সবারই জীবনে এমন কিছু মুহুর্ত থাকে যেগুলা জীবনেও ভোলা সম্ভব না।আর যেগুলা মনে পড়লেই আপনা আপনিই মিজাজ বিলা হইয়া যায়। বাই দ্যা ওয়ে আমি কিন্তু পিরিতি টিরিতির কিছু মিন করতেসিনা।ইহা হইতেসে এক ধরনের কিছু অপ্রিয় ভুল বা মিসটেক। যাহার মাশুল কোন কিছুতেই শোধ করা সম্ভব নহে
আজ হঠাত করেই কেন জানি সেই চরম বিরক্তিকর ভুলগু্লার কথা মনে পইড়া গেল। আর তখন মন চাইতেসিলো ইসসস সেই সময় ফিরে গিয়ে যদি সেই ভুলগুলারে শোধরানো যাইত। অসম্ভব চিন্তা ভাবনা আর কি
ঘটনা১- মাঝে মাঝে এমন কিছু গাধামী করি যে পরে নিজের উপরই অতি মাত্রায় মিজাজ খ্রাপ হইয়া যায়। একদিন এফ বিতে আমার এক ছোট ভাইয়ের ছবিতে কমেন্ট করলাম 'বাহ তোরে তো অনেক সুন্দর লাগছে..........কিন্তু তুই তো অনেক শুকনা ছিলি মোটকু হইল কেমনে??'এরপরের কাহিনী আর কি কমু একই নাম থাকায় আর ছবিটা ব্যাক সাইডের হওয়ায় যে আসলে সেই মানুষ্ছোটা আমার ভাই ছিলো না সেটা বুঝার কোন উপায় ছিলোনা। কিছুক্ষন পর মেসেজ আসে -'আচ্ছা আপনারে কি আমি চিনি?? এই ধরনের কমেন্ট কেন করলেন ??' সাথে সাথে তার প্রোফাইলে গিয়া দেখি কি চ্রম ভুল করলাম।যাই হোক শেষে তারে স্যরি ট্যরি কইয়া শান্ত করলাম
ঘটনা২-ইহাও চ্রম বিরক্তিকর একটা ভুল যেটা আর কেও করেছে কিনা জানিনা। বেশ কিছু দিন আগে আমার এক ফ্রেন্ডর এর মোবাইলে মেসেজ দিলাম এইটা লিইখ্যা যে 'তুই আমারে ভুইলাই গেসিস।' কিন্তু কোন রিপ্লাই নাই দেখে পরের দিন আরেকটা মেসেজ দেই সেই রকম একটা ঝারি দিয়া।বেশ কিছুক্ষন পর একটা আন নোন নাম্বার থেকে ফোন আসে।রিসিভ করা মাত্রই একটা মেয়ে বলা শুরু করে
-কে আপনি??
তাজ্জব হইয়া তারে কইলাম
-আমি কে মানে?? আপনি কারে চান??
-সে কয় আপনি ওমুক নাম্বারে কেন বার বার মেসেজ দিচ্ছেন?
নাম্বেরটা আমার ফ্রেন্ডের আছিলো। অবাক হইয়া জিগাইলাম কেন আমি আমার ফ্রেন্ড রে মেসেজ দেই তাতে আপনার কি !!
সে সন্দেহ প্রবন হইয়া ঝাঝা কইরা উত্তর দিলো
-আচ্ছা যারে আপনি এই মেসেজ দিসেন সে আপনার কি হয়?
কইলাম আমার দোস্ত লাগে।কেন?
কয় যে কেমুন দোস্ত। অনেক খাতির নাকি?ব্লা ব্লা
কেন জানি সন্দেহ হইলো কোন একটা মিসটেক হচ্ছে।।দেন তারে জিগাইলাম আমার মনে হচ্ছে আমি রঙ নাম্বারে মেসেজ পাঠাইসি।সে কয় আচ্ছা তার নাম কি এইটা শুধু বলেন। ফ্রেন্ডের নাম বলার পর সে কিছুতেই বিশ্বাস করে না যে আমি ঠিক নাম বলেছি।তার ধারনা ধরা খাইয়া আমি উলটা নাম কইসি। এরপর কত রকমের প্রশ্ন।ছেলে দেখতে কেমুন ?ফর্সা না কালো লম্বা না খাটো?চশমা পড়ে কি না!! রাগ হইয়া তারে শেষে ঝারি দিয়া যখন নাম্বার মিলাইলাম তখন দেখি লাস্টের একটা ডিজিট ভুল ছিলো আর এই কারনেই এত কিছু!! অবশেষে বুঝিলাম কিছু কিছু নারীদের আসলেই সন্দেহবাতিক রোগ আছে
ঘটনা৩- এই ঘটনা মনে হয়না জীবনেও ভুলতে পারমু না । একদিন কিলাশ এইটে থাকতে আম্মুর একটা ফ্রেন্ড আসছিলো আমাদের বাসায় উইথ হার অ্যা কিউটি বয় :#> :#> তো তারে দেইখাই আমি তার দুই গাল ধইরা টান দিয়া বলসিলাম 'আল্লাআআ কত্ত সুন্দর একটা ছেলে । কোন ক্লাসে পড় তুমি?? সে গম্ভীর হইয়া কয় আমি ক্লাস নাইনে পড়ি আস্তে কইরা তার সামনে থেকে কোন মতে ভাইগা অন্য রুমে গিয়া লুকাই ছিলাম যাতে এই পোলার সামনে আর না পড়ি।আসলে কাহিনী হইতেছে ওই পলাটা গাট্টুগুট্টু গোলগাল আর লম্বায় আমার চেয়ে ছোট হওয়ায় ভাবছিলম সে কিলাশ ফাইভ সিক্সে পড়ে,কিন্তু কাহিনী যে উলটা সেইটা জীবনেও ভাবিনাই। এই ঘটনা মনে আসলে এখনও কেমুন কেমুন জানি লাগে
ঘটনা৪-ইহা একটি অতীব লজ্জাকর একটা ঘটনা।ক্লাস নাইনে থাকতে স্কুল থেকে আমাদের পিকনিকে নেয়া হয়েছিলো।তো ক্লাসে আমাদের ১৩ জনের একটা গ্রুপ ছিলো যেইখানে আমরা অতি মাত্রায় শয়তানী করে বেড়াইতাম।আই মিন এক ফাজিলের দল যাকে বলে।মাঝে মাঝে স্যার ম্যাডামরাও হিম শিম খাইতো আমাদের বান্দ্রামী থামাইতে।যাই হোক একদিন বাসে করে পিকনিকে যাওয়ার সময় ফুল ভলিয়মে গানের তালে তালে নাচা কুদার এক পর্যায়ে টায়ার্ড হয়ে বাসের সিটের ব্যাক হ্যান্ডেলে হাত রাইখা রেস্ট নিচ্ছিলাম।কিন্তু হঠাত করে মনে হইলো এমন লাগছে কেন?তাকায় দেখি হাতটা আমাদের কিলাশেরই একজন স্যারের হাতের উপর রাখসি ভুলে। (এই স্যারটার লগে আমার বদ দোস্তগুলা আমার নাম কইতো আর দুনিয়ার খেপানী খেপাইতো।এক পর্যায়ে ব্যাপারটা স্যারের কানেও গেছিলো ) শুধু এই কারনে এক ঝটকায় হাতটা সরায় নিয়া এক্কারে পিছে গিয়া লজ্জায় মইরা গেসিলাম
আরও মেলা কাহিনী আছে।সেগুলা লিখতে গেলে ম্যালা বড় হই যাবে আমার পোস্টটা।তাই এইখানেই ক্ষ্যামা দিলাম