কোন মানুষকে ”গাধা” বলে গালি দিলেই সে কি “গাধা” হয়ে গেলো? সুইট গালিগুলোকে এনালাইসিস না করে বরং অভ্যস্থতায় নিলে ভালো। যেমন বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে “তুই একটা বাল”, “কিরে চুতমারানি কেমন আছিস?” এ শব্দগুলো কমন (এনালাইসিস করতে গেলে ভয়ংকর)। মা বাবাও তাদের সন্তানদের কুত্তারবাচ্চা, শুওরের বাচ্চা বলে গালি দেন।
তো ইন্ডিয়ার হিন্দুরা হঠাৎ করে ক্ষেপে গেলেন একটি বাংলা গান নিয়ে। কলঙ্কিনী রাধা- নামে গানটি এপার ওপার দুই বাংলাতেই জনপ্রিয়। রাধারমন দত্তের লেখা এ গান আমাদের করিম বয়াতিও গেয়েছেন। গানটি সম্প্রতি আনুষ্কা শর্মা প্রযোজিত নেটফ্লিক্সের “বুলবুল” সিনেমাতে পাওলি দামের লিপে ব্যবহৃত হয়েছে। এতেই কতিপয় হিন্দু গোস্বা করেছেন। তাদের দাবী কৃষ্ণকে “হারামজাদা” ও রাধাকে “কলঙ্কিনী” বলা ঠিক না।
কদমগাছে লুকিয়ে লুকিয়ে কৃষ্ণ মেয়েদের নগ্ন স্নান দেখতেন। শুনলেই বোঝা যায়, কৃষ্ণ দুষ্টু (naughty) প্রকৃতির ছিলেন সেটাকেই প্রকাশ করতে চেয়েছে এ গান। এতে ক্ষেপে উঠার কি আছে?
হিন্দু ধর্মগ্রন্থে আছে, কৃষ্ণ দুধের সর ও মাখন চুরি করে খেতেন। অনেকে তো উনাকে মাখনচোর ভগবানও বলে।
ফ্যাক্ট হচ্ছে প্রেজেন্টেশন। এই গাধাটা ছাত্র খারাপ হলেও হৃদয়টা বড়। এই পাগলী মেয়েটাকে আমি খুব ভালোবাসি। উপরের দুটো লাইনে গালি ব্যবহার করেও চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে রেগে যাবার কিছু নেই।