“খুন করাটা যেখানে ধর্ম, সেখানে না করাটাই পাপ। যে মুসলমান আমাদের ধর্ম নষ্ট করেছে তাদের যারা মিত্র তাদের বিনাশ না করাই অধর্ম”। [নাটক ,‘প্রায়শ্চিত্ত’]
‘আল্লা হো আকবর’ শব্দে রণভূমি প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে। একদিকে তিনলক্ষ যবনসেনা, অন্যদিকে তিন সহস্র আর্যসৈন্য। হর হর বোম্ বোম্! পাঠক বলিতে পার, কে ঐ দৃপ্ত যুবা পঁয়ত্রিশ জন মাত্র অনুচর লইয়া মুক্ত অসি হস্তে অশ্বারোহণে ভারতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর কর নিক্ষিপ্ত দীপ্ত বজ্রের ন্যায় শত্রু সৈন্যের উপরে আসিয়া পতিত হইল? বলিতে পার, কাহার প্রতাপে এই অগণিত যবন সৈন্য প্রচণ্ড বাত্যাহত অরণ্যানীর ন্যায় বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল?— কাহার বজ্রমন্দ্রিত ‘হর হর বোম্ বোম্’ শব্দে তিন লক্ষ ম্লেচ্ছকণ্ঠের ‘আল্লা হো আকবর’ ধ্বনি নিমগ্ন হইয়া গেল? ইনিই সেই ললিত সিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুব নক্ষত্র।” [‘রীতিমত নভেল’, গল্প]
“ভালো মানুষি ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের মহম্মদ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালোমানুষ সেজে ধর্ম প্রচার করেন নি।” [গোরা, ১৭]।
“চলেছি করিতে যবন নিপাত
যোগাতে যমের খাদ্য।”
[কথা, কবিতা]
জ্বল জ্বল চিতা ! দ্বিগুন দ্বিগুন
পরান সপিবে বিধবা বালা
জ্বলুক জ্বলুক চিতার আগুন
জুড়াবে এখনই প্রাণের জ্বালা
শোনরে যবন, শোনরে তোরা
যে জ্বালা হৃদয়ে জ্বালালি সবে
স্বাক্ষী রলেন দেবতার তার
এর প্রতিফল ভুগিতে হবে”। [সতীদাহ, কবিতা]
“কিছুদিন হইল একদল ইতর শ্রেণীর অবিবেচক মুসলমান কলিকাতার রাজপথে লোষ্ট্র খন্ড হস্তে উপদ্রবের চেষ্টা করিয়াছিল। তাহার মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে- উপদ্রবের লক্ষ্যটা বিশেষরূপে ইংরেজদেরই প্রতি। তাহাদের শাস্তিও যথেষ্ট হইয়াছিল। প্রবাদ আছে- ইটটি মারিলেই পাটকেলটি খাইতে হয়; কিন্তু মূঢ়গণ (মুসলমান) ইটটি মারিয়া পাটকেলের অপেক্ষা অনেক শক্ত শক্ত জিনিস খাইয়াছিল। অপরাধ করিল, দণ্ড পাইল। এই নিম্নশ্রেণীর মুসলমানগণ সংবাদপত্র পড়েও না, সংবাদপত্রে লেখেও না। একটা ছোট বড়ো কাণ্ড – হইয়া গেল অথচ এই মূঢ় (মুসলমান) নির্বাক প্রজা সম্প্রদায়ের মনের কথা কিছুই বোঝা গেল না। ”[‘কণ্ঠরোধ’, ভারতী, বৈশাখ-১৩০৫]
“মুসলমান বিদ্বেষ বলিয়া আমরা আমাদের জাতীয় সাহিত্য বিসর্জন দিতে পারি না। মুসলমানদের উচিত নিজেদের জাতীয় সাহিত্য নিজেরাই সৃষ্টি করা”। [১]
[নওয়াব আলী চৌধুরী বঙ্কিমের উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী সাহিত্য প্রচার বন্ধের প্রতি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি আকর্ষন করলে, এর উত্তরে]
'কোরআন পড়তে শুরু করেছিলুম কিন্তু বেশিদূর এগুতে পারিনি আর তোমাদের রসুলের জীবন চরিতও ভালো লাগেনি”। [সৈয়দ মুজিবুল্লা, বিতণ্ডা, পৃ-২২৯]
যে মুসলমানকে আজ ওরা প্রশ্রয় দিচ্ছে সেই মুসলমানেরাই একদিন মুষল ধরবে। [অমিয় চক্রবর্তীতে লেখা চিঠি, ১৫/১১/১৯৩৪, চিথিপত্রঃ১১]
যদি মুসলমান সমাজ মারে আর আমরা পড়ে পড়ে মার খাই, তবে জানব, এ সম্ভব হয়েছে শুধু আমাদের দুর্বলতা। [রবীন্দ্র রচনাবলী, জ.শ.স., ১৩ খণ্ড, পৃঃ ৩১৭, কালান্তর।]
চল্লিশ লাখ হিন্দু একলাখ মুসলমানদের ভয়ে মারাত্নকভাবে অভিভূত। [আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকার ৫/৯/১৯২৩]
একদা ঐ তর্করত্নের প্রপৌত্রীমন্ডলীকে মুসলমানেরা যখন জোর করে কলেমা পড়াবে তখন পরিতাপ করার সময় থাকবে না। [হেমন্তবালা দেবীকে লেখা চিঠি। ১৬/১০/১৯৩৩ চিঠিপত্রঃ৯]
কোন বিশেষ প্রয়োজন না থাকলেও হিন্দু নিজেই মারে, আর প্রয়োজন থাকলেও হিন্দু অন্যকে মারতে পারে না। আর মুসলমানেরা বিশেষ প্রয়োজন না ঘটলেও নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে, আর প্রয়োজন হলে অন্যকে বেদম মার দিতে পারে। [রবীন্দ্র রচনাবলী, জ.শ.স., ১৩ খণ্ড, পৃঃ ৩১৭, কালান্তর।]
“রবী ঠাকুরের জমিদারির কাছারি বাড়িতে হিন্দু প্রজাদের বসবার জন্য পাটি পেতে দেওয়া হতো আর মুসলিম প্রজাদের জন্য ছিল পাটি ছাড়া মাটিতে অবসার ব্যবস্থা”। [যতীন সরকার, পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু দর্শন, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ৯৯]
হর হর হর
শুধু তব নাম আজি পিতৃলোক হতে এল নামি,
করিল আহ্বান--
মুহূর্তে হৃদয়াসনে তোমারেই বরিল, হে স্বামী,
বাঙালির প্রাণ।
এক ধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে’ এ মহাবচন
করিব সম্বল।।
মারাঠির সাথে আজি, হে বাঙালি, এক কণ্ঠে বলো
‘জয়তু শিবাজী’। [শিবাজি উৎসব, কবিতা]
'মুসলমানরা একমাত্র বেয়াদব যাহারা হিন্দু পরিচয় স্বীকার করিবে না’। [১]
১. সলিমুল্লাহ খান, ‘সাম্প্রদায়িকতা’, বণিক বার্তা ২০ অক্টোবর, ২০১২,
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৩