[বিডিনিউজ ১] এদিকে, কয়েকজন ফেইসবুক ইউজার জানিয়েছেন, উত্তম বড়ুয়া নামের রামুর যুবকের ফেইসবুকে কোরআন অবমাননাকর ছবিটি তার পোস্ট করা নয়। এরজন্য উত্তম কোনোভাবে দায়ী নয়। ‘ইনসাল্ট আল্লাহ’ নামের এক ফেইসবুক আইডি থেকেই ছবিটি শেয়ার/ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
এজন্য উত্তম সাহেব দায়ী হন কিভাবে? ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্লাশ ফাইভের বাচ্চা ছেলেও জানে যে অন্যকে ট্যাগ করা বা তার টাইমলাইনে পোষ্ট করতে পারে অন্য লোকজন প্রাইভেসী সেটিংস এর উপর ভিত্তি করে। কিন্ত সাম্প্রদায়িক ও ধর্মব্যবসায়ীদের দল জামাত এই সুযোগ ছাড়বে কেন? তারা উস্কানি দিয়ে রাতে প্রথমে প্রতিবাদ মিছিল করে।
রামুনিউজ: প্রথম দফার প্রতিবাদ মিছিল
তারপর দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে গিয়ে একের পর এক বৌদ্ধদের বাড়িতে ও বিহারে আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রামু উপজেলার শত বছরের পুরোনো ১২ টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০ টি বসত ঘর, দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরও হয়েছে। শুধু রামু না কক্সবাজারেও জামাত তাদের তান্ডব শুরু করেছিল কিন্তু ছাত্রদল নেতা গিয়াস উদ্দিন জিকু সেটা প্রতিরোধ করেছেন বলে জানান। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। [বাংলানিউজ, প্রথম আলো]
কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলে কক্সবাজার জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঝিলংজার বিভিন্ন সংখ্যালঘু পল্লী ঘিরে রাতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের জড়ো হওয়া খবর পেয়ে তিনি গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। পুলিশকেও তিনি বিষয়টি অবহিত করেন বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য এই বছরেই জামাত সাতক্ষীরা, চট্টগ্রামের হাঠহাজারি, দিনাজপুর এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপর পৈচাশিক কায়দায় আক্রমন করে তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া সহ নির্মম নির্যাতন করেছিল। সুতরাং দেখা যাচ্ছে জামাত দেশে যেখানে যেভাবে সম্ভব সেভাবেই তাদের বর্বরতার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে।
[১/অনুসন্ধান সাতক্ষীরা: ‘জামায়াতের ইন্ধনেই হামলা-আগুন’ ,
২/হাটহাজারীতে সংঘর্ষ: সাকা চৌধুরীর অনুসারী ও শিবিরকে ঘিরে তদন্ত,
৩/ Hindus' houses looted, torched in Dinajpur].
পরিশেষে দেখুন গতরাতে (২৯-৩০ তারিখে) নরপশু জামাতিদের নৃশংস আক্রমনের শিকার সেই অসহায় মানুষদের বাড়িঘরের অবস্থা। আমরা জামাতের এই বর্বর আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথভাবে ক্ষতিপুরন প্রদান ও তাদের পুনর্বাসনের আবেদন করছি সরকারের কাছে।
ছবি কৃতজ্ঞতা: বিডিনিউজ ২ .
আর এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফেইসবুকে এক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর মন্তব্য -
Urgen Tsering: May the great demon of ego clinging be reduced to dust by the power of guru,triple jewels,deva,dakini and dharmapalas! May peace and happiness prevail!
কি আর বলব। আপনারা ভালো থাকুন, বাংলাদেশের বৌদ্ধরা। আর দয়া করে মনে রাখুন কিছু উগ্র জামাতী বাংলাদেশকে রিপ্রেসেন্ট করে না। এদেশ মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু, খিষ্টান, আদিবাসী সকলের। নৈতিকভাবে আপনাদের পাশেই আছি ও থাকব।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৮