somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু নতুন পুরাতন জোকস!

২৫ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১. আমার কাছে সত্যই একটা ব্যাপার হাসির মনে হয় যখন শুনি মানুষ প্রশ্ন করে যে ভালবেসে বিয়ে করা ভাল নাকি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা ভাল। আমার কাছে মনে হয় একজন যেন অন্য একজনকে প্রশ্ন করছেঃ আত্মহত্যা ভাল নাকি খুন হওয়া ভাল।

২. মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই। বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন।

বেশি খুঁজতে হলো না। রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীপ্রবরকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর কোনো চিন্তায় মগ্ন। মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।

‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী। ‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’
স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল। খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট করতে শুরু করেছিলাম। তোমার বয়স ছিল ষোলো। তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’

স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে।’
স্বামী একটু থেমে বললেন, ‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’
‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে।’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি।’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।’
স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন, ‘আজকে আমি জেল থেকে ছাড়া পেতাম।’

৩. একটা উপদেশ- সবসময় মানিব্যাগে আপনি আপনার স্ত্রীর ছবি রাখুন। যখনই বড়ো কোনো সমস্যায় পড়বেন তখন মানিব্যাগ বের করে স্ত্রীর ছবিটা দেখবেন, আর মনে করবেন এর চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছুই হতে পারে না।

৪. জামাতে ইসলামী, বিএনপি আর ঐক্যজোটের তিন র্কমী মদ্যপান করা অবস্থায় সৌদী আরবে ধরা পড়। সৌদী আরবে যেহেতু প্রকাশ্যে মদ্যপানের অপরাধ অত্যন্ত গুরুতর, তাই সেখানে এর শাস্তি হচ্ছে চাবুকের বিশ দোররা বাড়ি। আরবের শেখ যখন এই তিন কর্মীকে শাস্তির জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছিলেন, তখন শেখ বললেন, "আজ আমার প্রথম বউয়ের জন্মদিন, তাই আমি তোমাদের প্রত্যকেকে চাবুক মারার আগে একটা করে আর্জি জানাবার অনুমতি দিলাম এবং তোমাদরে আর্জি মঞ্জুর করা হবে।

লাইনের প্রথমে দাঁড়ানো ঐক্যজোটের কর্মী বলল, "শেখ তুমি যদি চাবুক মারার আগে পিঠের সাথে একটা বালিশ বেঁধে দিতে। তার আর্জি মোতাবকে বালিশ বেঁধে চাবুক মারা শুরু হলো। বালিশ চাবুকের বাড়ি ১০ টা র্পযন্ত নিল, তারপর বালিশ গেল ফেটে। ব্যথায় কুঁচকে রক্তাত্ব অবস্থায় তাকে সরানো হলো বিশ দোররার পর।

এর পরে লাইনে ছিল বিএনপির র্কমী। সে ঐক্যজোটের কর্মীর বেহাল অবস্থা দেখে আর্জি জানাল দু'টো বালিশ বাঁধার। তার আর্জি মোতাবকে ২টা বালিশ বেঁধে চাবুক মারা শুরু হলো। বালিশ চাবুকের বাড়ি ১৫ টা র্পযন্ত নিতে পারল, তার পর বালিশ গেল ফেটে। ব্যথায় কুঁচকে গোঙ্গানো অবস্থায় বিএনপি'র র্কমীকে সরানো হলো বিশ দোররার পর।

সবার শেষে লাইনে ছিল জামাত কর্মী। সে কোন কিছু বলার আগেই শেখ জামাত র্কমীকে বলল, "তুমি হচ্ছো গোলাম আযমের দলের লোক। তাই তুমি ২টা আর্জি রাখতে পার"। জামাতী কর্মী খুশীতে গদগদ হয়ে বলল, "হুযুর, আমি নাদানের মতো কাজ করেছি, তাই তুমি আমাকে চাবুকের ২০ দোররা না, ১০০ দোররা মার। শেখের চোখ আনন্দে জ্বলজল করে উঠল। বলল, "তার পরের আর্জি"? জামাত কর্মী ব্যথায় কুঁকড়ানো বিএনপি কর্মীকে আঙ্গুলের ইশারায় দেখিয়ে বলল, "বালিশ টালিশ না, তুমি ঐ ব্যাটারে (বিএনপি'র কর্মী) আমার পিঠের পেছনে বাইন্ধা দাও"।

৫. রাতে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন এক ভদ্রলোক। গাড়ি জ্যামে আটকে গেলে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতল।
: দয়া করে কিছু দিন স্যার !
: তুমি মদ খাও ?
: না স্যার।
: তুমি ধূমপান কর ?
: না।
: জুয়া খেল ?
: না।
: তুমি শিগগির আমার গাড়িতে উঠ।
: যা দেবার এখানেই দিন, স্যার।
: না, তোমাকে বাড়ি নিয়ে আমার স্ত্রীকে দেখাতে চাই যে, মদ, জুয়া, ধূমপান এ সবের সাথে না থাকলে মানুষের জীবনের কি ভয়াবহ অবস্থা হয়।

৬. এক দাওয়াতের অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশী ও এক আমেরিকান খেতে বসেছে।তো সেই দাওয়াতের অনুষ্ঠানে সোনার চামচ দেয়া হয়েছিল সবাইকে খাওয়ার সময় ব্যবহার করার জন্য।হঠাৎ আমেরিকানটা খাওয়ার মাঝখানে খুব সাবধানে নিজের প্যান্টের পকেটে একটা সোনার চামচ লুকিয়ে ফেললো।শুধু বাংলাদেশীটা এটা দেখল,কিন্তু কিছু বলল না।খাওয়া শেষে সবাই গল্প করছে।হঠাৎ বাংলাদেশীটা বলল,সে একটা ম্যাজিক দেখাবে।ম্যাজিক দেখতে সবাই তার চারপাশে এসে ভিড় করে দাড়ালো।তখন বাংলাদেশীটা একটা সোনার চামচ চাইল একজনের কাছ থেকে।সেই বাড়ির মালিকের ছেলে তাকে একটা সোনার চামচ এনে দিল।বাংলাদেশীটা সেই সোনার চামচটা তার নিজের প্যান্টের পকেটে ঢুকাল এবং আমেরিকানটাকে কাছে ডেকে এনে তার পকেট থেকে সোনার চামচ বের করল। সবাই খুব জোরে তালি দিয়ে ওঠল....আর আমেরিকানটা

৭. এক বন্ধুর মন খুব খারাপ। অন্য বন্ধু তাই দেখে কথা বলছেঃ
১ম বন্ধুঃ কিরে দোস্ত, মন খারাপ কেন? ওঃ তোর বউ সেই যে বাপের বাড়ি গেল, এখনও আসেনি, তাই?
২য় বন্ধুঃ নারে দোস্ত, আজকে তার ফিরে আসার কথা!

৮. একজন মানুষকে টেলিগ্রাম করা হলঃ বউ মারা গেছে, কবর দিব নাকি পুড়িয়ে ফেলব?
সেই মানুষ সাথে সাথে উত্তর পাঠালঃ কোন রিস্ক নেবার দরকার নাই; প্রথমে পোড়ান, তারপর সেই ছাই কবর দিন।

৯. স্ত্রীঃ স্বামী এবং স্ত্রীকে কখনো একসঙ্গে স্বর্গে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয় না।
স্বামীঃ হ্যাঁ, এজন্যই এর নাম স্বর্গ।


১০. চল্লিশ বছর পার হবার হয়ে গেছে তবু বিয়ে করেনি এক লোক । একদিন একজন এর কারন জানতে চাইল ।

লোকপ্টি বলল সারা জীবন আমি একটা পারফেক্ট মেয়ের খোজ করেছি ।

তা একটি ও পাননি?

পেয়েছিলাম একটি কিন্তু সে আবার একটি পারফেক্ট ছেলের অপেক্ষায় ছিল।


১১. প্রশ্ন: রাজাকার আর এক বালতি গোবরের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

উত্তর: ঐ বালতিটা।


১২. কোনো মহিলা যখন গলার স্বর নামিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তিনি কিছু চাইছেন ।

আর যখন গলা চড়া করে কথা বলে তখন বুঝতে হবে তিনি যা চেয়েছিলেন তা পান নি ।

১৩. এক ভদ্রলোক একটা মোটর গাড়ী দুঘটনার একেবারে চুরমার হয়ে গেছে । তিনি তার গাড়ী যেখানে বীমা করেছিলেন সেখানে গিয়ে টাকার দাবী করলেন । কোম্পানীর ম্যানেজার বললেন যে আপনাকে তো টাকা দেয়া হবে না । আপনাকে গাড়ীর বদলে একটা নতুন গাড়ী দেয়া হবে । ভদ্রলোক তো আৎকে ঊঠলেন । আরে আমার স্ত্রীর নামে বীমা করা , সে মরে গেলে কি আপনারা একই ব্যবস্থা করবেন ?

৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×