somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুজিব মার্ডারের CIA ডকুমেন্ট নিয়ে প্রথম আলো মিজানের ফাপরবাজী , আওয়ামী বেকুবদের অট্টহাসি এবং যে লজ্জাজনক তথ্যটি প্রথম আলো ছাপালোনা , জানালোনা , ধামাচাপা দিলো

০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যা মামলা নিয়ে প্রথম আলো ব্র্যান্ডের মশলায় কষিয়ে মিজানুর রহমান খান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিষয়ক উপাদেয় একটি হিস্টোরিকাল হাইপোথিসিস দাড় করিয়েছেন।

সাংবাদিকতা যদি রান্না হয় তবে বলতেই হবে নাখা-ভুখা মানুষদের (বাংলাদেশের বোকা সরল বিশ্বাসী সংবাদ পাঠকদের) মিজানুর রহমান দারুন বাবুর্চীয়ানা দেখিয়েছেন ।

এই উপাদেয় ইতিহাস মেন্যুর রান্নায় জিয়াউর রহমানকে মুজিব হত্যার আসল ভিলেন বানিয়ে সেই পুরোনো কাসুন্দী আওয়ামী ইকো তৈরী করা হয়েছে , তবে কিছুটা জার্নালিস্টিক রিমিক্স সহ...... কারন পত্রিকাটির নাম প্রথম আলো।

দেখা যাক মিজানুর রহমান খানের সেই উপাদেয় ইতিহাস মেন্যুর স্বাদ টা কেমন ?

২০০৯ এর আগস্টে মিজানুর রহমান প্রথম এই বিষয়ে ফোকাস করেছিলেন।
প্রচন্ড জিয়া বিদ্বেষী মিজান মুজিব হত্যাকে একটি দুর্দান্ত প্লট হিসেবে নিয়েছে জিয়াকে খল নায়ক বানানোর জন্য ।

আগস্ট ১১ , ২০০৯ প্রথম আলো , মুজিব হত্যা বিষয়ে মিজানুর রহমানের রিপোর্ট :




কি দুর্দান্ত একটা ধোঁকাই মিজান শুরুতে দিয়েছে লক্ষ্য করেছেন কি ?

শিরোনাম :

জিয়ার পক্ষে ....ফারুক রশিদ অস্ত্র কিনতে যান মার্কিন দূতাবাসে !


পুরো রিপোর্টটা পড়ে দেখুন :
সেখানে চুম্বক অংশ গুলো পাওয়া যায় এইভাবে :
১.

১৯৭২ সালে ফারুক অস্ত্র কিনতে যান মার্কিন অ্যাম্বেসীতে।
কিন্তু কোন ডকুমেন্টে হদিস পাওয়া যায়নি।
৩১৭২ নাম্বার তার বার্তার মিজান সেটার খোঁজ পেয়েছেন।

২.
১৯৭৩ সালের ১১ জুলাই ফারুকের ভায়রা মেজর রশীদ আমেরিকান অ্যাম্বেসীতে যান অস্ত্র কেনার নেগোসিয়েশন করার জন্য।

এই বিষয়ে মার্কিন অ্যাম্বেসীর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড্যানিয়েল ও. নিউবেরীর ২ টি টেলিগ্রামকে মিজান এভিডেন্স হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।
মিজান এই টেলিগ্রাম গুলোকে অতি গোপনীয় বলে বাংলাদেশের নাখা-ভুখা মানুষকে "হাইকোর্ট" দেখালেও আসল ব্যাপার টা হচ্ছে -
নিউবেরীর ২৭ আগস্ট ,১৯৭৩ এর টেলিগ্রামটি ডিক্লাসিফায়েড ডকুমেন্ট হিসেবে অনলাইনেই পাওয়া যায়।

জুলাই ১৩ , ১৯৭৩ এর বাকীটা ?
শিপিং কস্ট সহ খরচ ১০ ডলারের কম হলে সিআইএ অফিসে অনালইন রিকোয়েস্ট সাবমিট করলে এমনিতেই সেটার ঘরের দরজায় পৌছে যাবে।

সুতরাং এই টেলিগ্রামগুলো অতিগোপনীয় হলো কিভাবে বোঝা যাচ্ছেনা!!

এই একই বিষয় নিয়ে মিজান সাহেব আবার হেড লাইন করেছেন এই বছরের আগস্টে।

একেবারে লীড নিউজ হিসেবে।

সেটা দেখা যাক : আগস্ট ১৬ , ২০১০ , প্রথম আলো , হেড লাইন



এই রিপোর্টগুলোতে যেটা পাওয়া গেছে তার সার অংশ :

১.

১৯৭৩ সালের ১২ ই জুলাই মেজর ফারুক রহমান আবার মার্কিন অ্যাম্বেসীতে যান আর্মস পারচেজ নেগোসিয়েশন করার জন্য।

২.

১৯৭৪ সালের ১৩ই মে ফারুক রহমান উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তার নির্দেশে মুজিব সরকারকে উৎখাত করলে মার্কিন সরকারের মনোভাব জানতে যান মার্কিন কুটনীতিক উইলিয়াম এফ গ্রেসামের বাসায়।
গ্রেসাম নেগেটিভ রেসপন্স করেন।


৭৩ 'র ১১ ই জুলাই মেজর রশিদ জিয়াউর রহমানের নাম ব্যবহার করেছে ভুয়া আর্মামেন্ট পারচেজ কমিটির অজুহাতে এবং
৭৪ 'র ১৩ই মে মেজর ফারুক রহমান কোন নাম উল্লেখ না করে "হায়ার র‌্যাংক্ড আর্মি অফিসার" এর অজুহাত দেখিয়ে পোস্ট ক্যু ডিপ্লোমেসী কি হতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলো।


এই পুরো বিষয়টাতে জিয়াকে জড়ানোর মিজানের ভিত্তি কি ?

১) মার্কিন অ্যাম্বেসী তৎকালীন ডেপুটি চীফ অফ আর্মি স্টাফ জিয়াউর রহমান কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো যে ফারুক এবং রশীদ তার পক্ষ থেকে এসেছিলো কিনা ?

উত্তর : না

২) লরেন্জ্ঞ লিফশুলজ গায়েবী মদদে জেনেছেন : মেজর রশীদ এক বৈঠকে জিয়া এবং মোশতাককে জিজ্ঞেস করেছিলেন মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে ক্যু করার পর আমেরিকার মনোভাব কি হবে ..........ইহাই মিজান সাহেবের একমাত্র টুল অফ কনডেমশন অ্যাগেইনেস্ট জিয়া যেটা দ্বারা তিনি প্রমান পেয়েছেন :

জিয়াউর রহমান চেয়ারড আর্মামেন্ট প্রকিউরমেন্ট কমিটি গঠিত হয়েছিলো !

কিন্তু হাস্যকর ২ টি সাবপয়েন্টে মিজান সাহেব বোকা সোকা বাংলাদেশী পাঠকদের কে ফাঁকি দিয়েছেন ।

১.

ধরে নেয়া যাক : মার্কিন অ্যাম্বেসী রাজী হলো আর্মস ডীলের জন্য। সেক্ষেত্রে পারচেস ডকুমেন্টে সেসময়কার আর্মি চীফ মুজিবের বশংবদ শফিউল্লাহ , ডিফেন্স মিনিস্টার , ডিফেন্স সচিব এবং স্বয়ং শেখ মুজিব সাইন করতে হবে কেবিনেট মিটিংএ !
তাহলে তো জিয়ার জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে গেলো যদি সত্যিই জারিজুরি কিছু থেকে থাকতো !

এই পারচেজড আর্মসগুলোর বিল শোধ করতে হতো বাংলাদেশ সরকারকে..!!!!
এই মহাগোপনীয় যড়যন্ত্রের হাড়িতো ভেঙেই গেলো তাহলে !


২.

লরেন্জ্ঞ লিফশুলজ কোন গায়েবী মদদ থেকে রশীদের জিয়াউর রহমান এবং মোশতাকের সাথে বৈঠকের খবর পেয়েছেন সেটা যাচাই করার এথিকস অব অথেনটিসিটি অব জার্নালিসম মিজান থোড়াই কেয়ার না করলেও
অন্যদিকে অ্যান্থনী মাসকারেনহাসের কাছে দেয়া ফারুক - রশীদের সেই কুখ্যাত সাক্ষাতকারের বর্ননাকেও মিজান মনেপ্রানে আকড়ে ধরেছেন।

মুজিব হত্যায় জিয়াকে দায়ী করার আওয়ামী চিৎকারের ভিত্তিটাও কিন্তু সেটা!

সেই সাক্ষাৎকার থেকে যেটা জানা যায় মুজিব সরকারকে ক্যু করে উৎখাত করার বিষয়টা ফারুক প্রথমবারের মত তৎকালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নোটিফাই করে ১৯৭৫ , ২০ মার্চে ঢাকা সেনানিবাসের জিয়াউর রহমানের বাসভবনের লনে ।

ভালো কথা .... এই মহাসত্যকে অবলম্বন করেই মুজিব হত্যা মামলার বিচার হয়েছে ।

তাহলে এই মহাসত্যের (অ্যান্থনী মাসকারেনহাসের কাছে দেয়া ফারুক - রশীদের সেই কুখ্যাত সাক্ষাতকার) সাথে মিজান তার নতুন সত্য গুলোকে মেলালোনা কেন ?
রেটিফিকেশনের এতবড় সুযোগ মিজান সাহেব নিলেন না কেন ?
ফারুক আর রশীদের সেই সাক্ষাৎকার গুলোর খবর বেমালুম ভুলে গেছেন মিজানুর রহমান!






১৯৭৫ , ২০ মার্চ ই যদি জিয়ার সাথে ফারুক প্রথম ক্যু নিয়ে আলোচনা করতে চায় তাহলে প্রি ১৯৭৫, ২০ মার্চ জিয়ার অগোচরে ছিলো বিষয়টা।

তাহলে ৭৩ এর ১১ ই জুলাই কিংবা ৭৪ এর ১৩ই মে যত জায়গায় ফারুক রশিদ জোড় জিয়ার নাম ব্যবহার করেছে সেটা জিয়াউর রহমানের অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করেছে , তার নাম ভাঙিয়ে কাজ চালিয়েছে ।



সুতরাং এথিকস অব অথেনটিসিটি অব জার্নালিসম বিচার করলে শিরোনামটা হওয়া উচিত ছিলো :

"জিয়ার নাম ভাঙিয়ে ...... ফারুক রশিদ অস্ত্র কিনতে যান মার্কিন দূতাবাসে "

কিন্তু টিপিক্যাল প্রথম আলো ধুরন্ধরপনা দেখিয়ে মিজান গায়ের জোরে ছাপিয়ে দিয়েছে :

"জিয়ার পক্ষে ....ফারুক রশিদ অস্ত্র কিনতে যান মার্কিন দূতাবাসে "

শুধু বোল্ড অংশটুকুর দিকেই তাকাবেননা।
বাকী অংশটুকুর দিকেও তাকাবেন।
একটা দেশের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র কিনবে ২ জুনিয়র অফিসার !
টাকা কি ঝড়ের দিনে তাল গাছ থেকে তাল পড়ার মত করে জোগাড় হবে ?

মানুষকে কি এতটাই ডিউপ ভাবে প্রথম আলো , মিজান ?

বিষয়টা সেখানেই শেষ নয় ।

নিউবেরীর সেই তথাকথিত অতি গোপনীয় অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত রিপোর্টগুলোর ১ টি [ আগস্ট ২৭ , ১৯৭৪ ] দেখুন নীচে :



ইমেজ ১



ইমেজ ২



ইমেজ ৩
পুরো রিপোর্টটির কোথাও জিয়ার নাম মাত্র নেই !

উপরন্তু ঠিক উপরের পয়েন্ট গুলোই ড্যানিয়েল নিউবেরী মেনশন করেছেন। তিনি বরন্চ্ঞ ফারুক রশীদের বরাতে ফ্যালকন ফাইটার কেনার বিষয়টাকে পুরোপুরি অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন রাশিয়ার দেয়া মিগ গুলোর খরচ সামলাচ্ছে কিভাবে মুজিবের সরকার !

[ইমেজ ২ ,২য় প্যারাগ্রাফ]


এমনকি নিউবেরী এটাও বলেছেন যে ঐ ২ মেজর আবার দেখা করতে আসলে আমি প্রপোজ করবো- এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের মিনিস্টার লেভেল থেকে অ্যাম্বেসীর সাথে যোগাযোগ করা হোক।
[ইমেজ ৩ , ১ম প্যারাগ্রাফ]

সুতরাং "জিয়ার নাম ভাঙিয়ে".... ২ মেজর অ্যাম্বেসীতে যোগাযোগ করলেও সেটাকে মোটেই বিশ্বাস করেননি ড্যানিয়েল নিউবেরী এবং তার রিপোর্টে সেটা সরাসরি জানিয়েছেন মার্কিন ফরেন সার্ভিস সেন্টার কে !

বরন্চ্ঞ নিউবেরী ২ মেজরের অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টিকে "১ টি দেশের সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ের তুলনায় বাল্যখিল্যতা" বলে মন্তব্য করেছেন !
[ইমেজ ১ , শেষ প্যারাগ্রাফ]


ফারুক রশীদের আর্মস পারচেস নেগোসিয়েশন কে বোগাস বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন নিউবেরী যেটাকে নানা রঙে রঙীন করে মানুষকে ইতিহাসের বায়োস্কোপ দেখিয়েছেন প্রথম আলোর মিজানুর রহমান।



অন্যদিকে আগস্ট ১৫ , ১৯৭৫ এর দিনকার বিখ্যাত সিআইএ ডকুমেন্ট যেটাতে হেনরী কিসিন্জ্ঞার , সিসকো এবং আর্থারটনের ইমিডিয়েট পোস্টমুজিব মার্ডার কথোপকথন পাওয়া যায় সেটা দেখুন নীচে :




ইমেজ ১



ইমেজ ২



ইমেজ ৩



ইমেজ ৪




ইমেজ ৫



ইমেজ ৬



এখানে ইমেজ ২ আসল দরকারী তথ্য গুলো দিচ্ছে :

হেনরী কিসিন্জ্ঞার :

আমরা কি তাকে (মুজিবকে) গতবছর (১৯৭৪) বলিনি এরকম কিছুর ব্যাপারে (ক্যু) ?

আর্থারটন :

মার্চে ( কোন মার্চ ???? ১৯৭৪ এর মার্চ না ১৯৭৫ এর মার্চ ????) আমাদের কাছে প্রচুর ইংগিত আসছিলো এব্যাপারে (ক্যু ) ।


হেনরী কিসিন্জ্ঞার :

আমরা কি তাকে এ ব্যাপারে (ক্যু) বলিনি ?

আর্থারটন :

আমরা তাকে সেই সময়ই (মার্চ ...কোন মার্চ ???? ১৯৭৪ এর মার্চ না ১৯৭৫ এর মার্চ ???? ) বলেছি ।

হেনরী কিসিন্জ্ঞার :

আমরা কি তাকে আনুমানিক/অস্পষ্ট ভাবে (রাফলী) বলিনি এর পেছনে কে আছে ?

আর্থারটন :

আমাকে চেক করে দেখতে হবে আমরা তাকে কোন নাম বলেছিলাম কিনা ?

হাইল্যান্ড :


এ ব্যাপারে আমরা কিছুটা অস্পস্ট (ইমপ্রিসাইস)ছিলাম।


সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ ......... এই হচ্ছে সেই বিখ্যাত সিআইএ ডকুমেন্ট মুজিব অ্যাসেসিনেশন বিষয়ক যেটাকে প্রথম আলো ব্র্যান্ডের মসলায়
দারুন ভাবে কষিয়ে রান্না করেছেন মিজানুর রহমান যাতে
Roughly , Imprecise এই গুরুতর শব্দগুলোর স্বাদ পাঠক টের না পান এবং এই ফাঁকে জিয়াকে ভিলেন আইটেম বানিয়ে পাঠকের উদরস্থ করা যায় !

দুর্দান্ত খেল !

যেখানে হেনরী কিসিন্জ্ঞার , আর্থারটন , হাইল্যান্ড , নিউবেরী কারো মুখে জিয়ার নাম পাওয়া যায় নি , এমনকি ৭৫ 'র মার্চ না ৭৪ 'র মার্চে তারা মুজিবকে সতর্ক করেছিলো ..... টাইমিং স্পষ্ট নয় ... এবং মাস্টারমাইন্ড বাহাইন্ড কে ?..... কিসিন্জ্ঞার , আর্থারটন , হাইল্যান্ড কেউই নিশ্চিত নয় সেখানে লরেন্জ্ঞ লিফশুলজের "যুধিষ্ঠিরীয় সাক্ষাতকারে (!!)" মিজান প্রমান পেয়ে গেছেন
" যত দোষ নন্দঘোষ জিয়া !"



ব্লগের অ্যাডেন্ডাম হিসেবে আরো একটি অংশ যোগ হচ্ছে যেটি শিরোনামে বলা হয়েছে।

সেটি হচ্ছে : মুজিব হত্যার বিষয়ে সিআইএ এর একটি ডিক্লাসিফায়েড ডকুমেন্ট যেটি স্রেফ মুজিব পূজারীদের জন্য লজ্জাজনক হবে ।

প্রথম আলোর মিজান সিআইএ ডকুমেন্টের ভিত্তিতে ফাঁপা রিপোর্ট করে জিয়াকে ভিলেন বানাতে চাইলেও একেবারে নিখাদ এই অজানা সিআইএ ডিক্লাসিফায়েড তথ্যগুলো ধামাচাপা দিয়েছে , ছাপায়নি , জানায়নি .....যেটা প্রথম আলো বরাবরই করে থাকে।

আওয়ামী বেকুব যারা সিআইএ ডকুমেন্টের ভিত্তিতে মিজানের ফাপা রিপোর্ট পড়ে খুশীতে গদ গদ হয়ে গেছেন জিয়াকে ভিলেন বানিয়ে এক হাত নেয়া গেছে ভেবে তাদের রিঅ্যাকশনটাও ব্লগের মন্তব্য অংশে জানার অপেক্ষায় থাকলাম।

যাইহোক... সেই লজ্জাজনক সিআইএ ডকুমেন্টটি দেখুন নীচে :

প্রায়োরিটি টেলিগ্রাম নাম্বার ৩৯৬৪ , ঢাকা মার্কিন অ্যাম্বেসী থেকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট , আগস্ট ১৬ , ১৯৭৫


আমি সরাসরি কপিপেস্ট করলাম :

August 16, 1975, 1135Z.
CONFIDENTIAL
PAGE 01 DACCA 03964 161135Z
14
ACTION NEA-10
INFO OCT-01 ISO-00 CIAE-00 DODE-00 PM-04 H-02 INR-07 L-03

NSAE-00 NSC-05 PA-01 PRS-01 SP-02 SS-15 USIA-06 OMB-01
IO-10/068 W
090675
P R 160910Z AUG 75
 FM
 AMEMBASSY DACCA
 TO
 SECSTATE WASHDC PRIORITY 7733
INFO AMEMBASSY ISLAMABAD
AMEMBASSY KATHMADU
AMEMBASSY NEW DELHI
AMCONSUL CALCUTTA
CINCPAC
C O N F I D E N T I A L DACCA 3964
CINCPAC FOR POLAD
E.O. 11652: GDS
TAGS: PINT, PFOR, BG, US, IN, UR, CH, XD

 SUBJECT:
 PRELIMINARY COMMENT ON THE COUP IN BANGLADESH

1.

THE EVENTS OF THE FIRST TWENTY-FOUR HOURS GIVE PROMISE THAT THE COUP WHICH BEGAN AT 0515 LOCAL TIME ON AUGUST 15 WILL
NOT BE CHALLENGED. THE OATHS OF FEALTY TO THE NEW GOVERNMENT SWORN BY THE SERVICE CHIEFS, THE HEADS OF THE PARAMILITARY
BANGLADESH RIFLES AND RAKKHI BAHINI AND THE HEAD OF THE POLICE BRING ALL ARMED ELEMENTS INTO SUPPORT OF THE NEW REGIME.
THE PUBLIC HAS DISPLAYED NO PARTICULAR JIBILATION AT THE FALL OF MUJIB BUT RATHER A CALM ACCEPTANCE, AND PERHAPS SOME
SENSE OF RELIEF. THE RELATIVE EASE WITH WHICH POWER HAS BEEN TRANSFERRED SUGGESTS ABOVE ALL THE DEGREE TO WHICH MUJIB
AND THE BANGALEES HAD BECOME ALIENATED FROM ONE ANOTHER, THE BANGALEES FROM MUJIB BECAUSE OF HIS FAILURE TO MEET THEIR
ASPIRATIONS AND HIS APPARENT DESIRE TO HOLD POWER LARGELY FOR PERSONAL AGRANDIZEMENT AND DYNASTIC REASONS
,
AND MUJIB

CONFIDENTIAL
CONFIDENTIAL

PAGE 02 DACCA 03964 161135Z

FROM THE BANGLAEES AS HE GREW MORE ISOLATED FROM OBJECTIVE COUNSELS AND BEGAN TO SUFFER THE CLASSIC PARANOIA OF THE
DESPOT.
THE QUICKENING TEMPO OF SHEIKH MUJIB'S EFFORTS SINCE EARLY JUNE TO INSURE HIS STRANGLEHOLD ON POWER, TOGETHER
WITH THE GROWING INFLUENCE OF HIS NEPHEW SHEIKH MONI, DOUBTLESS MADE THE COUP PLOTTERS CONCLUDE THAT NO FURTHER
DELAYS IN TAKING ACTION WAS POSSIBLE. THAT INDIA'S INDEPENDENCE DAY WAS CHOSEN MAY HAVE BEEN MERELY INCIDENTAL, BUT WE
NOTE THE COINCIDENCE


SINCERELY
BOSTER
U.S AMBASSADOR
DACCA , AUGUST 16 , 1975


__________________________________________



সেখানে কি তথ্য পাওয়া যায় ?


১.

THE PUBLIC HAS DISPLAYED NO PARTICULAR JIBILATION AT THE FALL OF MUJIB BUT RATHER A CALM ACCEPTANCE, AND PERHAPS SOME SENSE OF RELIEF.

অনুবাদ :

" মুজিবের পতনে (বাংলাদেশের) জনসাধারন কোন শোকানুভূতিই দেখায়নি , বরন্চ্ঞ নীরব সমর্থন দিয়েছে , স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে "


২.

"THE RELATIVE EASE WITH WHICH POWER HAS BEEN TRANSFERRED SUGGESTS ABOVE ALL THE DEGREE TO WHICH MUJIB
AND THE BANGALEES HAD BECOME ALIENATED FROM ONE ANOTHER, THE BANGALEES FROM MUJIB BECAUSE OF HIS FAILURE TO MEET THEIR
ASPIRATIONS AND HIS APPARENT DESIRE TO HOLD POWER LARGELY FOR PERSONAL AGRANDIZEMENT AND DYNASTIC REASONS"


অনুবাদ :

"যতোটা সহজে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে (মুজিব হত্যার পর) সেটা এটাই ইংগিত করে মুজিব কতোটা জনশত্রুতে পরিনত হয়েছিলেন জনগনের আশা আকাংখা পূরনে ব্যর্থতা এবং ব্যক্তিগত দম্ভ - পারিবারিক শাহী'ত্ব কায়েম করার জন্য ব্যাপকভাবে ক্ষমতা মুঠিবদ্ধ করে "


৩.

SUFFER THE CLASSIC PARANOIA OF THE
DESPOT.


অনুবাদ :

"একজন স্বৈরাচারীর স্বাভাবিক মানসিক ঔদ্ধত্যে ভুগেছেন (মুজিব)"


তথ্যগুলো কি জাতীয় শোক দিবসের মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিলোনা ?

একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে কিন্তু ......
এই টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন অ্যাম্বেসেডর বোস্টার সাহেব !
যিনি মুজিবের বন্ধু প্রতীম ছিলেন !
যিনি মুজিবের বন্ধু প্রতীম হওয়ার কারনে আওয়ামী বুদ্ধিজীবি , কলামিস্ট, সাংবাদিক দের কাছে খুবই প্রিয়পাত্র !


এজন্যই বলে আকাশে থুথু ছিটালে সেই থুথু নিজের গায়ে এসেই পড়ে ।

প্রথম আলো , মিজান , আওয়ামী বেকুবরা ..........নতুন প্রজন্মকে কি আগস্ট ১৫ , ১৯৭৫ এর এই অজানা সিআইএ তথ্য গুলো তোমরা জানাবেনা ?

নাকি ধামাচাপা দিয়ে রাখবে ?


অনুবাদে কোন ভুল পেলে দয়া করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে অনেক ধৈর্য নিয়ে ব্লগটি পড়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৪
১৩১টি মন্তব্য ১০৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×