মুক্তিযোদ্ধা কাজী কামাল উদ্দিন বীর বিক্রম রাজধানীর একটি হাসপাতালে রোববার রাতে মারা গেছেন।
রাত সোয়া ১১টায় রাজধানীর ইউনাটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান তার সহযোদ্ধা ও বন্ধু হাবিবুল আলম।
তিনি জানান, সোমবার জোহরের নামাজের পর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ী মসজিদে তার জানাজা হবে।
কাজী কামালের সহযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতার আহমেদ জানান, ১৯৭১ সালের মে মাসে আগরতলার মতিনগর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দেন কাজী কামাল। তার সঙ্গে ফতেহ আলী চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ কয়েক বন্ধুও তখন ওই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যায়।
সেখান প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশে ঢুকে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন।
ঢাকায় গেরিলা অপারেশন চালনাকারী ক্রাক প্ল্যাটুনের সদস্য ছিলেন তিনি। হাবিবুলও এ দলের সদস্য ছিলেন।
“কাজী কামাল উদ্দিন ছিলেন অসম সাহসী যোদ্ধা। ঢাকার বেইলি রোড এলাকায় একবার পাকিস্তানি সেনারা তল্লাশি চালালে সেখানে নিরস্ত্র অবস্থায় ঘেরাও হন তিনি। তখন অভিযানে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীর জেসিও’র কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের গুলি করেন তিনি। অনেককে মেরে বিবস্ত্র অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে জীবন বাঁচান,” বলেন ২ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা আখতার আহমেদ।
হাবিবুল আলম জানান, যুদ্ধের আগে কামাল ছিল পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় বাস্কেটবল টিমের খেলোয়াড়।
“২৯ তারিখে যখন ঢাকায় রেড হয়, ওকে আজাদের বাড়ি থেকে ধরা হয়েছিল। ও এক ক্যাপ্টেনকে মেরে পালিয়ে আসে,” হাবিব বলেন।
বনানীতে জানাজার পর কামালের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের মৌচাকে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে তাকে।