ড. জাফর উল্লাহ স্যার এবং অনান্য নারীবাদীরা নির্দিষ্ট করে ইসলামে পিতার সম্পদ থেকে ছেলে-মেয়ের উত্তরাধিকার আইনের ব্যাপারে আপত্তি তুলেছেন। যদি উনাদের কথা অনুসারে এটা সমান হতো, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়,
উত্তরাধিকার সমান। কিন্তু ইসলামের পারিবারিক আইনে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান তথা পুরো পরিবারের সমস্ত ব্যয় পুরোটা ছেলের উপর। এটা একটা অবিবেক, অনায্য নিয়ম।
কেন ছেলেকে বিয়ের সময় মোহরানা দিতে হবে?কেন? আমি বলতাম এটা একটা উদ্ভদ, চিন্তা-ভাবনা বহিভূত, খুবই খেলো একটা নিয়ম।
ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের গুরু হেনরি ফেয়লের একটা লেখা পড়েছিলাম বহু আগে। সেখানে তিনি বলেছিলেন একটা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে দ্বায়িত্ব অনুসারে ক্ষমতা দিতে হবে। এই দুইয়ের যদি সামঞ্জস্য না থাকে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের লাল বাতি জ্বলবে।
তো পুরো পরিবারের অর্থনৈতিক দ্বায়িত্ব ছেলের উপর, মেয়ের কোন দ্বায়িত্বই নেই। অথচ অর্থনৈতিক উত্তারাধিকারের ব্যাপারে সমান? এটা কোন যুক্তিতে আসে।
ড. জাফর উল্লাহ স্যারের মত একজন পরোপকারী, সজ্জন, পন্ডিত ব্যক্তি কিভাবে এ রকম হালকা চিন্তা করলেন!?
যদি উনারা বলতেন—
1️⃣ ইসলামে পরিবারের অর্থনৈতিক দ্বায়িত্ব পুরোটা ছেলের উপর, এই নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে৷ দ্বায়িত্ব হবে ছেলে-মেয়ের সমান।
2️⃣ বিয়ের সময় মেয়েকে মোহরানা দেবার আইন পরিবর্তন করতে হবে, এটা ভুয়া আইন।
3️⃣মায়ের সম্পদের ক্ষেত্রে ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে কম পায়, সেটাও পরিবর্তন করে ছেলে-মেয়ের সমান করতে হবে৷
4️⃣১২টি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সমপর্যায়ের পুরুষের তুলনায় নারী অধিক পরিমাণে সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকেন। এটাও বদলাতে হবে।
5️⃣এবং ইসলামের পারিবারিক আইন অনুসারে চারটি ক্ষেত্রে সমপর্যায়ের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও পুরুষ পুরোপুরি বঞ্চিত হন। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট নারী পান, পুরুষ কিছুই পান না। এই নিয়মও বদলাতে হবে।
অর্থাৎ আরো পরিস্কার ভাবে বলেন ইসলামের পারিবারিক আইন পুরোটাই বাদ দিতে হবে ধর্ম থেকে। তাহলে সেটা এই কথার অন্তত কিছু যুক্তি থাকে। শুধুমাত্র এই চেরি-পিক ভয়াবহ বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯