এই যে হেলিকপ্টারটা বোমা নিক্ষেপ করলো, একশবিশ জন বাচ্চা (মানুষেরই, মোল্লারাও মানুষ ) নিহত হইলো, স্নাতকের মঞ্চ রক্তস্নাত হইলো,
আচ্ছা ধরেন হেলিকপ্টারটা কুন্দুজ পর্বতের উপরে থাকতেই ওৎ পাইতা থাকা কোন গেরিলাযোদ্ধা রকেট লাঞ্চারের গোলা ছুঁইড়া দিলো হেলিকপ্টারটার দিকে, একশ বিশটা নিষ্পাপ বাচ্চার মরণচিৎকার আমরা শোনার আগেই বোমা পেটে নিয়া আসা হেলিকপ্টারটা খইসা পড়লো আকাশ থিকা...
তাইলে দেখতাম বিশ্বমিডিয়ার হরফে হরফে সত্য নিউজ আসতেসে... জঙ্গিবাদের উত্থান হয়ে যাইতেসে...বিশ্বনেতাদের তর্জন গর্জন...
জঙ্গিপনা দুই পক্ষেই, এক পক্ষের আক্রমণই সবসময় বৈধতা পাইবো ক্যান?
" ওই এলাকায় মার্কিন বাহিনী কোন আক্রমণ পরিচালনা করেনি বলে দাবি করেছেন আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লিসা গার্সিয়া।"
দিনেদুপুরে কী জঘন্য মিথ্যাচার! অবশ্য মরছে তো মুসলমানের মাদ্রাসাপড়ুয়া বাচ্চারা। মানবধর্ম এইখানে টুট টুট। এই দাবিরে এবং এই টাইপ মিনমিনে বাতচিতরে মিডিয়া হাইলাইটস করতেসে। এই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি কইতেসেন আমরা কইতেসি হাফেজ বাচ্চাকাচ্চা মাইরা ফেলাইসে, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এই খবর তো জাতিরে জানাইতেসে না। বিশ্বের মাথা মাথা সংবাদসংস্থাগুলাও হামতাম কইয়া ধামাচাপা দিতেসে। কেউ কেউ জানাইতেসে হামলা হইছে তালেবানগো মাথার উপর।
কেউ চুপ ইচ্ছাকৃত। কেউ চুপ আসল সংবাদ না জাইনা বা নানান কথায় কনফিউজড হয়া। আরেকটা ব্যাপার হইলো ফেসবুকের ফ্যাশন বা ট্রেন্ড। কেউ পোস্ট দিতেসে না তাই এই বিষয়ে কথা বললে সেইটা ফ্যাশনেবল না।
কিন্ত মালালার গায়ে গুলি লাগলে, বা কোন স্কুলে হামলা হইলে মুহূর্তেই পুরা বিশ্বে মানবতার দায় কান্নাকাটি শুরু হয়ে গেছিল, দেখেছি। আমরাও কানছিলাম।
আর এখন দেখি কানতেসি আমরা একাই। এইসব ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দেয়।
এই নিহত বাচ্চাগুলার ভাইরা বন্ধুরা সহপাঠীরাই একসময় জোয়ান হবে না? প্রতিশোধের জন্য তারা কি অস্ত্র হাতে তুইলা নিবে না? তালেবানের সংখ্যা কি বাড়তে থাকবে না? হত্যার জবাব তারা কি হত্যা দিয়া দিবে না? সবাই কি আসানসোলের ইমাম?
রক্তের দাগ শুকায় না কখনো,আরো রক্তস্রোত সে কি তৈরি করে না?
করবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি এই সুদূরপ্রভাবি জঙ্গিবাদী হামলার দায় স্বীকার করবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১