহিষের ছবি,
হাটে ও হাটের সুবাসিত ধুলো
মোলায়েম হয়ে কারুকার্য করে
চলে যায় মোড়ে।
মহড়া শেষে বাড়ি ফিরে আসে
সহিসের মাঝি;
অন্ধতা মুছে বিগলিত গানে
মদিরার শোক শেষে সহবাস জাগে;
ভাঙা আলতার দ্রোণে!
আরো কোনো মহড়া থেকে
ডাক আসে তার মহাজন কূলে
শ্লোক জানা পাঠিকারা ভেবে ভেবে শেষ—
তোমার জামায় জমানো আছে
কতো রক্তের পাহাড়,
মিথ মৃত্যুর রহস্য ভাসে ফুলেল স্বরে,
ঘোরের কণ্ঠরা সয়ে যায় ভোর
ক্ষীণকায় সংসারে তোমাকেই পুড়ে,
পোড়াতে সাংহার।
৪ মে ২০১৮ খ্রি., কোটবাড়ি, কুমিল্লা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭