পরিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না—
না স্বপ্নে—না চোখের আড়ালে
পরি আর কোথাও নেই
আমার অগ্রহায়ণ-পৌষে ছড়িয়ে যাচ্ছে কেউ
ঢেউ সমান শীতে চুপসে যাচ্ছি দ্রুত;
শিশিরের কারুকাজে মেখে যাচ্ছি নদী
সহজ-সরল আয়নায় ডুবে যাচ্ছি তাথই...
নিষিদ্ধ প্রবন্ধের ভাঁজে ভাঁজে লেপ্টে ছিলো তার ছায়া
তীব্র শোকের মাতম শেষে উজ্জ্বল হতাম
তাকে ছুঁয়ে নুয়ে নুয়ে আড়াল হওয়া রাতের শরীরে
লেপ্টে দিতাম দিন
নাওয়ের রোদ্দুরে ভিজে যেতাম
কোলাহল নিয়ে মরে যেতাম ঠোঁটে
ডুবে যেতাম ক্ষুধার্ত শাদার ডাইরিতে
পরিকে ইদানিং কোথাও পাইনা
মুখের ছবিতে কেঁদে ওঠে না সকাল
দুপুরেও বাজে না আর মাটির কোরাস
সন্ধ্যা কিংবা নির্ঘুম অন্ধকারে ছুঁয়ে যায় না নদী;
সে হয়তো ভুলে গেছে থরথর প্রেমালাপ
গাড়ি করে ফেরা শীর্ষ রোগ
আরো অস্ফুট যত মেঘ
আড়াল করেছে শাদা মুখের ফনা !
আমিও পালগান ভুলে গেছি
পালিয়ে ফিরছি পিচ্ছিল শখ রেখে বহুদূর
নিজের কাছে বারবার ফিরছি একা
পরিহীন চোখ-মুখ নিয়ে ভিজে যাচ্ছি ঠোঁটে !
৭ নভেম্বর ২০১৯ খ্রি., ধানমন্ডি, ঢাকা।