_ কি করছো নীলিমা? রনি দেখলে কি ভাববে বলো তো!
লিমনের কথায় বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করলো না নীলিমা। বরং আগের চেয়েও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো লিমনের হাত।
_ মাথার যন্ত্রণাটা খুব বেড়েছে, কাঁধে মাথা রাখবো একটু?
লিমনের উত্তরের অপেক্ষা না করেই কাঁধে মাথা রাখলো নীলিমা।
নীলিমা এবং লিমনের সম্পর্কের কথা দুজনের বাড়িতেই জানে। বিয়েও দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু নীলিমা নিজেই এই বিয়েতে সবচেয়ে বড় বাঁধা। কয়দিনের এই বিয়ের বন্ধনে বাঁধতে চায় না লিমনকে।
নীলিমাদের বাড়িতে লিমনের রয়েছে নিত্য আনাগোনা।
ঐ বাড়ির খুব আপন একজন লিমন। বলতে গেলে ছেলের মতোই।
কিছুটা দূরে কয়েকটা ছেলের সাথে খেলছে রনি। নীলিমার থেকে চার বছরের ছোট রনি।
তবে ভাই বোনের মধ্যে খুব ভাব।
ছোট হলেও নীলিমার সমস্ত দিকে খেয়াল রাখে রনি।
সময় মতো সমস্ত ঔষুধ দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই রনির নখদর্পণে।
_ আচ্ছা লিমন, তোমার আমার নামগুলো গাছ থেকে মোছা যায় না কোনো মতে?
_ ক্যানো? কি দরকার? মুছবা ক্যানো?
_ যদি কখনো তোমার বউয়ের সাথে এখানে আসো। আর সেও যদি আমার মতো পাগলী হয়! গাছে যদি নাম লিখতে চায়, তখন কি করবা?
_ তুমি একটু চুপ করবা? মাথার যন্ত্রণা বেড়েছে না?
_ আমি খুব বাচাল, তাইনা? জানোতো, আমার খুব শখ, তোমায় বরের বেশে দেখবো! আমার শখ পূরণ হবে না?
লিমন চুপ করে আছে। কোনো কথা বলছে না।
উত্তরের আশায় কাঁধে মাথা রেখেই লিমনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে নীলিমা।
বিন্দু বিন্দু অশ্রু জমা হয়ে চোখ দুটো ছলছল হয়ে উঠেছে লিমনের।
অশ্রু গড়িয়ে সোজা নীলিমার মুখের উপর পড়লো...
বিস্তারিত পড়ুন কথা দিলাম চোখে পানি আসবে ...
আপনাদের লেখালেখির জন্য আমরা নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছি । আমরা বিডি রির্পোটস পরিবার পাঠকদের লেখা আমাদের অনলাইন পত্রিকা তে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগ্রহীরা,নিজের লেখা কবিতা, সাহিত্য, গল্প ... আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন । এই মেইলে : [email protected]